• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান লাইলাতুল কদর মানবজাতির অত্যন্ত বরকত ও পুণ্যময় রজনি শবে কদর রজনিতে দেশ ও মুসলিম জাহানের কল্যাণ কামনা প্রধানমন্ত্রীর সেবা দিলে ভবিষ্যতে ভোট নিয়ে চিন্তা থাকবে না জনপ্রতিনিধিদের জনসেবায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভোটের চিন্তা থাকবে না দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রেসিডেন্টকে শেখ হাসিনার চিঠি রূপপুরে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আহ্বান রূপকল্প বাস্তবায়নে অটিজমের শিকার ব্যক্তিদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে অটিজম ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে

চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পায়রা বন্দরে নির্মাণ হচ্ছে টার্মিনাল ॥

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৮  

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ 
দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রায় চার হাজার কোটি টাকা নির্মিত হচ্ছে টার্মিনাল। র্নিমান করা হচ্ছে ট্রান্সশিপমেন্ট কন্টেইনার টার্মিনাল, ডিপ ওয়াটার কন্টেইনার টার্মিনাল, মাল্টিপারপাস টার্মিনাল, ড্রাই বাল্ক বা কয়লা টার্মিনাল। পায়রা বন্দর থেকে মালামাল দেশের অন্যত্র পরিবহণের জন্য রামনাবাদ চ্যানেলে ৬৫০ মিটার দৈর্ঘের একটি জেটিসহ টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে। এজন্য ব্যয় হবে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। এ বিষয়ে একটি ডিটেইলড প্রজেক্ট প্রফর্মা (ডিপিপি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পায়রা বন্দরকে দ্রুত কার্যকর করতে ২০২০ সালের মধ্যে এসব টার্মিনাল নির্মাণ করতে চায় সরকার।


পায়রা বন্দর সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে পায়রা বন্দরের অভ্যান্তরীণ নৌ-রুটের ড্রেজিং কাজ। ড্রেজিংকৃত এসব বালু পায়রা বন্দরের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমি ভরাট ও অন্যান্য সরকারী স্থাপনার কাজে ব্যবহার হয়েছে। বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করা হবে খুব দ্রুততম সময়ে। ক্রয় হচ্ছে পাইলট বোট, হেভি ডিউটি স্পিড বোট, টাগ বোট, বয়া লেয়িং ভেসেল, জরিপ বোট। পায়রা-রজপাড়া সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে পায়রা বন্দরের মাধ্যমে জাতীয অর্থনীতিতে দ্রুত হবে গতিশীলতা। পায়রা বন্দরের আর্থিক উন্নয়নে এসব গুরুত্ব ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিস্টরা। 


বন্দর সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের মধ্যে পায়রা বন্দরে একটি কয়লা বা বাল্ক টার্মিনাল ও একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল চালু হবে। বন্দরের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়াতে ১৯টি কম্পোনেন্টের সবগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রম জরুরী ভিত্তিতে সম্পন্নকরা হচ্ছে। ড্রেজিং কার্যক্রম সম্পন্ন হলে পায়রা বন্দর সংশিষ্ট সকল প্রকল্পের উন্নয়ন কার্যক্রম বেগবান হবে। আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা তৈরি করতে এ ড্রেজিং সম্পন্ন করা হবে এককভাবে সুয়েজ খাল খননের অভিজ্ঞতা থাকা আর্ন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুলের মাধ্যমে। ৩৬ দশমিক ৫ নটিকেল মাইল চ্যানেলের প্রথম পর্যায়ে টার্নিং বেসিনে ৯ মিটার ও টার্মিনাল এলাকায় ১১ মিটার গভীরতায় ড্রেজিংয়ের প্রাক্কলিত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। 
এনিয়ে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর জাহাঙ্গীর আলম ও জান ডি নুলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জান পিটার ডি নুল। ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজধানীর এক হোটেলে এ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরিত হয়। পায়রা বন্দরের মূল চ্যানেলে ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের কাজ বাস্তবায়নে যৌথ কোম্পানি গঠনেরও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বন্দর বাস্তবায়নে সব কাজের তত্ত্বাবধানও করবে এই যৌথ কোম্পানি।
২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর কলাপাড়ার টিয়াখালীতে দেশের তৃতীয় পায়রা বন্দরের প্রকল্প কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে অবহেলিত অজ পাড়াগাঁয়ের অর্থনৈতিক দিন বদলের গোড়াপত্তন করেছিলে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। দেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে এ বন্দরের কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। যার সফলতা শুরু হয় ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট। বন্দরটি অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয় ওই দিন নৌপথে পণ্য খালাশের কার্যক্রমের মাধ্যমে।