• শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ২৩ ১৪৩০

  • || ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন বিশ্ব বাণিজ্যের প্রবেশ দ্বার হিসেবে কাজ করবে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবকে সব সময় হৃদয়ের কাছাকাছি পেয়েছি: প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস আজ আজ স্বৈরাচার পতন দিবস সরকার গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপমহাদেশে গণতন্ত্রের ইতিহাসে সোহরাওয়ার্দী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র: রাষ্ট্রপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ সবসময় সাহস জোগায়: প্রধানমন্ত্রী অবসরের তিন বছরের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তারা নির্বাচন করতে পারবে না বস্ত্র খাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে : রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম : প্রধানমন্ত্রী শেখ ফজলুল হক মনির ৮৫তম জন্মদিন আজ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় : রাষ্ট্রপতি প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয় : প্রধানমন্ত্রী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশের বিভিন্ন স্থান আইএমও’র কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ পার্বত্য শান্তি চুক্তি বিশ্বে একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত: রাষ্ট্রপতি তরুণদের মুখোমুখি সজীব ওয়াজেদ জয়

অবশেষে হিমুর মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন মেকআপ আর্টিস্ট মিহির

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০২৩  

বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গন অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর শোকেকাতর। এদিকে হিমুর মৃত্যুর পরে বারবার উঠে আসছে মেকআপ আর্টিস্ট মিহিরের নাম। হিমুর আত্মহত্যার সময় মিহির তার বাসায় ছিল।

এদিকে রোববার (৫ নভেম্বর) সকালে মিহির মোমোন রিয়াল নামের ফেসবুক আইডি থেকে অভিনেত্রী হিমুর মৃত্যুর বিষয়ে কথা বলেছেন মেকআপ আর্টিস্ট মিহির। এ সময় মিহিরকে মৃত্যুর সময়কার ঘটনা ও তার নিজের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়।

১৫ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে মিহিরকে বলতে শোনা যায়, বিভিন্ন মানুষ ফেসবুকে আমাকে নিয়ে ঝড় তুলছে। অনেকেই বলছেন আমাকে কেন রিমান্ডে নিচ্ছে না পুলিশ। আমি ড্রাগডিলার, আরও কত কী?
এ সময় মিহির প্রশ্ন করে বলেন, আপনারা কি জানেন গত তিন দিন আমি কোথায় ছিলাম?
এর পর তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার হিমুকে হাসপাতালে নেয়ার পর থেকে এই তিনদিন আমি থানায় বসে ছিলাম। শনিবার সকালে থানা থেকে আমাকে পুরান ঢাকায় ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পাঠানো হয়। সেখানে আমি স্টেটমেন্ট দিয়েছি। এরপর ম্যাজিস্ট্রেট বলেছেন, ঠিক আছে আপনি এখন যেতে পারেন। এস আই সাব্বির ভাই বলেছেন, আপনার কোনো কাজ নেই আপনি যেতে পারেন। তিনদিন ধরে আমাকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছে, আমার মোবাইল চেক করা হয়েছে। হাজারো প্রশ্ন করা হয়েছে। আর কী পুলিশ রিমান্ডে নেবে আমাকে? ফাঁসি দিয়ে দেবে? আমি কী অপরাধ করেছি?

হিমুর বাসায় থাকার প্রসঙ্গে মিহির বলেন, আমি আর্থিক অনটনে আছি বেশ কিছু দিন থেকে। আমার কাজ বন্ধ। একটি সিরিয়াল করেছিলাম, তারাও টাকা দেয়ার নামে ছয় মাস ধরে ঘোরাচ্ছে। আমার বাসা ভাড়া বাকি। বাড়িওয়ালী বাসা তালা দিয়ে দিয়েছেন। আমি কোথায় যাব, কী খাব? সেজন্য আমি বাধ্য হয়ে হিমুর বাসায় ছিলাম। এমনিতেও আমি হিমুর বাসায় থাকতাম। কারণ হিমুর মা আমাকে বলেছেন, আমি না থাকলে আমার মেয়ের দেখাশোনা করিস। এ জন্য আগে রাতে না থাকলে সারাদিন আমি হিমুর বাসায় থাকতাম।

এ সময় ৫ বছর আগে অভিনেত্রী তাজিন আহমেদের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আপনাদের ভাবিয়ে তোলে তাজিন আপার মৃত্যুর সময় আমি ছিলাম। হিমুর সময় আমি ছিলাম। এরা আমার নিকটাত্মীয়ের মতো। তাজিন আপা বলতেন যখন আমার বিয়ে হয়েছে সন্তান থাকলে সে আমার (মিহির) সমান হতো। মিহির আমার ছেলের মতো। আমি ছিলাম বলেই তাজিন আপাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। তাছাড়া সাতদিন পর তাজিন আপার লাশ বের করতে হতো। আমি না থাকলে হিমুকেও ঘরে তালাবন্দি করে রেখে তার প্রেমিক পালাত। অথচ কেউ বলছেন না, আমি না থাকলে তাজিন আপাকে তরতাজা দাফন করা যেত না, আমি না থকলে হিমুকে হাসপাতালে নিতে পারতাম না।

আমি (মিহির) কোনো অপরাধ করিনি বলে কোথাও পালিয়ে যাইনি। আপনারা শুধু আমার দোষ খুঁজছেন। কেউ কি আমার মানসিক অবস্থার কথা একবার ভেবে দেখেছেন। হিমু আমার বোনের মতো। হিমুকে জড়িয়ে ফেসবুকে অনেকে বিরূপ মন্তব্য করছেন। এগুলো আমাকে মানসিক যন্ত্রণা দিচ্ছে।

আমার দুর্ভাগ্য হিমু যখন আত্মহত্যা করেছে আমি অন্য রুমে ঘুমিয়ে ছিলাম। তবে সে সময় ওর (হিমু) বয়ফ্রেন্ড ছিল রুমে। আমি ধারণাও করিনি এমন কিছু হয়ে যাবে।

উরফি জিয়া (হিমুর বয়ফ্রেন্ড) যখন আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে, তখন আমি তাকে প্রশ্ন করছিলাম, আপনি রুমে থাকতে ঘটনা কিভাবে ঘটল। তখন বলে, সে বাথরুমে ছিল। একটা মানুষ বাথরুমে থাকবে আর আরেকটা মানুষ ফাঁসি দিয়ে ফেলবে- এটাও আমি মেনে নিতে পারতেছিলাম না। আমি কোনো কিছুই মেনে নিতে পারতেছিলাম না।

সবশেষ মিহির বলেন, ডিবি, র‌্যাব, পুলিশের যেকোনো কর্মকর্তা যে কোনো মুহূর্তে আমাকে ফোন দিলে আমি হাজির হব। আমি কোথাও পালাব না। পালিয়ে যাওয়ার ছেলে আমি না। আমি কোনো ধরনের ক্রাইম করিনি।

গত ২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে নিজ ফ্ল্যাটে ফ্যানের সঙ্গে রশি ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু। পরে মিহির, উরফি জিয়া ও বাড়ির দারোয়ান মিলে তাকে উত্তরায় একটি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক হিমুকে মৃত ঘোষণা করেন।

২০০৫ সালে হিমু টেলিভিশন মিডিয়াতে এবং নাটকে যুক্ত হন মো. জামালউদ্দিনের নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনস্যাম্বলে। ২০০৬-এ হুমায়রা হিমুর প্রথম নাটক ‘ছায়াবীথি’ প্রচারিত হয়। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামের একটি সিরিয়াল নাটকেও অভিনয় করেন। এরপরে তিনি ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’ সহ অনেক জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করতে থাকেন। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

হুমায়রা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। হিমু ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন এবং এ কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্যজগতে প্রবেশ করেন। ফ্রেঞ্চ নামক নাট্যদলের হয়ে তিনি অভিনয় করেন। তার মামা মূর্শেদ নাটকটিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ এ অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় হিমুর। অভিনেত্রীর উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে: ডিবি, সোনাঘাট, চেয়ারম্যান বাড়ি, বাটিঘর, শোনেনা সে শোনেনা, সেলিম, মনও চোরা গলি, সুরের ফেরিওয়ালা, ছায়াবিবি, গানাদার, লেট ম্যারেজ, ভুতের গ্রাম, ছায়াবীথি, পিআই, শোধ, টুকরো ছবির এ্যালবাম, চুপি চুপি, নির্বিকার মানুষ প্রভৃতি।