বিলুপ্তপ্রায় ৬৪ প্রজাতির দেশি মাছ, ফিরছে ফলি বৈরালী গুতুম খলিশা..
আজকের পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২০
দেশের মানুষের খাদ্য তালিকায় ধীরে ধীরে ফিরে আসছে দেশের হারিয়ে যাওয়া মাছগুলো। প্রায় বিলুপ্ত হওয়া মাছের প্রজাতিগুলো আবার ফিরে আসছে চাষীর খামারে কিংবা খাল-বিল-নদী-নালায়। এমন সাফল্য সম্ভব হয়েছে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এর বিজ্ঞার্নীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে। এ প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা বিলুপ্তপ্রায় মৎস্য প্রজাতির ওপর গবেষণা পরিচালনা করে ইতোমধ্যে ২৩টি মাছের পোনা উৎপাদন ও চাষাবাদ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। এসব প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে ব্যবহার এবং নদ-নদী ও বিলে অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ মাছের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে। এতে করে বিলুপ্ত প্রজাতির মাছের প্রাপ্যতা সাম্প্রতিকালে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এসব মাছের মূল্য সাধারণ ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতার মাঝে রয়েছে।
বিলুপ্তপ্রজাতির যে ২৩ প্রজাতির মাছের পোনা উৎপাদন করা হয়েছে সেগুলো হলো- পাবদা, গুলশা, টেংরা, শিং, মাগুর, গুজি আইর, চিতল, ফলি, মহাশোল, বৈরালী, রাজপুঁটি, মেনি, বালাচাটা, গুতুম, কুচিয়া, ভাগনা, খলিশা, বাটা, দেশি সরপুঁটি, কালবাউশ, কৈ, গজার এবং গনিয়া।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মৎস্য সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশেল জিডিপি মৎস্য খাতের অবদান ৩.৬১ শতাংশ। এ মৎস্যখাতের একটি বিরাট অংশজুড়ে রয়েছে দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ। যা নানাবিধ কারণে বিলুপ্তপ্রায়। প্রাচীনকাল থেকে বিলুপ্তপ্রজাতির মাছের চাহিদা এ দেশের জনগোষ্ঠীর খাদ্য তালিকায় অবিচ্ছেদ্য অংশ ও সহজলভ্য পুষ্টির উৎস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ মাছগুলোতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ ও আয়োডিনের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ। এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে এবং রক্তশূন্যতা, গলগণ্ড, অন্ধত্ব প্রভৃতি রোগের প্রতিরোধে সহায়তা করে।
বাংলাদেশ মিঠা পানির ২৬০টি প্রজাতির মধ্যে ৬৪টি প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায়। বিগত কয়েক দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলাশয় সংকোচন অতিরিক্ত ও অপরিমিত পানি ব্যবহার, কৃষিকাজে কীটনাশকের যথেচ্ছা ব্যবহার,পানি দূষণ এবং অতি আহরণের ফলে প্রাকৃতিক জলাশয়ের মাছের প্রাপ্যতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়েছে। অথচ প্রাকৃতিক জলাশয়ের অনেক ছোট প্রজাতির মাছ যেমন মলা, ঢেলা, পুঁটি, কেচকি, বাইম, চান্দা ইত্যাদি আবহমানকাল থেকে গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের পুষ্টির যোগান দিয়ে আসছিল। কিন্তু পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে এইসব ছোট জাতের অনেক মাছ আজ বিলুপ্তির পথে।
মিঠা পানির ২৬০ প্রজাতির মাছের মধ্যে ১৪৩টি ছোট মাছ। দেশের মৎস্য উৎপাদনে ছোট মাছের অবদান ৩০-৩৫%। দেশীয় মাছের পোনা উৎপাদনে বর্তমানে ৪ শতাধিক হ্যাচারি কাজ করে যাচ্ছে। শুধুমাত্র ময়মনসিংহ অঞ্চলে ২০০ কোটি পাবদা ও গুলশা মাছের পোনা উৎপাদিত হচ্ছে। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে পাবদা, গুলশা, শিং, টেংরা, মাগুর, কৈ ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে। ইদানিং বাটা মাছের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পুষ্টি সমৃদ্ধ ও সুস্বাদু বিলুপ্তপ্রায় এসব মাছ উৎপাদন ও সংরক্ষণে বিএফআরআই প্রয়োজনীয় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গবেষণার মাধ্যমে বিএফআরআই থেকে ইতোমধ্যে ২৩টি মাছের প্রজনন ও চাষকৌশল উদ্ভাবন করা হয়েছে।
ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে যে, ইতোপূর্বে শুধুমাত্র ইনস্টিটিউটের ময়মনসিংহস্থ স্বাদুপানি গবেষণা কেন্দ্র থেকে বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে গবেষণা পরিচালনা করা হতো। বর্তমানে ময়মনসিংহ স্বাদুপানি কেন্দ্র ছাড়াও বগুড়ার সান্তাহার, নীলফামারি জেলার সৈয়দপুর ও যশোর উপকেন্দ্রে বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণে গবেষণা পরিচালনা করা হচ্ছে। ইনস্টিটিউট থেকে বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায় মাছ ঢেলা, শাল বাইম, কাকিলা ও আঙ্গুস ভোল মাছ ও উপকূলীয় কাওন মাছের প্রজনন ও চাষাবাদ নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিলুপ্তপ্রায় ও দেশীয় মাছ সংরক্ষণে গবেষণা জোরদার করা হয়েছে এবং আমাদের বিলুপ্তপ্রায় সকল মাছকে খাবার টেবিলে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ইনস্টিটিউট থেকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে বর্তমানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পাশাপাশি মৎস্য অধিদপ্তর হতে নদ-নদী ও বিলে অভায়শ্রম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে বিলুপ্তপ্রায় মাছের প্রাপ্যতা বাজারে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা বর্তমান সরকারে একটি অন্যতম সাফল্য।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের
- গলাচিপায় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ
- বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৪টি মামলা, অর্থদণ্ড আদায়
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- পটুয়াখালীতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোর চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার
- ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন কি না বুঝে নিন লক্ষণে
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- পটুয়াখালীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস
- বদহজম-পেটে যন্ত্রণা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- হুপিং কাশিতে আক্রান্ত কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- নিষেধাজ্ঞায় অভয়াশ্রমে মাছ শিকার ১৪ জেলের কারাদন্ড
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে