আন্তর্জাতিক মনোযোগ কাড়তে তৎপর আরাকান আর্মি
আজকের পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
মিয়ানমারের অভ্যন্তরের চলমান সংকট ধীরে ধীরে আরও ঘনীভূত হচ্ছে। জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছে দেশটির একাধিক ফ্রন্টে বিভক্ত সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের নতুন 'ট্রাম্পকার্ড' খুঁজছে তারা। এমন কৌশলে সীমান্তের ওপারের সমস্যাকে আন্তর্জাতিক মনোযোগ কাড়তে তৎপর আরাকান আর্মি। তাদের দাবি, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে হলে আরাকান আর্মিকে স্বীকৃতি দিয়ে আলোচনায় বসতে হবে বাংলাদেশকে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এক ধরনের নাটকীয় বার্তা দিল আরাকান আর্মির রাজনৈতিক সংগঠন ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান (ইউএলএ)। তাদের ভাষ্য, আরাকানের যে কোনো সমস্যা নিয়ে বোঝাপড়া করতে হলে বৈশ্বিক সব ধরনের প্ল্যাটফর্ম থেকে তাদের সঙ্গে বসতে হবে।
বিশ্নেষকরা বলছেন, আরাকান আর্মির এই ধরনের বার্তা দুটি বিষয়ের ইঙ্গিত দেয়। প্রথমত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকানে সংগঠনটি শক্ত ভিত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। আরেকটি হলো, তারা মিয়ানমারের সংকটের দিকে বিশ্বের দৃষ্টি চায়। এ ছাড়া কেউ কেউ মনে করেন, আরাকান আর্মির এমন ভাষ্য মিয়ানমার সীমান্তের নতুন মেরূকরণের ভবিষ্যৎ ইঙ্গিত হতে পারে।
সীমান্ত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখেন এমন একাধিক বিশেষজ্ঞ বলেন, মিয়ানমারের যত সশস্ত্র সংগঠন রয়েছে তাদের মধ্যে আরাকান আর্মি অনেক আগে থেকেই সুসংগঠিত। জান্তা সরকারের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে কয়েক বছর ধরে তারা আরও শক্তিশালী হয়েছে। এ ছাড়া মিয়ানমারের যে অংশে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের কথা, সেই এলাকায় তাদের বড় ধরনের নিয়ন্ত্রণ আছে। যদিও রোহিঙ্গাদের কখনোই সমর্থন করেনি আরাকান আর্মি। সশস্ত্র সংগঠনটি রোহিঙ্গাদের 'আরাকানি মুসলিম' বলে অভিহিত করে। তাই রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাদের এক ধরনের দূরত্ব রয়েছে। তবে জান্তা সরকারের মতো রোহিঙ্গাদের নিয়ে তারা বিভিন্ন সময় নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
এ ব্যাপারে নিরাপত্তা বিশ্নেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, যখন রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে, হত্যা ও ধর্ষণ এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে বিতাড়িত করা হলো তখন আরাকান আর্মি কোথায় ছিল? প্রতিরোধ তো দূরে থাক, তারা একটা বিবৃতি পর্যন্ত দেয়নি। এখন হঠাৎ করে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কথা বলছে আরাকান আর্মি। এটা তাদের কৌশল। ভূ-রাজনৈতিকভাবে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের পক্ষ হয়ে কাজ করছে তারা।
প্রায় এক মাস ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপাশ থেকে বিকট গোলার শব্দ শোনা যাচ্ছে। একাধিকবার ওপাশ থেকে ছোড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পাহারা জোরদার করা হয়েছে। এই ধরনের আচরণ বন্ধ করতে কূটনৈতিকভাবে নানামুখী চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া বিজিবির পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব এরই মধ্যে মিয়ানমারকে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিজিবির সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন্স) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, আলোচনায় বসতে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সে ব্যাপারে মৌখিক সম্মতি জানিয়েছে মিয়ানমার। এখন চিঠি চালাচালির মধ্য দিয়ে তারিখ ঠিক হবে। সাধারণ সীমান্তের এই ধরনের সমস্যার আলোচনা ক্যাম্প ও ব্যাটালিয়ন পর্যায় থেকে শুরু হয়। এরপর সেখানে কারও মনে কোনো প্রশ্ন থাকলে তা ধীরে ধীরে ওপরের স্তরে আসে।
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, এই ধরনের আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করতে তাঁরা চান না। তাদের বক্তব্য- মিয়ানমারের সমস্যা তাঁদের অভ্যন্তরে থাকুক। এর জন্য কেন সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকরা ভোগান্তিতে পড়বে।
ঘুমধুমের বাসিন্দা সৈয়দ রহমান হিরা বলেন, গোলাগুলি যখন শুরু হয় কান ফেটে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। শিশুরা বেশি ভয় পায়। আর দিনের তুলনায় রাতে শব্দ বেশি পাওয়া যায়। মাসখানেকের মধ্যে বুধবার রাতে গোলাগুলির শব্দ কম পাওয়া যায়। তবে দিনে দু-তিনবার হয়েছে।
সংশ্নিষ্টরা বলছেন, মিয়ানমারের ভেতরে এবার নতুনভাবে সংকট শুরু হওয়ার পর সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি আরেকটি বিষয়ে 'জিরো টলারেন্স' বাংলাদেশের। এবার আর কোনো রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
