পদ্মা সেতু পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলো এখন সুখের ঠিকানা
আজকের পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২২
স্বপ্নের পদ্মা সেতু তৈরি করতে গিয়ে নদীর দুই পাড়ে ভাঙাগড়া কম হয়নি। ঘরবাড়ি ভাঙনের পাশাপাশি ভিটেমাটি ও কৃষিজমি হাতছাড়া হয়েছে উভয় পাড়ের বাসিন্দাদের। এ চিত্র ছিল সেতু নির্মাণকাজের শুরুর দিকের। ক্ষতিগ্রস্ত সেই মানুষরাই পেয়েছেন নতুন করে মাথা গোঁজার ঠাঁই। ঘরহারাদের জন্য নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে নতুন ঘর, জমিহারাদের দেওয়া হয়েছে নগদ টাকা। পদ্মা সেতুর কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকার দুই পাড়ে মোট সাতটি পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরি করে দিয়েছে। এখানে বর্তমানে ৩০১১টি পরিবার বাস করছে। আর এখন এই পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোই পরিবারগুলোর কাছে সুখের ঠিকানা হয়ে উঠেছে।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের কুমারভোগ ৩ নম্বর পুনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহ আলী বলছিলেন, 'আমাদের জমি গেছে, তাতে কষ্ট নেই। এর প্রধান কারণ স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান। সেতুর দিকে তাকালে গর্ব হয়। তাছাড়া সরকার জমি নিলেও উন্নত জীবনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আগে বসবাস করতে হতো খুপরি ঘরে। আর এখন পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রায় প্রত্যেকেই পাকা বাড়ি বানিয়ে বাস করছেন। শুধু তাই নয়; এখানে কেউ আড়াই কাঠা, কেউ ৩ কাঠা, আবার কেউ ৫ কাঠা জমি পেয়েছেন। সেখানে অনেকেই ৪ তলা-৫ তলা বাড়ি তৈরি করেছেন। সেখানে নিজে বাস করছেন, আবার ভাড়া দিয়ে টাকা আয়ও করছেন। সুতরাং পদ্মা সেতুর পুনর্বাসন কেন্দ্র এখন আমাদের কাছে সুখের ঠিকানা।'
পুনর্বাসন কেন্দ্রের ভেতরেই একটি চায়ের দোকানে বসে শাহ আলীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। এ সময় দোকানটিতে আরও ৮ থেকে ১০ জন বাসিন্দা ছিলেন। তাঁরাও তাঁদের মনের কথা বলতে থাকেন।
পুনর্বাসন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন বিষয় এখানকার গাছগাছালির সবুজের সমাহার। বন বিভাগ থেকে এখানে প্রচুর গাছ লাগানো হয়েছে। প্রতিটি রাস্তার দু'ধারে শুধু গাছ আর গাছ। এ ছাড়া প্রতিটি পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিচালিত হয় সুশৃঙ্খলভাবে। এখানকার বাসিন্দারা নির্বাচনের মাধ্যমে একজন সভাপতি নির্বাচন করেন। ওই সভাপতির নেতৃত্বে একটি পরিচালনা কমিটি আছে। কেন্দ্রগুলোর ভালো-মন্দ সবকিছুই দেখভাল করে এই কমিটি।
পুনর্বাসন কেন্দ্রের আরেক বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, এখন মনে হয় আমরা গুলশান-বনানীর মানুষের মতো উন্নত জীবনযাপন করছি। কারণ, সেখানকার মতো আমাদের এখানেও রয়েছে আধুনিক পানি ব্যবস্থাপনা, স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, আধুনিক বাজার ও দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। সবুজায়নের কারণে আমরা এক ধাপ এগিয়ে আছি। তাই বেশ সুখেই আছি।
প্রকল্প সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তৈরি করা সাতটি পুনর্বাসন কেন্দ্রের মধ্যে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে চারটি এবং শরীয়তপুরের জাজিরার পূর্ব নাওডোবায় ৪ নম্বর, পশ্চিম নাওডোবার মাঝিরকান্দিতে ৬ নম্বর ও মাদারীপুরের বাকরেরকান্দিতে রয়েছে ৫ নম্বর পুনর্বাসন কেন্দ্র। মাওয়া প্রান্তের চারটির মধ্যে কুমারভোগে ৩ ও ৭ নম্বর কেন্দ্র এবং মেদিনীমণ্ডলের যশলদিয়ায় ২ ও ৮ নম্বরটি। তা ছাড়া লৌহজংয়ের দোগাছিতে রয়েছে ১ নম্বর পুনর্বাসন কেন্দ্র। এটি অবশ্য সাধারণ বাসিন্দাদের জন্য নয়। এটি পদ্মা সেতুতে কাজ করা চীনা প্রকৌশলীসহ অন্য কর্মকর্তাদের জন্য। সাতটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে বর্তমানে ৩০১১টি পরিবার বাস করছে। কেন্দ্রে রয়েছে পাঁচটি স্কুল ও পাঁচটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। রয়েছে ছয়টি নান্দনিক মসজিদ ও পর্যাপ্ত খেলার মাঠ। নির্মাণ হয়েছে নান্দনিক ঘরবাড়ি। ফলে পদ্মাতীরের জনপদের চেহারা এখন পাল্টে গেছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের পুনর্বাসন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী রজব আলী বলেন, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেই সাতটি পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটিই কেন্দ্রের সবকিছু দেখভাল করছে।
স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র: মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলায় পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় পাঁচটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে নির্মিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৭ সালের ১ মার্চ থেকে পাঠদান কার্যক্রম চালু হয়েছে। একই বছরের ২ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রগুলোতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়।
জানা যায়, বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক, শিক্ষকদের কক্ষসহ আটটি কক্ষ রয়েছে। প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার, উপ-মেডিকেল অফিসার, নার্স, ফার্মাসিস্টসহ ৯ জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় রয়েছে রিসোর্স ইন্টেগ্রেশন সেন্টার (রিক) ও সাবলম্বী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (এসএসইউএস)।
পুনর্বাসন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী রজব আলী বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকসহ ২৪ শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এ ছাড়া পিয়ন, নৈশপ্রহরী, অফিস সহকারী, মালী, ক্লিনারসহ আরও ১০ জন করে স্টাফ রয়েছে।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের
- গলাচিপায় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ
- বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৪টি মামলা, অর্থদণ্ড আদায়
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- পটুয়াখালীতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোর চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার
- ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন কি না বুঝে নিন লক্ষণে
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- পটুয়াখালীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস
- বদহজম-পেটে যন্ত্রণা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- হুপিং কাশিতে আক্রান্ত কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- নিষেধাজ্ঞায় অভয়াশ্রমে মাছ শিকার ১৪ জেলের কারাদন্ড
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে