ইসলামে গীবতকারীর জন্য রয়েছে ভয়ংকর শাস্তি
আজকের পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

গীবত সমাজ বিধ্বংসী মারাত্মক এক গুনাহ। ইসলামে গীবত বা পরনিন্দা করাকে সম্পূর্ণরূপে হারাম বলে ঘোষণা করে তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে গীবত শোনাও অন্যায়। সুতরাং গীবত যে রকম পাপ, শ্রবণ করাও তেমনি পাপ। অথচ এই পাপের কাজটি চায়ের আসর থেকে শুরু করে স্বাভাবিক আলাপচারিতায় যেন স্বভাবসুলভ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলা যায়, এখন তো কোনো বৈঠক গীবত ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়!
অনেকেই তো পরনিন্দাকে পাপ বা নিষিদ্ধ কোনো কিছু বলে মনেই করেন না। অথচ গীবত একটি জঘন্যতম পাপ। মদপান, চুরি, ডাকাতি, ব্যভিচার ইত্যাদি থেকেও মারাত্মক ও নিকৃষ্টতম। কেননা এসব পাপ তওবার দ্বারা ক্ষমা পাওয়ার উপযুক্ত।কিন্তু গীবতকারীর পাপ শুধু তওবা করলেই তা মাফ হবে না, বরং যার বিরুদ্ধে গীবত করা হয়েছে সে ব্যক্তি যদি মাফ করে তাহলেই আল্লাহর কাছে মাফ পাওয়া যাবে।
গীবত আরবি শব্দ। যার অর্থ পরনিন্দা। ইসলামের পরিভাষায় কারও অনুপস্থিতিতে তার কোনো দোষ-ত্রুটি অন্যের কাছে আলোচনা করাই গীবত। যদিও তার মধ্যে ওই দোষগুলো বিদ্যমান থাকে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক সাহাবীর প্রশ্নের জবাবে বলেন- ‘গীবত হচ্ছে যা শুনলে তোমার ভাইয়ের খারাপ লাগবে, তা নিয়ে আলোচনা করার নামই গীবত।’এতে ওই সাহাবি আবার জিজ্ঞেস করেন, আমি যা বলছি তা যদি ওই ব্যক্তির মধ্যে বিদ্যমান থাকে তবু কি তা গীবত হবে? তখন মহানবী সা. প্রত্যুত্তরে বলেন, ‘যদি তার মধ্যে ওই দোষগুলো থাকে তাহলেই তো গীবত হবে আর তা না থাকলে সেটা হবে তোহমত যার অর্থ অপবাদ।’
পবিত্র কোরআনে কারিম ও হাদিস শরিফে গীবত সম্পর্কে কঠোর ভাষায় হুশিয়ার করে দেওয়া হয়েছে বারবার। মহান আল্লাহতায়ালা সূরা হুজরাতের ১২ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা অনুমান থেকে দূরে থাকো। কেননা অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপের কাজ। তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না এবং একে অপরের পশ্চাতে গীবত করো না।’
নবীয়ে কারিম সা. বলেছেন, তোমাদের কেউই কারও গীবত করবে না। গীবত করলে তোমরা ধ্বংস হবে।মহানবী সা. আরও বলেন, ‘তোমরা গীবত থেকে বেঁচে থাকো। কারণ তাতে তিনটি ক্ষতি রয়েছে-
১. গীবতকারীর দোয়া কবুল হয় না।
২. গীবতকারীর কোনো নেক আমল কবুল হয় না।
৩. আমলনামায় তার পাপ বৃদ্ধি হতে থাকে।
হজরত ইবনে আব্বাস রা. বলেছেন, ‘যখন তুমি কারও দোষ বর্ণনা করতে ইচ্ছা করো তখন নিজের দোষের কথা স্মরণ করো। যদি নিজের দোষ না দেখে শুধু অন্যের দোষই বর্ণনা করতে থাকো তাহলে আখেরাতে আল্লাহও তোমার দোষ প্রকাশ করবেন।’
কুরআন ও হাদিসে গীবতকে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। যেভাবে মৃত ব্যক্তির গোশত কেটে ভক্ষণ করা হলে মৃত ব্যক্তির কোনো কষ্ট হয় না, তেমনি কারও গীবত করা হলে সে অনুপস্থিত থাকায় তারও কোনো কষ্ট হয় না। এভাবে মৃত ব্যক্তির গোশত ভক্ষণ অত্যন্ত খারাপ ও নিকৃষ্ট কাজ, যা মানুষের রুচি বিরুদ্ধ। ঠিক গীবতও এ রকম।
হজরত রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘যারা গীবত করবে এরা ইহকালে যদিও ভালো ভালো নেক আমল করে, রোজা রাখে বা অন্যান্য ইবাদত করলেও এদের পুলসিরাত অতিক্রম করতে দেয়া হবে না। বরং তাদেরও বলা হবে- তোমরা গীবতের কাফ্ফারা না দেয়া পর্যন্ত সামনে এগুতে পারবে না।’অথচ পুলসিরাত অতিক্রম না করে কারও পক্ষেই জান্নাতে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই বোঝা গেল, গীবতকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
জাহান্নামে গীবতকারীদের দেহ থেকে গোশত ঝরে পড়বে। এক আয়াতে বলা হয়েছে, ‘কঠিন শাস্তি ও দুর্ভোগ তাদের জন্য যারা পশ্চাতে ও সম্মুখে মানুষের নিন্দা করে থাকে। ‘প্রিয় নবিজি সা. বলেছেন, আগুন যত দ্রুত শুষ্ক কাঠকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়। গীবত তার চেয়েও অতি দ্রুত বান্দার নেক আমলগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। ’
গীবত বা পরচর্চা নামাজ-রোজা বাদ দেয়ার চেয়েও নিকৃষ্টতম। গীবত বর্তমানে সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গীবত করা জায়েজ। যেমন-
১. অত্যাচারী জালেম শাসকের সম্পর্কে গীবত করা যাবে।
২. কারও দোষ দূর করার জন্য গীবত করাতে কোনো অসুবিধা নেই।
৩. কোনো ব্যক্তিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য বা পাপ কাজ থেকে লজ্জা দেয়ার জন্য গীবত করা যাবে।
৪. কাউকে কোনো ভালো শিক্ষা ও সৎ পথে আনার উদ্দেশ্যে ওই ব্যক্তির গীবত করা যাবে।
৫. দ্বীন ইসলামের প্রতি উৎসাহী করার জন্য গীবত করাও বৈধ।
৬. কেউ যদি বিয়ের উদ্দেশ্যে কারও কাছে পাত্র বা পাত্রীর সম্পর্কে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করে বা জানতে চায়। তাহলে নিয়ম হলো- দোষ-ত্রুটি থাকলে তা বলে দেওয়া। তা গীবত হবে না। কারণ ওই পাত্র বা পাত্রীর দোষ-ত্রুটি এখন না বললেও বিয়ের পরে যখন প্রকাশ পাবে তখন দাম্পত্য জীবনে অনেক ফেৎনা-ফ্যাসাদ ও ঝগড়া-বিবাদ হতে পারে।
আমাদের পুরোপুরি ধর্মীয় জ্ঞান না থাকার কারণে দৈনন্দিন কতই না পরনিন্দা করে যাচ্ছি। আর এ নিন্দার মাধ্যমে পরস্পরের দোষচর্চা হয়ে থাকে বলে তাকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়তই জন্ম নিচ্ছে হিংসা-বিদ্বেষ, ঘৃণা, আর তা থেকে সৃষ্টি হচ্ছে ঝগড়া-বিবাদ, হানাহানিসহ বিভিন্ন ফেৎনা-ফ্যাসাদ। এর মাধ্যমে পরস্পরের আত্মবিশ্বাস ও সহমর্মিতা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। শত্রুতা বৃদ্ধি পাচ্ছে সমাজে, যার ফলে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক জীবন হয়ে ওঠে অশান্ত ও গ্লানিময়।
অতএব, আমাদেরসবার উচিত অন্যের দোষ-ত্রুটি অপরের কাছে আলোচনা না করে নিজের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বের করে তা সংশোধন করতে সচেষ্ট থাকা। তাহলে পরনিন্দা করার আর কোনো সুযোগ থাকবে না। আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে পরনিন্দা থেকে বেঁচে থাকার তওফিক দান করুন। আমিন।
- উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করায় প্রধানমন্ত্রীকে পবিপ্রবি`র অভিনন্দন
- প্রেস ক্লাবের সংঘর্ষে ছাত্রদলের ১৩ জন রিমান্ডে
- ড্রাইভিং লাইসেন্সের জট খুলেছে
- টুইটারে আসছে ‘সুপার ফলো’ ফিচার
- পটুয়াখালীতে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে পালিত
- বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বন্ধ পাটকল চালুর নীতিতে প্রধানমন্ত্রীর সায়
- দুর্গম এলাকায় স্থানীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে
- ক্ষতিগ্রস্তরা যেন বীমার সুবিধাবঞ্চিত না হয়, সতর্ক থাকার নির্দেশ
- ঋণ নিয়ে নয়ছয় করলে কঠোর শাস্তি
- আদা খেলে যেসব রোগ সারে
- আঙুলের ছাপে পরিচয় নিশ্চিতের প্রযুক্তি আনল র্যাব
- টিকা দেয়ার জন্য শিক্ষকদের তালিকা চেয়েছে সরকার
- ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিশাপ ‘সেশনজট’ এখন আর নেই’
- নান্দনিকাতার ছোঁয়া পেতে ঘর অনুযায়ী চাদর নির্বাচন করুন
- কার্বোনেটেড বেভারেজকে এনার্জি ড্রিংকস বলে প্রচার করা যাবে না
- ঢাবির ১২ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার
- ফেব্রুয়ারিতে ৪৮ কোটি টাকার চোরাচালান ও মাদক জব্দ করেছে বিজিবি
- দেশবিরোধী একটি মহল সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র করছে: কাদের
- সব দুর্যোগ-সংগ্রামে পুলিশ প্রথম এগিয়ে আসে: পাটমন্ত্রী
- করোনা আমাকে একরকম বন্দি করে দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- হালুয়া নানা স্বাদে
আপেলের হালুয়া - বীমায় ‘একচুয়ারি’ ডিগ্রি নিতে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন ৫ শিক্ষার্থী
- ডিএসইর লেনদেন কমলেও বেড়েছে সিএসইতে
- জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সেনাবাহিনীর প্রথম দলের ঢাকা ত্যাগ
- করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৮, শনাক্ত ৫৮৫
- ৬ মেট্রো রেলে ঢাকার যানজট মুক্তির স্বপ্ন
- পুলিশকে কেন বারবার প্রতিপক্ষ বানানো হয়: আইজিপি
- নিজের অস্ত্রপচার প্রয়োজন জানালেন অমিতাভ
- মুশতাকের মৃত্যুর কারণ তদন্তে বেরিয়ে আসবে: তথ্যমন্ত্রী
- ভারতও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে
- মঙ্গলগ্রহের যেসব স্থানে বাড়ি তৈরি করা যাবে
- মুখরোচক দুধ চা স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর
- আবারও পূর্বরূপে সহিংস রাজনীতিতে ফিরে গেলো বিএনপি
- ‘ক্লাসরুম’ দিয়ে আবারো ফিরছেন জেমস
- ভারতে জলোচ্ছ্বাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪, নিখোঁজ ১৭০
- আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করেছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
- টিকার কার্যকারিতা গবেষণা পর্যায়ে, সুরক্ষা মেনে চলুন
- বিএনপির এজেন্ট কেন্দ্রে না গেলে দায়ভার কার, প্রশ্ন হানিফের
- শীত শেষে যেভাবে নেবেন শীতের পোশাকের যত্ন
- সামুদ্রিক মাছের অবিশ্বাস্য পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
- ‘অপারেশন সুন্দরবন’র টিজার প্রকাশ (ভিডিও)
- সেই মিলন নেছা মাঝি পেল সরকারি পাকা ঘর
- চলতি বছরে চালু হচ্ছে বরিশাল-পটুয়াখালী পায়রা সেতু
- গড়াই নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফেরাতে কাজ করছে সরকার
- আজ ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের ৯৮ তম জন্মবার্ষিকী
- মাছের ডিমের উপকারিতা
- পটুয়াখালীতে বন্যপ্রানী সংরক্ষণে গণ সচেতনতামূলক সভা
- দেশে প্রথমবারের মতো মাছের ভ্যাকসিন উদ্ভাবন
- স্বামীকে হত্যার কথোপকথনের রেকর্ডিং পরকীয়া প্রেমিকের ফোনে
- অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে