নজরদারি বাড়াতে বিমানবন্দরে আরও স্ক্যানার বসাবে এনবিআর

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সবকটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়াতে ও  দ্রুত তল্লাশি করতে আরও স্ক্যানার মেশিন বসাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।  বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা কাস্টম হাউসে গুদাম ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সফটওয়ার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান এবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম  বলেন, ‘যাত্রীদের ব্যাগেজ তল্লাশি ও নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন ধরনের স্ক্যানার প্রয়োজন। এখন আরও  ব্যাগেজ স্ক্যানিংয়ের জন্য আধুনিক স্ক্যানার মেশিন রয়েছে। আমাদের কোথায় কী ধরনের স্ক্যানার মেশিন প্রয়োজন, সেগুলোর তালিকা করা হচ্ছে।’ স্ক্যানার মেশিন বসানোর পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।

রাজস্ব আহরণে অটোমেশনের বিকল্প নেই উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, ‘অটোমেশনের ফলে যারা আমাদের সেবা নিচ্ছেন তারা যেমন সুফল পাবেন, তেমনই এনবিআর’ও সুফল পাবে। দেশজুড়েই সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে অটোমেশনের হাওয়া লেগেছে। আমারা পিছিয়ে থাকতে পারবো না। এনবিআর থেকে একটি কমিটি করা হয়েছে, যারা অটোমেশনের উদ্যোগগুলো পর্যবেক্ষণ করবেন, তথ্য নেবেন, ভিজিট করবেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।’ অটোমেশনের ক্ষেত্রে এনবিআরের নিজস্ব জনবলের মাধ্যমেও বিভিন্ন সফটওয়ার তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

করোনাকালীন রাজস্ব আহরণের পদ্ধতিকে সহজ করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন,  ‘আমাদের মূল লক্ষ্য রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতি সহজ করা। কত টাকা পেলাম, কত টাকা পেলাম না— এটা নিয়ে এখন ভাবছি না। রাজস্ব আহরণের নেট বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। রাজস্ব আহরণের টার্গেট নয়,  আমরা কী করতে চাই সেই টার্গেট নিয়ে এগুতে চাই।  আমরা আমাদের টার্গেট পূরণ করতে পারলে রাজস্বও  আদায় করতে পারবো।’

এনবিআরে শুদ্ধাচার আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানান  আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেন, ‘অনেকে কাস্টম হাউসে সিনিয়র অফিসারদের নজরদারি কম থাকার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে।’ সম্প্রতি মাস্ক চুরি, কাস্টমসের গোডাউন থেকে মেমরি কার্ড  গায়েব হওয়ার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।

অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান ঢাকা কাস্টম হাউসের কর্মকর্তাদের তৈরি করা গুদাম ব্যবস্থাপনা সফটওয়ার উদ্বোধন করেন। এ সফটওয়ারের ফলে গুদামে মুজদ করা মালামালের তথ্য, মালামাল শুল্ক আাদায়, মালামাল সংক্রান্ত বিষয়গুলো লিপিবদ্ধ থাকবে। ফলে গুদাম থেকে মালামাল গায়েব হওয়ার ঝুঁকিও হ্রাস পাবে বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।