• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান

আখেরাতের জীবন চিরস্থায়ী

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

 

দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী। দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবন একই সঙ্গে মানুষের পরীক্ষার কালও। এ জীবনে যারা আল্লাহ ও রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশিত পথে চলবে তাদের আখেরাতের অফুরন্ত জীবনে জান্নাতদ্বারা পুরস্কৃত করা হবে। পক্ষান্তরে যারা ব্যর্থ হবে তাদের পেতে হবে জাহান্নামের শাস্তি। ইসলামী শরিয়তের পরিভাষা- মানুষের মৃত্যুর পরমুহূর্ত যে অনন্ত জীবনের শুরু, যার কোনো শেষ নেই তাকেই আখেরাত বলে। আখেরাতের দুটি পর্যায়। ‘আলমে বরজখ’ অর্থাৎ মানুষের মৃত্যুর পর থেকে কেয়ামত পর্যন্ত লোকচক্ষুর অন্তরালে যে মধ্যবর্তী সময় রয়েছে তাকে ‘আলমে বরজখ’ বলা হয়।

আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে ‘কেয়ামত’ বা পুনরুত্থান বা বিচার দিবস। কেয়ামতের আরও একটি স্তর হচ্ছে বিচারের পর শেষ আবাসস্থল। পৃথিবী লয়ের মাধ্যমে আল্লাহ ছাড়া আর সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে। অতঃপর আল্লাহরই নির্দেশে এক নতুন জগৎ তৈরি হবে। প্রতিটি মানুষ পুনর্জীবন লাভ করে আল্লাহর দরবারে হাজির হবে। দুনিয়ার জীবনে সে ভালো-মন্দ যা কিছুই করেছে, তার হিসাব-নিকাশ সেদিন তাকে দিতে হবে আল্লাহর দরবারে। একে বলা হয়েছে বিচার দিবস। এ দিবসের একচ্ছত্র মালিক ও বিচারক স্বয়ং আল্লাহ। তাঁর সঙ্গে কেউ কথা বলার সাহস করবে না। তিনি যাকে অনুমতি দেবেন কেবল তিনিই সেদিন কঠিন মুহূর্তে সুপারিশ করতে পারবেন। আলমে বরজখ, কবর, হাশর, বিচারব্যবস্থা, পুলসিরাত পর্যায়ক্রমে শেষ হওয়ার পর সর্বশেষ পরিণতি জান্নাত বা জাহান্নাম। আর এটাই শেষ ঠিকানা। আখেরাতের জীবন সম্পর্কে আল কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘আর তোমরা সেদিনের ভয় কর যেদিন কেউ কারও সামান্য উপকারে আসবে না এবং তার পক্ষে কোনো সুপারিশও কবুল হবে না, কারও কাছ থেকে ক্ষতিপূরণও নেওয়া হবে না আর তারা কোনোরকম সাহায্যও পাবে না।’ সূরা বাকারা, আয়াত ৪৮।

আখেরাতের জীবনে প্রতিটি বান্দাকে তার স্রষ্টা আল্লাহর কাছে দুনিয়ার জীবনের জন্য জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে। এ জবাবদিহিতে তারাই উতরে যাবে যারা দুনিয়ার জীবনে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রদর্শন করেছে। যারা রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশিত পথে চলে আখেরাতের জীবনের মূলধন সঞ্চয় করেছে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে আখেরাতের জীবনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার তৌফিক দান করুন।