• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জিলহজ মাসের আইয়ামে বিজের রোজা রাখার নিয়ম

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২১  

জিলহজ মাসে পবিত্র হজ ও কুরবানি অনুষ্ঠিত হয়। এ মাসেই আইয়ামে তাশরিক মোট ৫দিন। ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত তাকবির পড়তে হয়। হাদিসে পাকে এ দিনগুলোকে পানাহার ও জিকিরের দিন বলা হয়েছে। তাহলে এ মাসে আইয়ামে বিজের রোজা রাখার নিয়ম-পদ্ধতি কী?

বছরে মোট ৫ দিন রোজা রাখা নিষেধ। তাহলো- ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং আইয়ামে তাশরিকের তিন দিন। ঈদুল আজহার পরের তিন দিন তথা জিলহজ মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখকে 'আইয়ামে তাশরীক' বলা হয়। হাদিসে পাকে এ দিনগুলোকে ‘পানাহার ও আল্লাহর জিকির’-এর দিন বলা হয়েছে। এ তিন দিন ফরয বা নফল রোযা রাখা নিষেধ। হাদিসে এসেছে-

১. হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা ও হজরত ইবন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, তাঁরা উভয়ে বলেন, যে (হাজি)র নিকট الهَدْيَ/ কুরবানির পশু নেই তিনি ছাড়া অন্য কারও জন্য আইয়্যামে তাশরিকে রোজা পালন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।’ (বুখারি)

২. হজরত নুবাইশা আল-হুজালি রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আইয়ামে তাশরিক পানাহার ও আল্লাহর জিকিরের দিন। (জামে)

৩. হজরত হাম বিন আমর আল আসলামিন রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, ‘তোমরা এই দিনগুলোতে রোজা রাখিও না। কেননা, এগুলো পানাহারের দিন।’ (জামে)

সুতরাং এ দিনগুলোতে কাযা, কাফফারা, মানত বা অন্য কোন ধরণের নফল রোযা রাখা বৈধ নয়। শুধু হাজিদের বিশেষ ক্ষেত্রে রোজা রাখার বিষয়টি ভিন্ন।

আইয়ামে বিজের রোজা রাখার পদ্ধতি
আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ 'আইয়ামে বিজ' বলা হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রতি মাসে এই তিনটি রোজা রাখলে সারা মাস রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যায়। কিন্তু জিলহজ মাসের ১৩ তারিখ যেহেতু আইয়ামে তাশরীক এর অন্তর্ভুক্ত সেহেতু ওই দিন রোজা‌ রাখা জায়েজ নেই।

সে কারণে জিলহজ মাসের ১৪ এবং ১৫ তারিখে এবং ১৩ তারিখের পরিবর্তে ১৬ তারিখ বা অন্য যেকোনো দিন রোজা রাখা যাবে। তাহলেও সারা মাস রোজা থাকার সওয়াব পাওয়া যাবে। ইনশাআল্লাহ।

সুতরাং যারা জিলহজ মাসের আইয়ামে বিজের রোজা রাখতে চান, তাদেরকে অবশ্যই ১৩ জিলহজ (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে সাহরি খেয়ে ১৪ জিলহজ মোতাবেক ২৫ জুলাই রোজা পালন করবেন। সেক্ষেত্রে আগামী ২৪-২৬ জিলহজ মোতাবেক ১৪-১৬ জিলহজ আইয়ামে বিজের রোজা পালন করা যাবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ দিনগুলোতে আইয়ামে বিজের রোজা রাখার তাওফিক দান করুন।আমিন।