• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান লাইলাতুল কদর মানবজাতির অত্যন্ত বরকত ও পুণ্যময় রজনি শবে কদর রজনিতে দেশ ও মুসলিম জাহানের কল্যাণ কামনা প্রধানমন্ত্রীর সেবা দিলে ভবিষ্যতে ভোট নিয়ে চিন্তা থাকবে না জনপ্রতিনিধিদের জনসেবায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভোটের চিন্তা থাকবে না দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রেসিডেন্টকে শেখ হাসিনার চিঠি রূপপুরে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আহ্বান রূপকল্প বাস্তবায়নে অটিজমের শিকার ব্যক্তিদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে অটিজম ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে

বীমা পেশায় ক্যারিয়ার

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বীমা পেশায় কাজের সুযোগ বাড়ছে। প্রতিবছরই বীমাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়। বীমাবিষয়ক পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করে নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। ন্যূনতম স্নাতক পাস হলেই এ কোর্সে ভর্তি হওয়া যাবে।

বর্তমানে দেশে বীমাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭৯টি। এর মধ্যে ৪৬টি সাধারণ বীমা আর ৩৩টি জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন প্রায় চার লাখ কর্মী। এ ছাড়া চাকরির সুযোগ প্রতিনিয়তই বাড়ছে। বীমা বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করা প্রার্থীদের বীমাপ্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স একাডেমির চিফ ফ্যাকাল্টি মেম্বার এস এম ইব্রাহিম হোসাইন জানান, বীমা বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্সটিতে ভর্তির যোগ্যতা লাগবে ন্যূনতম স্নাতক পাস। স্নাতকোত্তর পাসকৃতরাও অংশ নিতে পারবেন। ডিপ্লোমা কোর্সটিতে সার্টিফিকেট ও অ্যাসোসিয়েটশিপ—এ দুটি স্তর রয়েছে। ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা বছরে এপ্রিল ও অক্টোবর দুই পর্বে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কাউন্সেলিং ক্লাসগুলো ভালো ভূমিকা রাখে। বর্তমানে সরাসরি ক্লাসের পাশাপাশি অনলাইনেও ক্লাস করার সুযোগ রয়েছে। ডিপ্লোমা অর্জনের জন্য সাধারণ বীমা ও জীবন বীমা বিষয়ক মোট ১০টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়। বর্তমানে সার্টিফিকেট স্তরে চারটি ও সার্টিফিকেট স্তর সমাপ্তির পর অ্যাসোসিয়েটশিপ স্তরে ছয়টি বিষয় উত্তীর্ণ হতে হবে।

প্রতি বিষয়ে পরীক্ষার নম্বর ১০০। প্রতি বিষয়ে পরীক্ষার পাস নম্বর ৫০। দ্বি-স্তরবিশিষ্ট বিআইএ ডিপ্লোমা কোর্সের মেয়াদ কমপক্ষে এক বছর। তবে রেজিস্ট্রেশন গ্রহণের তারিখ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এই কোর্স সমাপ্ত করতে হবে।


পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্সটিতে এ বছরের প্রথম পর্বে ভর্তির রেজিস্ট্রেশন ও ফি জমা দেওয়া যাবে ৫ মার্চ পর্যন্ত। কাউন্সেলিং ক্লাস শুরু হবে ৮ মার্চ থেকে। পরীক্ষার ফি প্রদান এবং প্রবেশপত্র সংগ্রহ করা যাবে ২ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরু হবে ৭ জুন থেকে। ডিপ্লোমা এ কোর্সটিতে ভর্তি ও অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে একাডেমির ওয়েবসাইটে— www.bia.gov.bd।


পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স করা প্রার্থীরা বিভিন্ন বীমা কম্পানিতে ‘কর্মকর্তা’ হিসেবে চাকরির সুযোগ পাবেন। পদোন্নতির ক্ষেত্রেও এ ডিগ্রি কাজে দেবে। ইনস্যুরেন্স একাডেমি থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমাধারীদের অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। সাধারণ বীমা করপোরেশন ও জীবন বীমা করপোরেশনে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বীমা ডিপ্লোমার জন্য আলাদা নম্বর রয়েছে এবং দুই করপোরেশনে এ জন্য আর্থিক ইনক্রিমেন্ট রয়েছে। এ ছাড়া কিছু বেসরকারি বীমা কম্পানিতে ডিপ্লোমাধারীদের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে সাধারণ বীমা ও জীবন বীমা—এ দুই ধরনের বীমা কম্পানি রয়েছে। এতে রয়েছে আবার বিভিন্ন বিভাগ। যেমন—অগ্নি, নৌ, মোটর, সম্পদ, ইঞ্জিনিয়ারিং, জীবন বীমা, অবলিখন, সার্ভিসিং, দাবি, পুনঃ বীমা ইত্যাদি।

বাংলাদেশে প্রতি হাজারে চারজনের জীবন বীমা রয়েছে। উন্নত দেশগুলোতে বীমার বিস্তারে এসব খাতের বীমা বড় ভূমিকা রাখছে। এরই মধ্যে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বীমা শুরু হয়েছে। শিক্ষা ও  বীমা নিশ্চিত করেও এ খাতের সম্প্রসারণ সম্ভব।

বীমাশিল্পে দক্ষ পেশাজীবী গড়ে তুলতে বীমা ডিপ্লোমা গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হিসেবে মনে করেন এস এম ইব্রাহিম হোসাইন।

তিনি বলেন, ‘বীমা খাতে ব্যাপক হারে কাজের সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে আমাদের মধ্যে। এ ব্যাপারে অস্পষ্টতা দূর করতে সরকার কৃষি বীমা, গবাদি পশু বীমা ও ব্যাংক ইনস্যুরেন্সসহ করপোরেট এজেন্ট ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বীমা খাতের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করছে।

বীমার অগ্রসরতার মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন ও এসডিজির অভীষ্ট লক্ষ্য পূরণ করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে। তাতে যেমন কর্মসংস্থান বাড়বে, তেমনি বীমাকারীও লাভবান হবে। সম্প্রতি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গবেষণা শাখাও এ খাতের উন্নয়নে কাজ করছে। একই সঙ্গে পুনঃ বীমার বাজারকেও সম্প্রসারণ করলে এ পেশায় ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাও বাড়বে।

বীমাশিল্পে দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতে বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স একাডেমি বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করছে। বীমা পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে এসব কোর্স বেশ কাজে দেবে।