• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী

রোজা প্রথম কে রেখেছিলেন?

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৩  

রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। এ রোজা শুধু উম্মতে মুহাম্মাদির ওপর ফরজ হয়নি, আগের সব নবি-রাসুলের জন্যও রোজার বিধান ছিল। কোরআনের নির্দেশনায় তা প্রমাণিত। কিন্তু কে প্রথম রোজা রেখেছিলেন কিংবা এ রোজা সংখ্যা কয়টি ছিল?

পৃথিবীতে প্রথম কে রোজা রেখেছিলেন বা এর সংখ্যা কত ছিল? সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট দলিলভিত্তিক নির্দেশনা অস্পষ্ট হলেও কোরআনে রোজার নির্দেশনা হলো এমন-
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا کُتِبَ عَلَیۡکُمُ الصِّیَامُ کَمَا کُتِبَ عَلَی الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَتَّقُوۡنَ
‘হে ঈমাদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের আগের লোকদের (নবি-রাসুল ও তাদের উম্মত) ওপর। যাতে তোমরা পরহেজগার হতে পার।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)

এ আয়াত দ্বারা বোঝা যায় যে, হজরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগের সব নবি-রাসুলের জন্যও রোজা ফরজ ছিল। সে হিসেবে প্রথম নবি ও প্রথম মানুষ হজরত আদম আলাইহিস সালামই হবেন প্রথম রোজা পালনকারী।
প্রথম রোজা পালন সম্পর্কে হজরত আব্দুল কাদের জিলানি রাহমাতুল্লাহি আলাইহিসহ সুফি-সাধকরা কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন। তাহলো-
১. সুফি-সাধকদের মতে, হজরত আদম আলাইহিস সালাম যখন নিষিদ্ধ ফল খেয়েছিলেন এবং তারপর তওবা করছিলেন, তখন ৩০ দিন পর্যন্ত তার তওবা কবুল হয়নি। কারণ তাঁর দেহে নিষিদ্ধ ফলের নির্যাস ছিল। এরপর তাঁর দেহ যখন তা থেকে পাক-পবিত্র হয়ে যায়, তখন তাঁর তওবা কবুল হয়। তারপর তাঁর সন্তানদের ওপরে ৩০ রোজা ফরজ করে দেওয়া হয়।
হজরত ইবনে হাজার আসকালানি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এ বর্ণনার প্রমাণে সনদ নেই। এর কোনো দলীল পাওয়াও কঠিন ব্যাপার। (ফতহুল বারি)

২. দুনিয়ায় প্রথম রোজা পালন সম্পর্কে হজরত আব্দুল কাদের জিলানি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, হজরত যির ইবনে হুবাইশ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, একদিন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিশিষ্ট সাহাবি হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে আইয়্যামে বিজ (চন্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা আদম আলাইহিস সালামকে একটি ফল খেতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু আদম আলাইহিস সালাম সেই ফল খেয়ে জান্নাত থেকে দুনিয়ায় নেমে আসতে বাধ্য হন। সে সময় তাঁর শরীরের রং কালো হয়ে যায়। ফলে তাঁর দুর্দশা দেখে ফেরেশতারা কেঁদে কেঁদে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন-
‘হে আল্লাহ! আদম আপনার প্রিয় সৃষ্টি। আপনি তাঁকে জান্নাতে দিয়েছিলেন। আমাদের দ্বারা তাঁকে সেজদাও করিয়েছেন। আর একটি মাত্র ভুলের জন্য তার দেহের রং কালো করে দিলেন?
তাদের এ আবেদনে আল্লাহ তাআলা হজরত আদাম আলাইহিস সালামের কাছে ওহি পাঠালেন- তুমি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রাখ। আদম আলাইহিস সালাম তাই করলেন। ফলে তাঁর দেহের রং আবার উজ্জ্বল হয়ে যায়। এ জন্যই এ তিনটি দিনকে আইয়্যামে বিজ বা উজ্জ্বল দিন বলা হয়।’ (গুনইয়াতুত ত্বলিবিন)
এ ঘটনায়ও কোরআন-সুন্নাহর কোনো ব্যাখ্যা বা মতামত সুস্পষ্টভাবে উপস্থাপিত হয়নি। তবে হাদিসে এসেছে-
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরে কিংবা সফরে থাকাকালীন সময়ে আইয়্যামে বিজ-এর রোজা রাখা থেকে বিরত থাকতেন না।’ (নাসাঈ, মিশকাত)

তবে এ কথা সুস্পষ্ট যে, রোজা শুধু উম্মতে মুহাম্মাদির ওপরই ফরজ হয়নি বরং আগের সব নবি-রাসুলের ওপরও রোজার বিধান ছিল। কোরআনুল কারিমের ঘোষণাই এর প্রমাণ।

রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজান সমাগত। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে দুই কিংবা তিন দিনের মধ্যে শুরু হবে পবিত্র রমজান। তাই রমজানের রোজার প্রস্তুতি এখন থেকেই নেওয়া জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের রোজা পালনের প্রস্তুতি নেওয়ার তাওফিক দান করুন। রমজানজুড়ে রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।