• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

যে আমলে জিনের আছর থেকে রক্ষা পাবেন

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০২১  

আল্লাহ তায়ালা মানুষের মতো করেই জিনদের তৈরি করেছেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা জিনের কথা উল্লেখ করেছেন। বিভিন্ন হাদিসে আল্লাহর রাসূল (সা.) জিনের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। জিনদের সঙ্গে সাহাবিদের বিভিন্ন ঘটনার কথাও হাদিসের ও ইতিহাসের কিতাবগুলোতে আলোচিত হয়েছে।

জিনের ব্যাপারে জানা ও তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা মুমিনের কর্তব্য। অনেক জিন আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর কাছে মুসলিম হয়েছেন। জিনদের ভেতর প্রচুর উত্তম ও ভালো জিন রয়েছে। তবে মানুষের মতো জিনদেরও অনেক দুষ্ট সদস্য রয়েছে। দুষ্ট জিনরা সুযোগ পেলেই মানুষের ক্ষতি করে বসে।

দুষ্ট জিনেরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাচ্চা ও নারীদের ওপর আক্রমণ করে। তাদের নানাভাবে কষ্ট ও যন্ত্রণা দেয়। যারা দুষ্ট জিনের আছরে আক্রান্ত হয়, তাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন— ঘুমের ভেতর হঠাৎ হঠাৎ কেঁদে ওঠা। হাউমাউ করে ও উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা। জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলা। আতঙ্কিত হয়ে ঘুম থেকে জেগে বসে পড়া বা দাঁড়িয়ে যাওয়া। জাগ্রত অবস্থায় এমন কিছু দেখা, যা স্বপ্ন স্বপ্ন মনে হয়। হঠাৎ হঠাৎ বেহুঁশ হয়ে যাওয়া। সব সময় ভীতু ভাব থাকা। কখনো ভিন্ন ভাষায় ও ভঙ্গিতে কথা বলা। আশ্চর্যজনক আচরণ প্রকাশ পাওয়া, যেমন অল্প সময়ে বহুদূর চলে যাওয়া। মেয়েদের ক্ষেত্রে অনেক সময় স্বামী-সন্তান ও সংসার বিরক্তিকর হয়ে ওঠা। কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির শুনলে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়া। যেহেতু খারাপ জিনরা এসব সহ্য করতে পারে না।

এছাড়াও আক্রমণাত্মক ও ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা। যেমন— কালো কুকুর, কালো সাপ, কালো বিড়াল অথবা পাহাড় বা উঁচু স্থান থেকে পড়ে যাওয়া অথবা পানিতে পড়ে যাওয়া ইত্যাদি দেখা। কানে শোঁ শোঁ আওয়াজ শোনা। শরীরের ভারসাম্যহীনতা অনুভব করা। অল্পতেই রেগে যাওয়া। সর্বদা ঘুমের ভাব লেগে থাকা এবং গভীর ঘুম থেকে জেগে কষ্ট অনুভব হওয়া। কাজকর্মে অনীহা ও বিরক্তি প্রকাশ করা। একাকী ও নির্জনতা পছন্দ করা। হঠাৎ হঠাৎ আশ্চর্য ধরনের দুর্গন্ধ পাওয়া। এমন কাজ করেছে মনে হওয়া, যা সে করেনি। কাজেকর্মে বেশি ভুল হওয়া। দীর্ঘ সময় টয়লেটে অবস্থান করা, অদেখা কারও সঙ্গে কথা বলা ইত্যাদিসহ আরও অনেক অদ্ভুত আচরণ দেখা দিতে পারে। (মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা, দৈনিক কালের কণ্ঠ : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০)

জিনের আছর থেকে নিরাপদ থাকার আমল

এক. সর্বদা পবিত্র থাকা। কোনো কারণে গোসল ফরজ হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোসল করা।

দুই. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ও শরিয়ত মোতাবেক চলা।

তিন. ঘরে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় সুন্নাহ বর্ণিত দোয়া পড়া। ঘরে প্রবেশের সময় সালাম করে প্রবেশ করা।

চার. প্রস্রাব-পায়খানায় যাওয়ার সময় দোয়া পড়া। সেখান থেকে ফিরেও দোয়া পড়া। কারণ এসব জায়গায় দুষ্ট জিনদের আনাগোনা বেশি থাকে।

পাঁচ. ঘরে নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করা। বিশেষ করে সুরা বাকারা তেলাওয়াত করা।

ছয়. প্রতি নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করা। ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করে ঘুমানো।

সাত. খাবারের সময় মাসনুন দোয়া পড়া। কারণ দোয়া না পড়লে দুষ্ট জিনের আমাদের খাবারে অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকে। গোশত খাওয়ার পর হাড়গুলো পানিতে না ফেলা, কারণ এগুলো জিনদের খাবার। এগুলো নষ্ট করলে তারা কষ্ট পায়। অনেক ক্ষেত্রে এ কারণেও আক্রমণ করে বসতে পারে।

আট. ঘরে কোনো প্রাণীর কঙ্কাল ও মূর্তিজাতীয় জিনিস না রাখা। 

নয়. নির্জন বা ময়লার স্তূপ, আগুনের কুণ্ডলীর কাছে একাকী না যাওয়া। দশ. জনমানবহীন স্থান, গভীর জঙ্গলে রাতের বেলায় একা সফর না করা।

এগার. কোনো অবস্থায় ভয় পাওয়া যাবে না। কারণ ভয় পেলে তারা আরো বেশি সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে। 

বারো. ভরদুপুর ও সন্ধ্যায় বাচ্চাদের ঘরের বাইরে না রাখা।  

তের. সকাল-সন্ধ্যা এবং শোবার সময় সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস তিনবার করে পড়ে হাতের মধ্যে ফুঁক দিয়ে শরীরে মুছে নেয়া। 

চৌদ্দ. সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে বিসমিল্লাহ বলে ঘরের দরজা ও জানালা বন্ধ রাখা। 

পনের. নারী ও শিশুদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে না দেওয়া। রাতের এক প্রহর যাওয়ার পর এ বাধ্যবাধতা নেই।