• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী

মনের চোখ দিয়েই অন্ধ পর্যটকের ১৩০ দেশ ভ্রমণ!

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

মানুষের ইচ্ছা শক্তিই তাকে আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলে। আর তার বাস্তব উদাহরণ ব্রিটিশ নাগরিক টনি জাইলস। অন্ধ হওয়ার পরেও নিজের ইচ্ছে শক্তি কারণে ভ্রমণ করেছেন ১৩০ টি দেশ। শুধু এখানেই শেষ নয়, বিশ্বের সবগুলো দেশ ঘুরে দেখার স্বপ্ন পোষণ করেন অন্ধ এই পর্যটক। নিজের এই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাকে যেন ভ্রমণের নেশা থেকে একটুও দূরে সরাতে পারে নি। 

তবে যে ব্যক্তি চোখে দেখেন না আবার কানেও শোনে না সে কিভাবে এতগুলো দেশ ভ্রমণ করেন? এমন প্রশ্ন স্বভাবতই সবার মনে উঁকি দেয়। আর এই প্রশ্নের জবাব দিলেন স্বয়ং টনি জাইলস। 

তিনি বলেন, আমি মানুষের কথা শুনি, পাহাড়ে উঠি, সবকিছু আমি আমার স্পর্শ এবং পায়ের মাধ্যমে অনুভব করি। ওভাবেই আমি এক একটি দেশ দেখি।

গত ২০ বছরে বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন জাইলস। আর এসময় তার এক গ্রিক তরুণীর সঙ্গে দেখা হয়। যিনি নিজেও অন্ধ এবং জাইলসের এখন ভাল বান্ধবী। গত বছর বান্ধবীর সঙ্গে রাশিয়া ঘুরে বেড়িয়েছিলেন তিনি। বিশ্বের বৃহত্তম এই দেশটির এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ট্রেন দিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন তারা। 

জাইলসের ভ্রমণের এই টাকা আসে তার বাবার পেনশনের টাকা থেকেই। যার কারণে আগে থেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে হয় তার। তার প্লেনের টিকেট কাটার জন্য তার মা তাকে সাহায্য করেন বলে বিবিসে জানান বিশেষভাবে সক্ষম এই মানুষটি। কেননা অধিকাংশ এয়ারলাইন্স কোম্পানিতেই অন্ধদের জন্য যথেষ্ট সুবিধা নেই।

এছাড়া বিভন্ন দেশে তাকে থাকার জন্য যারা সাহায্য করেন তাদের সঙ্গে আগেই কথা বলে নেন জাইলস। এ বিষয়ে তিনি জানান, আমি কোনো বই বা ট্র্যাভেল গাইড দেখে ঠিক করতে পারি না যে একটি দেশের কোথায় কোথায় আমি যাবো। ঐ তথ্যগুলো ভ্রমণের আগেই জানতে হয় আমার। তাই আমি আগে থেকেই আমার ভ্রমণের পরিকল্পনা করে ফেলি। 

এছাড়া সব অঞ্চলের স্থানীয় খাবার খাওয়াও তার ভ্রমণের অন্যতম লক্ষ্য থাকে। জাইলস অনেক দর্শনীয় জায়গায় গিয়েছেন এবং অনেক জায়গার ছবিও তুলেছেন। সেসব ছবি জাইলস নিজে হয়তো উপভোগ করতে পারেন না, তবে তার ওয়েবসাইটগুলোতে দর্শকরা সেসব ছবি দেখে বিশ্বের নানা জায়গা সম্পর্কে জানতে পারেন।

অনেকসময় মানুষ তার ভ্রমণের নেশা দেখে অবাক হয়ে যায়। কিন্তু তারা তো জানে না, একজন অন্ধ ব্যক্তিও পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ উপভোগ করতে পারে, যদি তার একটা মনের চোখ তৈরি হয়। আর জাইলসের সেই মনের চোখটা আছে, যা দিয়ে তিনি গোটা দুনিয়া ঘুরে দেখতে চান।