• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

তারেকের অর্থদাতারা রয়েছে নজরদারিতে

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১  

আব্দুল খালেক পাঠান কেয়া কসমিটিকসের কর্ণধার। একই সঙ্গে তিনি কেয়া স্পিনিং মিলসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক। ঋণ খেলাপিও বটে। তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ রাখার অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তারেক জিয়ার বন্ধু গিয়াস উদ্দীন আল মামুনের ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন এই আব্দুল খালেক পাঠান। একজন বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী হিসেবে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক মহলেও বেশ সুপরিচিত তিনি।

বিএনপির শাসনামলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দ্রুত গতিতে নিজের ব্যবসার পরিধি বাড়ান এবং বিপুল অর্থ বৈভবের মালিক হন। শুধু ব্যবসার পরিধিই নয়, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কয়েকটি ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণও গ্রহণ করেছিলেন সে সময়। তিনি গিয়াস উদ্দীন মামুনের সূত্র ধরে তারেক জিয়ারও খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পাঠান বিভিন্ন সময়ে তারেক জিয়াকে বিপুল পরিমাণ টাকা পাঠিয়েছেন বলেও একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

গুলশানের সিলভার টাওয়ারের অন্যতম কর্ণধার সেলিম। তিনি সিলভার সেলিম নামেও পরিচিত। হাওয়া ভবনের অন্যতম অর্থদাতা এবং পৃষ্ঠপোষক। এখন নিজেকে রাজনীতি থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন বলে দাবি করলেও গোপনে যারা তারেককে অর্থ পাঠায়, তাদের মধ্যে সিলভার সেলিমকে অন্যতম হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সিলভার সেলিমও তারেককে নিয়মিত টাকা পাঠান বলে অনুসন্ধানে ওঠে এসেছে।

আব্দুল আওয়াল মিন্টুর পুত্র তাবিথ আউয়াল মিন্টু। তিনি রাজনীতিতে এসেছেন ভুঁইফোঁড় হিসেবে। পৈতৃক সূত্রে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে এসেছেন। তাকে ঢাকা সিটি মেয়র নির্বাচনে একাধিক বার মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে রয়েছে রাজ্যের বিস্ময়। তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ বলেই তাকে একাধিকবার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তাবিথ আউয়াল হলেন তারেকের আরেক সোনার ডিম পাড়া হাঁস। তিনি নিয়মিতভাবে হুন্ডিসহ যাবতীয় চোরাই পথে তারেক জিয়াকে অর্থ পাঠান।

মোরশেদ খানের ছেলে ফয়সাল মোরশেদ বর্তমানে একাধিক দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সিঙ্গাপুরে আছেন। সিঙ্গাপুর থেকেই তিনি তারেকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এবং নিয়মিত অর্থ পাঠান।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। তিনি চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী। তিনিও তারেক জিয়াকে দফায় দফায় বিপুল পরিমাণে অর্থ পাঠিয়েছেন বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে।

আব্দুল আউয়াল মিন্টু তাবিথ আওয়ালের বাবা। তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও দলের বড় দাতা। বলা হয়ে থাকে যে, আব্দুল আউয়াল মিন্টু বিএনপির আর্থিক বিষয়গুলো দেখাশোনা করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে তাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে লন্ডনে তারেক জিয়াকে পাঠান।

এ ধরনের আরো কিছু ব্যক্তিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা চিহ্নিত করেছে, যাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান করছেন। সেখানে তার কোনো জ্ঞাত আয় নেই। একটি নাম সর্বস্ব কোম্পানি খুলেছেন। কিন্তু এ কোম্পানির কোনো কার্যক্রমও দৃশ্যমান নয়। বরং চাঁদাবাজি, মনোনয়ন বাণিজ্য ও কমিটি বাণিজ্য করে বিপুল পরিমাণে বিত্তের মালিক বনেছেন। লন্ডনে তিনি বিলাসী জীবনযাপন করছেন। আর এ সমস্ত অর্থের যোগান দেন এ রকম আরো কিছু ব্যবসায়ী।

বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণে অর্থ পাচার হয়। প্রতি মাসে পাচার হওয়া এসব অর্থের বিপুল পরিমাণ অঙ্ক তারেক জিয়ার কাছে চলে যায়। এ টাকাগুলো বেশিরভাগ সময়ে যায় হুন্ডির মাধ্যমে। 

সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তারেকের এ বিপুল অর্থ ও বিলাসী জীবনযাপনের উৎস খুঁজতে গিয়ে পেয়েছেন চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

জানা গেছে, বেশ কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী লন্ডনে তারেক রহমানকে নিয়মিত টাকা পাঠাচ্ছেন। এরা এখন নজরদারিতে রয়েছে এবং এদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে যথাযথ মামলা করা হবে বলেও নিশ্চিত করেছে দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র।