• বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান লাইলাতুল কদর মানবজাতির অত্যন্ত বরকত ও পুণ্যময় রজনি শবে কদর রজনিতে দেশ ও মুসলিম জাহানের কল্যাণ কামনা প্রধানমন্ত্রীর সেবা দিলে ভবিষ্যতে ভোট নিয়ে চিন্তা থাকবে না জনপ্রতিনিধিদের জনসেবায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভোটের চিন্তা থাকবে না দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রেসিডেন্টকে শেখ হাসিনার চিঠি রূপপুরে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আহ্বান রূপকল্প বাস্তবায়নে অটিজমের শিকার ব্যক্তিদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে অটিজম ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে

যে জঙ্গলে নারীদের প্রবেশ করতে হয় নগ্ন হয়ে!

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২১  

ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়ায় এক ম্যানগ্রোভ অরণ্যে শুধু মেয়েরাই প্রবেশ করতে পারে। নাম টোনোটিওয়াট। যার অর্থ ‘ফিমেল ফরেস্ট’ বা নারীদের অরণ্য।

নারীদেরও অবশ্য জঙ্গলে প্রবেশের বেশ কিছু নিয়ম আছে।এখানে মেয়েরা সম্পূর্ণ নিরাবরণ হয়ে প্রবেশ করেন।

জঙ্গল, জলাভূমিতে দলবেঁধে ঘোরেন। জঙ্গলে প্রবেশের পর একত্রিত হয়ে শপথ নেন জঙ্গলে থাকাকালীন কেউ কাউকে ছেড়ে যাবেন না।

পাপুয়ার বাসিন্দাদের পছন্দের খাবার ঝিনুক এবং নানারকম ফলের জোগান দেয় এই অরণ্য। সেসব সংগ্রহ করে আনার কাজও মেয়েরাই করে থাকেন। 

প্রদেশটির রাজধানী জয়পুরার ক্যামপাং এনগ্রোসের মাঝামাঝি ওই ম্যানগ্রোভ অরণ্য ছড়িয়ে আছে প্রায় ৮ হেক্টর এলাকাজুড়ে।

তবে এই অরণ্যে পুরুষেরা প্রবেশ করতে পারেন শুধু কাঠ সংগ্রহের জন্য। তবে তার আগে তাদের নিশ্চিত হতে হয় যে জঙ্গলে কোনো নারী নেই।

নারী থাকাকালীন যদি কোনো পুরুষ জঙ্গলে প্রবেশ করে ধরা পড়েন, তবে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় উপজাতি আদালতে। অপরাধ প্রমাণ হলে শাস্তির পাশাপাশি দিতে হয় জরিমানাও।

জরিমানার পরিমাণ নেহাৎ কম নয়। জঙ্গলে প্রবেশ করার জন্য ১০ লাখ রুপাইয়া (স্থানীয় মুদ্রা) জরিমানা দিতে হয়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় পাঁচ হাজার টাকার কাছাকাছি।


এই নিয়ম কবে থেকে চলে আসছে তা কেউ জানেন না। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তারা তাদের মা, দাদিদের কাছেও এই একই কাহিনি শুনেছেন। প্রচলিত কাহিনি থেকেই জেনেছেন— এই জঙ্গলের সঙ্গে স্থানীয়দের সখ্যতা না কি ১৮০৮ সাল থেকে।

সমুদ্র লাগোয়া জঙ্গলের জলাভূমিতে নেমে ঝিনুক সংগ্রহ করেন মেয়েরা। কাদাজলে এবং গাছের শ্বাসমূলে পোশাক নষ্ট হতে পারে ভেবেই হয়তো চালু হয়েছিল পোশাক ছাড়ার নিয়ম।

স্থানীয় নারীরা জানান, যেহেতু মেয়েদের এই জঙ্গলে নগ্ন হতে হয়, তাই হয়তো পুরুষদের দূরে রাখার নিয়ম চালু হয়েছিল।

তবে কারণ যাই হোক, এই জঙ্গল পাপুয়ার নারীদের কাছে একটা খোলা আকাশের মতো। যেখানে তারা নিজেদের মনকেও অনাবৃত করতে পারেন।

৪৫ বছর নারী আগস্টিনা জানান, এখানে তারা চিৎকার করে নিজেদের মনের কথা বলেন। দুঃখের কথা— এমনকি না বলতে পারা যন্ত্রণার কথাও বলেন নিশ্চিন্তে। মনকে হালকা করতে পারেন। একে অপরের কাছে পরামর্শ চাইতে বা দিতে পারেন। এক কথায় জঙ্গল তার ভালো থাকার ঠিকানা।