• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

দেশ ঠিক আছে বিএনপির তলা ফেটে গেছে- নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২২  

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ  নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, দেশ আর তলাবাহীন ঝুড়ি নাই। দেশ ঠিক আছে। বিএনপির তলা ফেটে গেছে। বিএনপি এত অত্যাচার ও নিপীড়ন করেছে যে দেশের মানুষের কাছে তাদের অবস্থান নাই। তারা দেশের মানুষের কাছে যায়না। তারা যায় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কাছে। তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ না করে নয়াপল্টনে করতে চায়। ঢাকা শহরে গোলমাল সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে-সেটা বিদেশীদের বুঝাতে চায়। নয়াপল্টন জনসভার জায়গা না। সেটা গাড়ি চালানোর জায়গা। বিএনপি ভোটে যেতে চায়না, বাংলার মানুষের কাছে যেতে চায়না।

প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার  চরমোন্তাজ মান্তা পল্লী মাঠে রাঙ্গাবালী প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘অবহেলিত চরাঞ্চল উন্নয়নে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। রাঙ্গাবালী উপজেলা  আওয়ামী লীগের সভাপতি  অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে  এবং রাঙ্গাবালী প্রেসক্লাবের সভাপতি সিকদার জোবায়ের হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  রাঙ্গাবালী-কলাপাড়ার সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান, সাংবাদিক নেতা কুদ্দুস আফ্রাদ, ভারতের বহুভাষী সংবাদ সংস্থা হিন্দুস্থান সমাচার এর বাংলাদেশ ব্যুরো প্রধান কিশোর সরকার এবং রাঙ্গাবালী উপজেলা  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান মামুন খান।

এসময় প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাবালীর উন্নয়ন তুলে ধরে বলেন, রাঙ্গাবালীকে রাঙিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে থানা হয়েছে, রাস্তাঘাট, স্কুল হয়েছে। উপজেলায় পরিনত হয়েছে। ইন্টারনেট সেবা এসেছে। বিদ্যুৎ এসছে। উপকূলীয় চরমোন্তাজ আর অবহেলিত নয়। প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে সবকিছুর সাথে যুক্ত হয়ে গেছে। শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। সবধরনের উন্নয়ন হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ১০হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের তৈরির কথা বলা আছে, সেলক্ষে কাজ হচ্ছে। নৌ-পথ খননের জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ড্রেজার ছিলনা। ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ'র ড্রেজার ছিল আটটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ বছরে বিআইডব্লিটিএ'র জন্য ৮০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছেন। নাব্যতার কারণে যাতে কোন অঞ্চলে নৌযান আটকে না থাকে এবং ড্রেজিং করে নৌ-পথ সচল করা যায় সেজন্য্য বরিশালসহ নয়টি অঞ্চলে নয়টি 'ড্রেজার বেইজ' স্থাপন করা হয়েছে। গলাচিপার পানপট্টি ও রাঙ্গাবালীর মধ্যে শীঘ্রই ফেরী সার্ভিস চালু করা হবে। দুর্যোগের সময়ে উপকূলীয় অঞ্চলে দ্রুত মালামাল নেয়ার জন্য 'হোবার ক্রাফট' সংগ্রহ করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী চরমোন্তাজ মান্তা পল্লী মাঠ প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে চলমান আশ্রয়ণ প্রকল্প-২  এর আওতাভূক্ত ভাসমান মান্তা সম্প্রদায়ের জন্য নির্মিতব্য ৩০টি ঘরের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলে শেষ করা যাবেনা। প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনের গৃহের ব্যবস্থা করেছেন। পটুয়াখালীতে বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যান্টনমেন্ট, নেভাল বেইজ, পায়রা বন্দর,  অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছেন। কুয়াকাটাকে পর্যটন অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি করিয়েছেন। চরমোন্তাজ বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে যুক্ত করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চরমোন্তাজের পরও বাংলাদেশের সীমানা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সমুদ্রসীমা বিজয়ের মাধ্যমে সমুদ্রে অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সমুদ্রে আরেকটি বাংলাদেশের আয়তনের সমান বাংলাদেশ আছে। বঙ্গোপসাগরের সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশে পরিণত হব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার সরকার-বারবার দরকার। যত দিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ; পথ হারাবেনা বাংলাদেশ। সে পথ ধরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করব। আমাদের উন্নয়নের বড় বাঁধের নাম শেখ হাসিনা। তাঁকে ছাড়া, স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবেনা। অন্ধকারে তলিয়ে যাবে। খালেদা জিয়ারা ক্ষমতায় এলে সারাদেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি হবে। লুটেরা, দুর্নীতিবাজ হাওয়া ভবন, বিদ্যুতের খাম্বা লুটপাট তৈরি হবে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকলে মানুষ খেতে পারতনা। শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্র করেছিল যেন পদ্মা সেতু না হয়। দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন না হয়। প্রধানমন্ত্রী ১৪ বছরে দক্ষিণাঞ্চলসহ সারাদেশের উন্নয়ন করেছেন, যা মানুষ কল্পনা করেনি। এ উন্নয়নকে ধরে রাখতে হবে। শেখ হাসিনার প্রতি বাংলার মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আছে। তিনি উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটা সময় সমুদ্রে আমাদের কোন অধিকার ছিলোনা। সমুদ্রে যেতে হলে ভারত এবং মিয়ানমারের অনুমোতি নিয়ে যেতে হত। এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশ সমুদ্র জয় করেছে।সমুদ্রের বুকে নতুন নতুন চর জেগে আরেকটি বাংলাদেশ তৈরী হচ্ছে। সমুদ্রের সুনিল অর্থনীতি বাংলাদেশকে ধনী দেশে পরিনত করবে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এতো উন্নয়নের পরেও মির্জা ফখরুল বলতেছে দেশ নাকি তলানির জুড়িতে পরিনত হয়েছে। দেশ যদি তলানির জুড়িতে পরিনত হয়ে যায় তাহলে বাংলার মানুষ আজকে যে খেয়ে পরে আছে, তারা কি খেয়ে পরে থাকতে পারতো? এতো উন্নয়ন কি হতো?