ঈদুল ফিতর সিয়াম সাধনার সাফল্য
আজকের পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ১২ মে ২০২১
একটি মাস সিয়াম সাধনার পর সাফল্য হিসেবে আসে ঈদুল ফিতর। মুসলমানদের প্রধান দুই ঈদ উৎসবের মধ্যে এই ঈদুল ফিতর অন্যতম। ধনী-গরিব, সাদা-কালো, ছোট-বড় সবাইকে প্রীতির পুণ্যময় বন্ধনে আবদ্ধ করতে এ দিনের ভূমিকা অপরিসীম। এ জন্য ঈদের দিনকে মুসলিম বিশ্বের জাতীয় উৎসব হিসেবে গণ্য করা হয়।
মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক জাতির জন্য আনন্দ-উৎসবের দিন রয়েছে। আমাদের আনন্দ-উৎসবের দিন হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা (বুখারি, মুসলিম)।
ঈদ অর্থ আনন্দ বা উৎসব আর ফিতর অর্থ ভঙ্গ করা। রমজান মাসের সিয়াম সাধনা শেষে রোজা ভঙ্গ করার যে উৎসব পালন করা হয়, তাকে ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ বলা হয়। ঈদুল ফিতর হলো মুসলমানের আনন্দ উৎসব। প্রত্যেক মুসলমানের জীবনে এই উৎসবটির গুরুত্ব অনেক বেশি। মুসলিম পরিবারের এই মহান উৎসবকে যথাযথ গুরুত্ব ও মর্যাদার সঙ্গে পালন-উৎযাপন করাই একজন রোজাদেরর প্রকৃত দায়িত্ব। আর এই সুষ্ঠ পালন প্রক্রিয়াতেই রোজাদেরর প্রকৃত তৃপ্তি নিহিত।
রোজাদারদের জন্য সাফল্যগাঁথার প্রতিবেদন হচ্ছে ঈদুল ফিতর। রোজাদার যে আত্মশুদ্ধি, সংযম, ত্যাগ-তিতিক্ষা, উদারতা, বদান্যতা, মহানুভবতা ও মানবতার গুণাবলি দ্বারা উদ্ভাসিত হন, এর গতিধারার প্রবাহ অক্ষুণ্ণ রাখার শপথ গ্রহণের দিন হিসেবে ঈদুল ফিতর সমাগত হয়। এদিন যে আনন্দধারা প্রবাহিত হয়, তা অফুরন্ত পুণ্য দ্বারা পরিপূর্ণ। বছরজুড়ে নানা প্রতিকূলতা, দুঃখ-বেদনা সব ভুলে ঈদের দিন মানুষ সবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিলিত হন। ঈদগাহে কোলাকুলি সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধনে সবাইকে নতুন করে আবদ্ধ করে। ঈদ এমন এক নির্মল আনন্দের আয়োজন, যেখানে মানুষ আত্মশুদ্ধির আনন্দে পরস্পরের মেলবন্ধনে ঐক্যবদ্ধ হন এবং আনন্দ সমভাগাভাগি করেন। আর এ আনন্দ ও পুণ্যের অনুভূতি জগতে এমন এক দুর্লভ জিনিস, যা ভাগাভাগি করলে ক্রমেই তা বৃদ্ধি পায়। ঈদুল ফিতর আনন্দ-উৎসব এমন এক পরিচ্ছন্ন আনন্দ অনুভূতি জাগ্রত করে, যা মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের পথপরিক্রমায় চলতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উদ্বুদ্ধ করে।
মানুষের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন রচনায় ঈদুল ফিতর গুরুত্ববহ। এটি মানুষকে দাঁড় করিয়ে দেয় কল্যাণমূলক অর্থনৈতিক পরিবেশের দোরগোড়ায়। এজন্য রাসূল (সা.) সাদকাতুল ফিতরকে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘রাসূল (সা.) সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা জব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপর এটা ওয়াজিব।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস : ১৫১২)।
আর ফিতরার নিসাব হচ্ছে জাকাতের নিসাবের সমপরিমাণ। কারো কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অতিরিক্ত হয়ে ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় বিদ্যমান থাকলে তার ওপর ফিতরা ওয়াজিব হবে। যার ওপর সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব, তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের অধীনদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। তবে এতে জাকাতের মতো বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়। (ফাতহুল ক্বাদির : ২/২৮১)।
এক মাস সিয়াম সাধনার পুরস্কার লাভ হয় ঈদুল ফিতরের দিনে। এদিন কেউ হয় সফল আর কেউ হয় ক্ষতিগ্রস্ত। রোজাদাররা এদিন সাফল্যতা অর্জন করে। কেমন সাফল্য? নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘ঈদুল ফিতরের দিন ফেরেশতারা রাস্তার মুখে মুখে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে থাকেন: হে মুসলিম! নেককাজের ক্ষমতাদাতা ও সওয়াবের আধিক্যদাতা আল্লাহর কাছে অতি শিগগির চলো। তোমাদের রাতে ইবাদত করার হুকুম করা হয়েছিল, তোমরা তা করেছ, দিনে রোজা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, তোমরা তা পালন করেছ। তোমরা তোমাদের সৃষ্টিকর্তাকে খাইয়েছ (অর্থাৎ গরিব-দুঃখীদের আহার দিয়েছ) আজ তার পুরস্কার গ্রহণ করো। অতঃপর মুসলমানরা যখন ঈদের নামাজ পড়ে, তখন একজন ফেরেশতা উচ্চ স্বরে ঘোষণা করেন, তোমাদেরকে তোমাদের সৃষ্টিকর্তা ক্ষমা করে দিয়েছেন। এখন তোমরা তোমাদের পুণ্যময় দেহ-মন নিয়ে নিজ নিজ গৃহে প্রত্যাবর্তন কর। এ দিনটি পুরস্কারের দিন, আকাশে এই দিবসের নাম ‘উপহার দিবস’ নামে নামকরণ করা হয়েছে।’ (তাবারানি)।
হজরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘ঈদুল ফিতরের দিন ফেরেশতারা জমিনে নেমে আসেন এবং উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে এমনভাবে আওয়াজ দিতে থাকেন যে, মানুষ ও জিন ছাড়া আল্লাহর সব সৃষ্টি তা শুনতে পায়। ফেরেশতারা বলেন, হে উম্মতে মুহাম্মাদ! তোমরা তোমাদের দয়াময় রবের উদ্দেশে বের হও, তিনি আজ অতি বিরাট দান করবেন এবং বড় গোনাহ মাফ করবেন। মুসলমানরা ঈদগাহে হাজির হলে আল্লাহ ফেরেশতাদের লক্ষ্য করে বলেন, হে ফেরেশতারা! কাজ থেকে শ্রমিকের পারিশ্রমিকের ব্যাপারে তোমাদের রায় কি? জবাবে ফেরেশতারা বলেন, হে আমাদের মাবুদ! শ্রমিকদের তার পারিশ্রমিক দিয়ে দিন। তখন আল্লাহ বলেন, আমি তোমাদের সাক্ষী করে বলছি, আমি তাদের নামাজ ও রোজার সওয়াবকে আমার সন্তুষ্টি ও ক্ষমায় পরিণত করলাম। হে মোমিনরা! তোমরা নিষ্পাপ অবস্থায় ফিরে যাও।’
আসমানে ঈদকে পুরস্কার দিবস বলা হয়। আসমান ও জমিনের মাঝখানে ওই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। বড় পুরস্কারের জন্য বড় গণজমায়েত দরকার। তাই ঈদ হচ্ছে বৃহত্তম গণজমায়েতের ব্যবস্থা। এ সমাবেশ হাশরের ময়দানের বিশাল সমাবেশকে স্মরণ করিয়ে দেয়। সেখানেও সব মানুষকে তাদের কাজের পুরস্কার দেয়া হবে। তবে সেই পুরস্কার খারাপও হতে পারে কিংবা ভালোও হতে পারে। নেক বেশি হলে পুরস্কার আনন্দদায়ক হবে, আর পাপ বেশি হলে পুরস্কার হবে বেদনাদায়ক। ঈদের পুরস্কারও একইরূপ হবে। আর এ পুরস্কার তারাই পেতে পারেন, যারা এক মাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে রিপুকে দমন করতে পেরেছেন। আর যারা অসৎ চিন্তা, অসৎ কার্যাবলি থেকে বিরত থাকতে পারেনি, রমজানের পবিত্রতাকে কলুষিত করেছে, তাদের জন্য ঈদুল ফিতর কোনো সুসংবাদ নয়। প্রকৃত অর্থে ঈদুল ফিতরের আনন্দ তার জন্য, যে তাওবা ও ইস্তেগফারের মাধ্যমে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত থাকতে পেরেছে। এ জন্য বলা হয়, ঈদুল ফিতর হলো, সিয়াম সাধনায় সাফল্যের প্রতীক।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বিত্তবানদের সে রকম নির্দেশনাই দিয়েছেন- ‘যতক্ষণ না তোমরা দরিদ্রদের চোখের পানি মুছে দেবে, যতক্ষণ না তোমরা তাদের ভালো পোশাকে আবৃত করবে এবং তাদের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা ঈদ পালন করবে না’। প্রত্যেক রোজাদারের জন্য ইসলাম দু’টি আনন্দের ঘোষণা দিয়েছে। তার মাঝে একটি হলো পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন আর অন্যটি হলো পরকালে যেদিন রোজাদারের সঙ্গে আল্লাহ মহান দেখা করবেন।
- সাধারণ জ্বর-সর্দি নাকি করোনা বুঝবেন যে লক্ষণে
- গরমে মুখে ও পিঠে ব্রণ হচ্ছে?
- ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজই
- বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে সঙ্গীত শিল্পী ‘পাগলা হাসান’সহ নিহত ২
- বিয়েবাড়ির মতো খাসির মাংস ভুনা করবেন যেভাবে
- বদলা নিতে ডেকে নিয়ে কোপানো হয় পাভেলকে
- নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার তাগিদ
- বিএনপির চিন্তাধারা ছিল দেশকে পরনির্ভরশীল করা: শেখ হাসিনা
- স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ
- জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো
- শপথ নিলেন পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমার
- মুজিব নগর সরকার গঠনের পরই বিশ্বের স্বীকৃতি পায়
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশ ও সমাজে কল্যাণ হচ্ছে- শাজাহান খান
- মাদারীপুরে ৫টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ তিনজন গোয়েন্দা পুলিশের জালে
- ম্যান সিটির হৃদয় ভেঙে সেমিফাইনালে রিয়াল
- উজিরপুরে প্রানিসম্পদ প্রদর্শনী ও মেলা অনুষ্ঠিত
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- ‘সেফ জোনে’ ২৩ নাবিক, নিরাপত্তায় ইতালির যুদ্ধজাহাজ
- জলবায়ু অর্থায়নে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য: আইএমএফ
- মেট্রোরেল চলাচলে আসতে পারে নতুন সূচি
- সন্দেহভাজন আরও এক কেএনএফ সদস্য কারাগারে
- রাজধানীকে ঝুঁকিমুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ রাজউকের
- প্রভাব খাটিয়ে আর পরিবেশের ক্ষতির সুযোগ নেই: মন্ত্রী
- গলায় কৈ মাছ আটকে কৃষকের মৃত্যু
- পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসিরকে মারধরের সত্যতা পেয়েছে পিবিআই
- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের ফল আগামী সপ্তাহে
- রেস্তোরাঁয় মদ না পেয়ে ‘তাণ্ডব চালান’ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
- ফেসবুক লাইভে অস্ত্রাগার দেখিয়ে চাকরি হারালেন পুলিশ সুপার
- কৃষকরাই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি: স্পিকার
- ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- এ বছর ফিতরার হার নির্ধারণ
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের
- গলাচিপায় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ
- বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৪টি মামলা, অর্থদণ্ড আদায়
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- ৬৮ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ প্রায় শেষ, সরবরাহ এপ্রিলে
- গলাচিপা পৌর শহরে ভোক্তার অভিযান, ৯ হাজার টাকা জরিমানা
- রোজার মাসে সুস্থ থাকতে হৃদরোগীরা যা করবেন
- পটুয়াখালীতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোর চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার
- দুমকিতে শিশু ধর্ষনে অভিযুক্ত আসামী গ্রেফতার
- বরিশালে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে অলোচনা সভা
- ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন কি না বুঝে নিন লক্ষণে
- পটুয়াখালীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস
- পটুয়াখালীতে শিশু গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার
- বদহজম-পেটে যন্ত্রণা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
- সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?