• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

কোরবানির জন্য আমাদের দেশের পশুই যথেষ্ট

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২০  

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার বলেছেন, দেশে কোরবানির জন্য আমাদের দেশের পশুই যথেষ্ট। বাইরের পশুর কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, আমাদের দেশের কোরবানির যে পশু আছে সেটাই সারপ্লাস হবে এবার।

বুধবার (২৪ জুন) টেলিফোনে আলাপকালে এসব কথা বলেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক।

এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘গত বছর অমাদের কোরবানিযোগ্য পশু ছিল প্রায় এক কোটি ১৮ লাখ। এর মধ্যে কোরবানিতে পশু জবাই করা হয়েছিল এক কোটি ৬ লাখ। গত বছরের প্রস্তুতকৃত প্রায় ১২ লাখ পশু সারপ্লাস ছিল। এবারও সারপ্লাস (উদ্বৃত্ত) হবে ইনশাআল্লাহ। কোরবানির পশুর কোনো অভাব হবে না।’

তিনি বলেন, ‘এবার সারাদেশে কোরবানিযোগ্য পশু কত- এ বিষয়ে একটা জরিপ চলছে। আশা করছি, দুই সপ্তাহের মধ্যে জরিপের ফলাফল হাতে পাব। তখন নির্দিষ্ট করে বলা যাবে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা।’

গত বছরের সংখ্যা উল্লেখ করে ডা. আবদুল জব্বার শিকদার বলেন, ‘এবারও প্রায় এক কোটি ১৮ লাখের মতোই হবে। এবার বাড়ার সম্ভাবনা কম। কারণ অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে অনেকেই কোরবানির পশু তৈরি করতে পারেননি।’

দেশের বাইরে থেকে কোরবানির পশু আনা-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, দুই বছর ধরে কোরবানির জন্য বাইরে থেকে কোনো পশু আমদানি করা হয় না। আমাদের দেশের কৃষক ও খামারিরা যে পশু লালন-পালন করেন সেটাই যথেষ্ট। বরং আরও কিছু সারপ্লাস থাকে। এবারও বাইরে থেকে পশু আনার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

পশুর হাট জমবে কি-না এ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পশুর হাট জমানোর বিষয়টি হাট কর্তৃপক্ষের। উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ইতোমধ্যে বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার সীমিত আকারে হাট বসানোর ব্যবস্থা করছেন। আমরা আশা করব, সারাদেশেই হাট বসবে এবং দূরত্ব বজায় রেখে মানুষ বেচাকেনা করবেন।’

তবে প্রতিবার কোরবানি এলে যে জমজমাট হাট বসে, এবার তা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন ডা. আব্দুল জব্বার শিকদার। তিনি বলেন, পশুর হাটে প্রতিবার আমরা যেভাবে মেডিকেল টিম স্থাপন করি এবারও দুই সিটি করপোরেশনেই মেডিকেল টিম থাকবে।

অনলাইন বাজার প্রসঙ্গে ডা. শিকদার বলেন, ‘যেহেতু এবার দেশের পরিস্থিতিটা অস্বাভাবিক, সে কারণে অনলাইনে বিক্রির পরিমাণটা অন্য বছরগুলোর তুলনায় বাড়বে। কারণ এই পরিস্থিতিতে ভিড় ঠেলে অনেকে বাজারে যেতে চাইবে না। তাছাড়া এখন অনলাইনে গরুর চেহারা দেখা যায়, ওজন জানা যায়। এমনকি একটি পশুর মাংস কতখানি হবে সেটাও জানা সম্ভব।’

কোরবানির পশু ক্রয়ে মানুষের সামর্থ্য প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা শুধু বাংলাদেশেই নয়; সারা বিশ্বেই অর্থনৈতিক অবস্থা মন্দা। গত চার মাসে দেশে যে অবস্থা বিরাজ করছে তাতে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকার কথা নয়। তবে একেবারে হোপলেস (হতাশ) হওয়ার মতো কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, প্রতি বছর যেখানে একজন একাই একটা পশু কোরবানি দিতেন এবার শেয়ারে দেবেন। কোরবানি চলবেই; তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে হয়তো প্রতি বছরের মতো স্বাভাবিক হবে না।

গত বছর সারাদেশে কোরবানিযোগ্য প্রায় এক কোটি ১৮ লাখ পশু প্রস্তুত ছিল। এর মধ্যে ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু-মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশু। কোরবানিতে পশু জবাই করা হয়েছিল এক কোটি ৬ লাখ। গত বছরের প্রস্তুতকৃত প্রায় ১২ লাখ পশু অবিক্রীত থেকে যায়।