• শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ২৩ ১৪৩০

  • || ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন বিশ্ব বাণিজ্যের প্রবেশ দ্বার হিসেবে কাজ করবে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবকে সব সময় হৃদয়ের কাছাকাছি পেয়েছি: প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস আজ আজ স্বৈরাচার পতন দিবস সরকার গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপমহাদেশে গণতন্ত্রের ইতিহাসে সোহরাওয়ার্দী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র: রাষ্ট্রপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ সবসময় সাহস জোগায়: প্রধানমন্ত্রী অবসরের তিন বছরের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তারা নির্বাচন করতে পারবে না বস্ত্র খাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে : রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম : প্রধানমন্ত্রী শেখ ফজলুল হক মনির ৮৫তম জন্মদিন আজ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় : রাষ্ট্রপতি প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয় : প্রধানমন্ত্রী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশের বিভিন্ন স্থান আইএমও’র কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ পার্বত্য শান্তি চুক্তি বিশ্বে একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত: রাষ্ট্রপতি তরুণদের মুখোমুখি সজীব ওয়াজেদ জয়

দেশ বদলের ট্রাম কার্ড হতে পারে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড!

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২৩  

‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড! কেন্দ্রীয় ডেটাবেজ সেভাবেই তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এক কোটি স্মার্ট কার্ড তৈরি করতে সরকারের ব্যয় হচ্ছে সাড়ে ১৭ কোটি টাকা। অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, এক কার্ডে সামাজিক সুরক্ষার সব সুবিধা। এ নীতিতে চললে রাতারাতি পাল্টে যাবে বাংলাদেশ!

স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, অনেক রকম সহায়তা এই মুহূর্তে চলছে ভিন্নভাবে। কিন্তু একটির সঙ্গে অন্যটির কোনো সমন্বয় নেই। এতে অবশ্যই ক্ষতি হচ্ছে। তবে এগুলো ধীরে ধীরে একখানে আসবে। সেই আশার পথে এটি একটি স্ট্রং পদক্ষেপ এবং সেখানেই আমাদের মূল লক্ষ্য। ওয়ান ক্লিক, ওয়ান কার্ড, ওয়ান এপ্রোচে - আমরা আমাদের বিভিন্ন ধরনের সহায়তা বা ভাতা পাবো। এটি আমাদেরকে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাবে। এতে লাভ হবে কী? অপচয় কমবে, লিকেজ কমবে, চুরিচামারির সম্ভাবনা কমবে - সব মিলিয়ে আমরা সেদিকেই যাচ্ছি।

জাতীয় পরিচয়পত্রের আদলে করা স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডটিতে সিকিউরিটি হলোগ্রামসহ কয়েক স্তরের নিরাপত্তায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে কার্ডধারীকে শনাক্ত করার প্রাথমিক তথ্য। তাছাড়া ব্যবহারকে সহজ করতে বারকোড বা কিউআর কোড সুবিধা রাখা হয়েছে।

একই পরিবারে যেন একাধিক কার্ড না যায়, সেজন্য জনপ্রতিনিধিদের পাঠানো মোবাইল নম্বর, এনআইডি নম্বরসহ সব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। তারপর পাঠানো হচ্ছে কার্ড তৈরির জন্য। কেউ তথ্য জালিয়াতি করলে আটকে যাচ্ছে প্রথম ধাপেই। এভাবে দিন শেষে যে কেন্দ্রীয় তথ্য ভান্ডার পাচ্ছে টিসিবি, সেখানে একটি কার্ড একটি পরিবারকেই প্রতিনিধিত্ব করছে বলে দাবি এই কার্ড তৈরিকারি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রাম সলিউশনস লিমিটেডের।
 
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পাইলটিং করে একটি ফাইন টিউনিং অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। একটি পরিবারের জন্য একটি কার্ড। এই পরিবারের সবার তথ্য এই কার্ডে যুক্ত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

কিন্তু মাত্র সাড়ে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ছবিযুক্ত এ স্মার্ট কার্ড কীভাবে বদলে দিতে পারে বাংলাদেশকে? বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, দেশে বর্তমানে দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা সোয়া ৪ কোটিরও কম। তাদের ঘিরেই চলছে সামাজিক সুরক্ষাসহ সরকারের সব বিশেষ কর্মসূচি। প্রতি পরিবারে ৫ জন ধরে দেশের ৫ কোটি মানুষকে ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলে দাবি সরকারের। অর্থাৎ, দেশের সবচেয়ে নিম্ন আয়ের সব মানুষই আসছেন এ কার্ডের আওতায়।

এক কোটি পরিবারের এ কেন্দ্রীয় ডেটাবেজে পুল বা পুশ পদ্ধতিতে সরকারের অন্যান্য কর্মসূচির তথ্য পাঠালেই দেখা যাবে, সুবিধাটি কোন পরিবারের সদস্য পাচ্ছেন। এভাবে সহজেই জানা যাবে নিম্ন আয়ের একটি পরিবারে কতগুলো সুবিধা যাচ্ছে। যা দেখে সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, ওই পরিবারের সহায়তা কমাতে হবে, নাকি আরও দিতে হবে। এভাবেই স্মার্ট কার্ডের ডিজাইন করা হয়েছে বলে জানালেন টিসিবি'র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান।

তিনি বলেন, সরকারের দেয়া সব ধরনের সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমকে আমরা একটি কার্ডের আওতায় আনতে চাই। কাজেই আমরা আমাদের টিসিবির কার্ডটিকে এমনভাবে করেছি যে, এক কোটি নিম্ন আয়ের মানুষ আমরা পেলে, সেই এক কোটি মানুষকে যদি কোনো সংস্থা তাদের তালিকায় আনতে চায়, তারা আমাদের এই ডেটা ব্যবহার করতে পারবে। তাছাড়া তারা একই কার্ডের মাধ্যমে তাদের পণ্য বিতরণ করতে পারবে বা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। আমরা সেই ব্যবস্থা আমাদের কার্ডের মধ্যে রেখেছি।

নিম্ন আয়ের মানুষকে ঘিরে চালানো সব কর্মসূচিকে একটি কার্ডের মাধ্যমে পরিচালিত করতে পারলে সত্যিই বদলে যাবে বাংলাদেশ - এমন বিশ্লেষণ অর্থনীতিবিদদেরও।

এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, আমি মনে করি, এটি একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে যে, আমাদের কাছে যদি সব সময় একটি ডেটাবেইজ থাকে এবং আমরা স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে যদি আমাদের সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারি, সেটি খাদ্য হোক বা খাদ্য বহির্ভূত হোক, তাহলে সেই ক্ষেত্রে এখান থেকে আসলে কম অর্থ ব্যয় করে অনেক বেশি উপকারভোগীকে সহায়তা দেয়া সম্ভব। কারণ আমরা চিহ্নিত করতে পারছি যে, কাকে সহায়তা দেয়া হচ্ছে এবং কী পরিমাণে দেয়া হচ্ছে। আমরা যত অপচয় কমাতে পারবো, আমরা তত বেশি মানুষকে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে পারব।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, চলতি বছরেই ৭৫ লাখ আর আগামী বছরের শুরুতে আরও ২৫ লাখ, মোট এক কোটি পরিবারে এ কার্ড পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করছে টিসিবি।