• বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৩ ১৪৩০

  • || ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগের বিকল্প নাই: প্রধানমন্ত্রী মহানবীর (সা.) আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই সফলতা-শান্তি নিহিত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন কাল পর্যটন শিল্পের প্রসারে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের জনসভায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী ক্রীড়ার ভেতর দিয়েই শিশুর সামাজিকীকরণ ঘটে: প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে প্রথম বাংলায় ভাষণের ৪৯তম বার্ষিকী আজ তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগে জনগণকে সম্পৃক্ত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক শক্তি বাংলাদেশ চুরি করা অর্থ দিয়ে আন্দোলন করছে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী বিএনপি কি আসলেই নির্বাচন চায়, তাদের নেতা কে: প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী আগামী প্রজন্মের জন্য সমুদ্রগুলো যেন সমৃদ্ধির উৎস হয়ে থাকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে বাংলাদেশ পুতুলের রাজনীতিতে আসার বিষয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে: শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণই তাদের ‘স্যাংশন’ দিয়ে দেবে: প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর ছিলেন বঙ্গমাতা, শেখ হাসিনার আছেন শেখ রেহানা

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই একাধিকবার বক্তৃতায় বলেছেন, ৭ মার্চের ভাষণের ক্ষেত্রে বঙ্গমাতা মুজিবের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তিনিই জাতির পিতাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তার মনে যা আসে তা বলার জন্য। ঠিক একইভাবে শেখ হাসিনাকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছেন শেখ রেহানা। শেখ রেহানাই হলেন শেখ হাসিনার অভিভাবক। শেখ রেহানা বয়সে শেখ হাসিনার চেয়ে বয়সে ছোট হলেও একজন অভিভাবকই বটে। তিনি শেখ হাসিনাকে শাসন করেন, পরামর্শ দেন, নিশঙ্কচিত্তে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ান।

আজ ১৩ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার জন্মদিন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পুনরুত্থান যুগের সূচনা হয়েছিলো শেখ হাসিনার মাধ্যমে। জাতির পিতার মর্মান্তিক মৃত্যুর পর ১৯৮১ সালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিকূল পরিবেশে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসেন। তারপর তিল তিল করে দিকভ্রান্ত আওয়ামী লীগকে গড়ে তোলেন শেখ হাসিনা। আজকের আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার অবদান। তিনি জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল স্থপতিও বটে। আর পেছন সাহস দিয়ে গেছেন শেখ হাসিনার নিভৃতচারী সহচর শেখ রেহানা।

শেখ রেহানা কেবল বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়েই নন, তিনি আওয়ামী লীগের একজন দুঃসময়ের কান্ডারীও বটে। কঠিন সময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির পাশে দাঁড়ানো, তাকে সাহস যোগানো, তাকে পরামর্শ দেওয়ার নেপথ্যচারিণী নেতা হলেন শেখ রেহানা। শেখ রেহানা আওয়ামী লীগের কোনো পদ-পদবীতে নেই, সরকারের কোনো সুযোগ-সুবিধাও ভোগ করেন না। তিনি একজন রত্নগর্ভা মা। লন্ডনে বেশিরভাগ সময় থাকেন। তার কন্যা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রভাবশালী এমপি। তার ছেলে রেদওয়ান মুজিব ববি একজন মেধাবী তরুণ। তার ছোট মেয়ে যুক্তরাজ্যে একজন মেধাবী মুখ হিসেবে পরিচিত।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনার পর যিনি সবচেয়ে বেশি চেনেন তিনি হলেন শেখ রেহানা। আওয়ামী লীগের সমস্যা এবং ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো যিনি নির্ভয়ে-নি:সংকোচে আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে তুলে ধরেন তিনি হলেন শেখ রেহানা। যিনি শেখ হাসিনার সবসময় মঙ্গল কামনা তিনি হলেন শেখ রেহানা। শেখ রেহানার ইতিবাচক ভূমিকার কারণেই শান্তির আলোকবর্তিকা হাতে বিশ্বময় শেখ হাসিনা। শেখ রেহানা বেগম মুজিবের পরিপূরক হয়ে উঠেছেন তার কর্মে এবং যোগ্যতার মাপকাঠিতে। বিশেষ করে শেখ রেহানার কথা উচ্চারিত হলে ২০০৭-এর ওয়ান ইলেভেনের কথা দৃশ্যপটে সামনে চলে আসে। সেসময় আওয়ামী লীগকে বিভক্তির হাত থেকে বাঁচাতে, শেখ হাসিনার মুক্তির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে এবং আন্তর্জাতিক মহলে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে শেখ রেহানাই মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।

যদিও তিনি রাষ্ট্রীয় কোনো পদ বা কর্মকাণ্ডে জড়িত নন। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জটিল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তার সঙ্গে পরামর্শ করেন। শেখ হাসিনা ছোটবোন শেখ রেহানার মধ্যে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ছায়া দেখতে পান। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান যখন বাংলাদেশের মুক্তির আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, ছয় দফা থেকে শুরু করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৭৯-এর গণ-আন্দোলনে জীবন বাজি রেখেছিলেন বাঙালির মুক্তির জন্য- সেসময় বঙ্গবন্ধুকে আগলে রেখেছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব।

বিশেষ করে, সেসময় আওয়ামী লীগের সব ধরনের সংকটে বঙ্গমাতার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত সাহসী এবং সপ্রতিভ। প্যারোলে মুক্তি নিয়ে গোলটেবিল বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল বঙ্গমাতার। আওয়ামী লীগ যখন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চলাকালে সংকটে নিপতিত, দলের শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাকর্মী যখন কারান্তরীণ, তখন বঙ্গমাতাই আওয়ামী লীগের কোনো পদে না থেকেও দলকে আগলে রেখেছিলেন। নেতাকর্মীদের সহায়তা করেছিলেন এবং আন্দোলনের জন্য দলকে সংগঠিত করেছিলেন। কিন্তু তিনি কখনই কোনো পদে ছিলেন না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই একাধিকবার বক্তৃতায় বলেছেন, ৭ মার্চের ভাষণের ক্ষেত্রে বঙ্গমাতা মুজিবের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তিনিই জাতির পিতাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তার মনে যা আসে তা বলার জন্য। ঠিক একইভাবে শেখ হাসিনাকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছেন শেখ রেহানা। শেখ রেহানাই হলেন শেখ হাসিনার অভিভাবক। শেখ রেহানা বয়সে শেখ হাসিনার চেয়ে বয়সে ছোট হলেও একজন অভিভাবকই বটে।

তিনি শেখ হাসিনাকে শাসন করেন, পরামর্শ দেন, নিশঙ্কচিত্তে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ান। রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষ, দূরদর্শী হলেও ব্যক্তিজীবনে তিনি নিজের প্রতি মোটেও যত্নশীল নন। প্রায়ই তিনি তার ওষুধপথ্য খেতে ভুলে যান, খাওয়া-দাওয়াও সময়মতো করেন না। সারাক্ষণই দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতে গিয়ে নিজে বেছে নিয়েছেন এক অগোছালো জীবন। কিন্তু এখানে তাকে শাসন করেন শেখ রেহানা। শেখ হাসিনা যার বকুনির ভয় করেন, তিনিও শেখ রেহানাই।