• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে

পশ্চিমবঙ্গকে ‘বিপর্যস্ত রাজ্য’ ঘোষণার দাবি

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২০  

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে পশ্চিমবঙ্গে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৬ জন হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড পশ্চিমবঙ্গ এখনো কার্যত অচল। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার চার দিন পরও কলকাতাসহ গোটা রাজ্যে ফেরেনি স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গকে বিপর্যয় রাজ্য ঘোষণার দাবি উঠেছে।

আম্পানে কলকাতাসহ রাজ্যের ৭ জেলা বিধ্বস্ত। ঘূর্ণিঝড়ে হাজার হাজার গাছ, ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি ও টেলিফোনের টাওয়ার। পানি, বিদ্যুৎ ও মোবাইল পরিষেবা ব্যাহত।

জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারকাজ চললেও ছন্দে ফেরেনি কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিধ্বস্ত এলাকা।

গতকাল রাজ্য সরকার জানিয়েছে, আম্পানে কলকাতাসহ রাজ্যের ৭ জেলায় প্রাণ গেছে ৮৬ জনের। এর মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে ২২ জন। গাছ পড়ে মারা গেছে ২৭ জন। দেয়ালচাপায় মারা গেছে ২১ জন। বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে মারা গেছে ৫ জন। পানিতে ডুবে মারা গেছে ৩ জন। সাপের কামড়ে মারা গেছে একজন। বসতঘর ভেঙে মারা গেছে ২ জন। ল্যাম্প পোস্ট পড়ে মারা গেছে ২ জন। আতঙ্কে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে ৩ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের ৩৮৪টি ব্লক ও পৌরসভা। ক্ষতির শিকার হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ১৫ হাজার মানুষ। বিধ্বস্ত হয়েছে ২১ হাজার ৫৬০ বর্গকিলোটিার এলাকা। সাড়ে ১০ লাখ গ্রামের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের আম্পান বিধ্বস্ত এলাকা গতকাল শুক্রবার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি আম্পানের জন্য পশ্চিমবঙ্গকে ১ হাজার কোটি রুপি দেওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া আম্পানে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারপিছু ২ লাখ এবং আহত ব্যক্তির পরিবার পিছু ৫০ হাজার রুপি অনুদান দেওয়ার কথা বলেছেন।

পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ছড়িয়ে আছে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতের ধ্বংসস্তুপ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

বিজেপি–বিরোধী দেশের ২২টি দল গতকাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত এক বৈঠরে পর জানিয়ে দেয়, তারা চাইছে আম্পানে বিপর্যস্ত পশ্চিমবঙ্গকে অবিলম্বে বিপর্যয় রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করা হোক। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে ফের গড়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করুক।

ওই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। যোগ দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধধ ঠাকরে, ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, এনসিপিপ্রধান শারদ পাওয়ার, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই নেতা ডি রাজা, জনতা দল (এস) নেতা এইচডি দেবগৌড়া, এনসিপি নেতা ওমর আবদুল্লাহ, আর জেডি নেতা তেজস্বী যাদব, এআইইউডিএফ নেতা বদরুদ্দিন আজমল, রাজ্য সভার বিরোধীদলীয় নেতা গুলাম নবী আজাদ, লোকসভার কংগ্রেস দলীয় নেতা অধীর চৌধুরী, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সাংসদ ডেরেক ও' ব্রায়েন, আরজেডির মনোজ ঝা, লোকতান্ত্রিক জনতা দলের শারদ যাদব, হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চার নেতা জিতনরাম মাঝি প্রমুখ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সফররত প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেওয়ায় তিনি একটু বিলম্বে এই বৈঠকে যোগ দেন। মমতা বলেন, 'আজ আমাদের কাছে বড় কাজ বাংলার পাশে সবার দাঁড়ানো। ভুলতে হবে রাজনীতি।' মমতাও পশ্চিমবঙ্গকে 'বিপর্যস্ত রাজ্য' ঘোষণার দাবি জানান।

পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ছড়িয়ে আছে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতের ধ্বংসস্তুপ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

কলকাতা পৌর করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বর্তমান প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম গতকাল কলকাতার আম্পান বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাকে সাত দিন সময় দিন। আমি কলকাতাকে সচল করে দেব।’ সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম এ কথা বলেন।

ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কলকাতা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার চিত্র সর্বত্র। আমরা চেষ্টা করছি, অবিলম্বে মহানগরীকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে। ওডিশা ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর দেড় মাস সময় চাওয়া হয়েছিল। আমরা চাইছি এক সপ্তাহ।'

কলকাতাসহ রাজ্যের আম্পান বিধ্বস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ, পানি ও মোবাইল পরিষেবা চালুর দাবিতে গতকাল বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। হয়েছে সড়ক অবেরোধ।