২০১২ সালে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নেয় মোহাম্মদ জুবাই। তিনি এখনও নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন এপারে ঝুপড়ি ঘরে বসে। জুবাই জানালেন, বাংলাদেশ মানবিক বিবেচনায় যখন থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে তখন থেকেই মিয়ানমার এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সীমান্তে এমন পরিস্থিতি জিইয়ে রাখছে। কারণ মিয়ানমারে এসব গোলাগুলি চলতে থাকলে এপারে আশ্রিত রোহিঙ্গারা কখনও সে দেশে যেতে রাজি হবে না। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্র্রদায় সেটি বিবেচনা করবে, সে দেশের ফিরে যাওয়ার এখনও পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি।
১৯৯৬ সালে মিয়ানমার মংডু থেকে পালিয়ে বর্তমানে আশ্রিত টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান মো. আলম জানান, আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার জান্তা মিলে সে দেশে এখনও যসব রোহিঙ্গা রয়েছে তাদের সেখান থেকে বিতাড়িত করে আরাকান রাজ্যে দখল নেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এখন সময় মগ আর জান্তা সরকার মিলে আমাদের এখানে চলে আসতে বাধ্য করছিল। এই পরিস্থিতিতে সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা অনিরাপদ। যে কোনো সময় তাদেরও এখানে চলে আসতে বাধ্য করবে জান্তারা। তারা চায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বিতাড়িত করতে।
১৯৯১ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে টেকনাফ নয়াপাড়া আশ্রয় নেয় মোহাম্মদ ইসলাম। তিনি বর্তমানে নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্পের চেয়ারম্যান। তিনি জানালেন, মিয়ানমার জান্তারা রোহিঙ্গাদের মধ্য শিক্ষিত লোকজনকে বেছে বেছে হত্যা করে। এরপর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধন চালায়। যখনই রোহিঙ্গাদের ফেরতের বিষয়ে আলোচনা উঠে আসে, তখন কোনো না কোনোভাবে মিয়ানমার পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এরই একটি অংশ হচ্ছে মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি।
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- গরমে সতেজ থাকার কৌশল
- কাঁচা আমের আচার তৈরির সহজ রেসিপি
- ২০২৫ সালে এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার
- দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১২
- কক্সবাজারে স্পেশাল ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত
- ঝালকাঠির দুইটি উপজেলার নির্বাচনে মনোনয়পত্র যাচাই বাছাই
- শিবচরে বালু উত্তোলন করার অপরাধে ড্রেজার, বাল্কহেডসহ ১১জন আটক
- ২০২৫ সালের মধ্যে শিশু শ্রম শূন্যের কোটায় আনা হবে
- বরিশালের দুই উপজেলার ২১ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- বরিশালে ২টি নৌযান সহ ৩৯ জেলে আটক
- গৌরনদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৬ হাজার ৮শত টাকা জরিমানা
- আজ দেখা যাবে পিংক মুন, ঢাকায় শক্তিশালী টেলিস্কোপ স্থাপন
- কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে, তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট
- থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
- আগামী দিনে হজ ব্যবস্থাপনা আরও স্মার্ট হবে: ধর্মমন্ত্রী
- ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন
- অভিযোগ পেলে পিডিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, প্রয়োজনে পরিবর্তন
- শ্রম আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র টালবাহানা করছে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
- কারা সনদ নিয়েছেন, কারা টাকা নিয়েছেন খুঁজে বের করবো: ডিবিপ্রধান
- জরিপ সম্পর্কে জমির মালিকদের জানাতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি আজ
- চঞ্চলকে নিয়েই শাকিবের ‘তুফান’
- অফশোর ব্যাংকিংয়ে সুদের ওপর কর প্রত্যাহার
- আবহাওয়া ঠান্ডা রাখতে রাস্তায় নিয়মিত পানি ছিটানোর পরামর্শ
- পাট পণ্যের উন্নয়নে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: নানক
- আন্তর্জাতিক শিশু পর্নোগ্রাফি চক্রের দুজন আটক
- র্যাবের মুখপাত্রের দায়িত্ব নিলেন কমান্ডার আরাফাত
- থর মরুভূমির প্রভাব দেশে, বৃষ্টির বাতাস সরে গেছে চীনে
- ক্যাম্পে রোহিঙ্গা যুবককে কুপিয়ে হত্যা
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের
- গলাচিপায় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ
- বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৪টি মামলা, অর্থদণ্ড আদায়
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- পটুয়াখালীতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোর চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার
- ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন কি না বুঝে নিন লক্ষণে
- বরিশালে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে অলোচনা সভা
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- পটুয়াখালীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস
- বদহজম-পেটে যন্ত্রণা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- হুপিং কাশিতে আক্রান্ত কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে