• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের হার

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২২  

জিততে হলে করতে হবে দুইশ’র কাছাকাছি রান। সেই তাড়নাই দেখা গেল না টাইগার ব্যাটারদের মধ্যে। ব্যাটিং দেখে মনে হলো যেন সম্মানজনক পরাজয়ের জন্য খেলছে দল। শেষ পর্যন্ত অনায়াসেই জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ফরম্যাট বদলাচ্ছে, পোশাক বদলাচ্ছে- তবুও ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারছেন না টাইগার ব্যাটসম্যানরা। প্রতিটি ম্যাচের পরেই ব্যাটিং ব্যর্থতাকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। একের পর এক ভুল শটস, ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপের সঙ্গে প্রশ্নের প্রশ্ন জমা হচ্ছে। তবুও এর উত্তর নেই, সমাধান নেই।

তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রোববার বাংলাদেশকে ৩৫ রানে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ডোমিনিকায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে রভম্যান পাওয়েলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোর বোর্ডে ১৯৩ রানের পাহাড় জমা করে ক্যারিবীয়রা। ১৯৪ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১৫৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি টাইগাররা।

১৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট কর‍তে নামা বাংলাদেশ দলকে কখনোই মনে হয়নি এই রান টপকিয়ে ম্যাচ জিততে পারার আত্মবিশ্বাস আছে। বরং জয়-পরাজয় ভুলে ২০ ওভার ব্যাট করতে পারাটাই যেন বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ব্যাটসম্যানদের।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রায় প্রতি ম্যাচেই বদল আসছে ওপেনিংয়ে। আজও তার ব্যত্যয় হয়নি। মুমিন শাহরিয়ার না থাকায় তিন থেকে তুলে ইনিংস শুরু করতে পাঠানো হয় লিটন দাসকে। তবে টেস্ট সিরিজ থেকে রান খরায় ভোগা এই ডানহাতি ফিরে যান ৫ রানে। দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিয়ে ব্যাট চালিয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম বলে ক্যাচ দেন লিটন।

ম্যাককয়ের করা পরের বলেই বোল্ড হন এনামুক হক বিজয়। ৪ বলে ৩ করেন তিনি।

অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ চারে নেমে পাল্টা আক্রমণের ইঙ্গিত দেন ওডিন স্মিথকে টানা দুই বলে চার ও ছক্কা মেরে। তবে ওই ওভারে বিদায় নেন তিনিও। করে যান ৭ বলে ১১ রান। এনিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নবম বারের মতো ত্রিশ রানের কোটা ছুঁতে ব্যর্থ দলপতি।

মাহমুদউল্লাহ সাজঘরে ফিরলে দলীয় ২৩ রানে ৩ উইকেট কারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এরপর খানিক চেষ্টা করেছিলেন সাকিব আল হাসান আর আফিফ হোসেন। তবে লাভ হয়নি।

চতুর্থ উইকেটে দুইজনের পার্টনারশিপ থেকে আসে ৪৪ বলে ৫৫ রান। আফিফ ২৭ বলে ৩৪ রানে স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর ৬ ওভারে জয়ের জন্য যখন ১০০ রান প্রয়োজন, তখন ১৩ বলে ৭ রান করে আউট হন নুরুল হাসান সোহান।

সাকিব অবশ্য একপ্রান্ত ধরে রাখেন, তবে সতীর্থদের যাতায়াতের মিছিলে প্রয়োজনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি। দকে ফিফটির দেখা পেয়েছেন। শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে তিনি যখন হাতে খুলে ব্যাটিং শুরু করেন, তার বেশ আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে সফরকারীরা।

সাকিবের ৫টি চার আর ৩টি ছয়ে ৫১ বলে ৬৭ রানের ইনিংসটি হারের ব্যবধানই কমিয়েছে শুধু।

সঙ্গে মোসাদ্দেকের ১১ বলে ১৫ রানের সুবাদে ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানে থামে বাংলাদেশ দলের ইনিংস। এতে ৩৫ রানে পরাজয় বরণ করতে হয় মাহমুদউল্লাহর দলকে।

এর আগে ডোমিনিকায় টস জিতে ব্যাট করতে নামে উইন্ডিজ। তবে ইনিংসের শুরুটা ভালো ছিল না তাদের। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলেই কাইল মায়ার্সকে বোল্ড করেন অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান। ৯ বলে ১৭ রান করেন মায়ার্স। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আসে দ্বিতীয় সাফল্য।

সাকিবের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন শামরাহ ব্রুকস। শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ। শূন্য রানে ফেরেন ব্রুকস।

২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ওপেনার ব্র‍্যান্ডন কিংকে নিয়ে দলের হাল ধরেন নিকোলাস পুরান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ব্যাট চালিয়ে খেলে দুইজন জমা করেন ৭৪ রান। তবে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে হাত ঘোরাতে এসে দলকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন মোসাদ্দেক। ইনিংসের ১৩তম ওভারে কোনো রান না দিয়েই পুরানকে ফেরান তিনি। ৩০ বলে ৩৪ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন উইন্ডিজ অধিনায়ক।

এরপর ব্যক্তিগত ফিফটির কোটা পূর্ণ করেন কিং। ৩৬ বলে আসে টি-টোয়েন্টিতে তার এই তৃতীয় অর্ধশতক। পরে কিংকে একপাশে দর্শক বানিয়ে রেখে ব্যাট হাতে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন রভম্যান পাওয়েল। বাংলাদেশি বোলারদের ওপর ধ্বংসলীলা চালিয়ে মাত্র ২০ বলে ফিফটি করেন তিনি।

পাওয়েল অর্ধশতক করার আগের বলটিতেই অবশ্য আউট হন কিং। শরিফুলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাকিবের হাতে ক্যাচ দেন ৫৭ রানে।

পরে রোমারিও শেইফার্ড ৪ বলে ২ রান করে আউট হলে পাওয়েল ২টি চার ও ৬টি ছয়ের সাহায্যে ২৮ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন। সঙ্গে শেষদিকে স্মিথের ৪ বলে ১১ রানের ঝড়ো ইনিংসের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৯৩ রানের পুঁজি পায় উইন্ডিজ।

বাংলাদেশের হয়ে বাঁহাতি পেসার শরিফুল ২টি, মোসাদ্দেক, মেহেদী এবং সাকিব ১টি করে উইকেট নেন।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন রভম্যান পাওয়েল।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে সিরিজে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।