• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মারাত্মক আট রোগের মহৌষধ বৃষ্টির পানি

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২০  

বর্ষা মানেই যখন তখন ঝুম বৃষ্টি। তাইতো এও মৌসুমে সুস্থ থাকাটা একটু কস্তুর হয়ে পড়ে। কারণ বর্ষা মানেই পেটের রোগ, হাঁচি, কাশি, সর্দি, জ্বর। এমনটাই ভেবে থাকেন সবাই। কিন্তু জানেন কি, এই বর্ষাই হয়ে উঠতে পারে রোগমুক্তির ঋতু! নিশ্চয়ই ভাবছেন কীভাবে? চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত-

বিজ্ঞানীদের একটা বড় অংশ বলছেন, বৃষ্টির পানি পৃথিবীর সবচেয়ে বিশুদ্ধ পানি।

অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণা রিপোর্টের দাবি, বৃষ্টির পানি পান করা সবচেয়ে নিরাপদ। মাটি বা পাথরে থাকা মিনারেলস আর বর্জ্য, বৃষ্টির পানিতে থাকে না। সেকারণেই বৃষ্টির পানি পানে অনেক উপকারিতা দেখছেন বিজ্ঞানীরা। এক নজরে দেখে নেয়া যাক বৃষ্টির পানি কী কী রোগের মহৌষধ-

হজমশক্তি বাড়ায়

বৃষ্টির পানিতে থাকে অ্যালকালাইন পিএইচ যা অ্যাসিডিটি কমায়, হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

রাসায়নিক মুক্ত পানি

ট্যাপের পানি জীবাণুমুক্ত করতে ক্লোরিন ব্যবহার করা হয়। আর ফ্লোরাইড আসে মাটির নিচ থেকে। বেশি মাত্রায় ক্লোরিন বা ফ্লোরাইড পেটে গেলে গ্যাসট্রাইটিস, মাথাব্যথার মতো সমস্যা বাড়ে। বৃষ্টির পানিতে ফ্লোরাইড বা ক্লোরিন, কোনোটিই থাকে না।

ক্যান্সার বিরোধী

বৃষ্টির পানিতে থাকা অ্যালকালাইন পিএইচ ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রুখে দেয়। ক্যান্সার রোগীদেরে ক্ষেত্রে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে বৃষ্টির পানি।

পাকস্থলীর সমস্যা দূর করে

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২ থেকে ৩ চামচ বৃষ্টির পানি খাওয়া ভালো। পাকস্থলীতে অ্যাসিডিটি বা আলসার থাকলে বৃষ্টির পানি ওষুধের কাজ করে।

বৃষ্টির পানি সুন্দর চুল করে

কোনো মিনারেলস না থাকায়, বৃষ্টির পানি অত্যন্ত কোমল। এই পানিতে মাথা ধুতে পারলে শ্যাম্পু বা সাবানের চেয়েও ভালো কাজ দেয়।

ত্বকের পক্ষে উপকারী

বৃষ্টিতে ভিজলেই অসুখ- এটা পুরনো ধারণা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুন্দর সুস্থ ত্বক পেতে হলে, বৃষ্টির পানি অত্যন্ত উপযোগী। সুগন্ধি সাবানে থাকে অ্যাসিডিক পিএইচ যা ত্বককে রুক্ষ ও প্রাণহীন করে দেয়। বৃষ্টির পানিতে এসব কিছু নেই।

জ্বালা ও ব্যাকটেরিয়া নাশক

বৃষ্টির পানি কোষে জমে থাকা খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে সাফ করে দেয়। ত্বকের জ্বালাও দূর হয়। তাই বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৃষ্টি দেখে আর ঘরে বসে থাকা নয়। প্রাণ ভরে ভিজুন। বৃষ্টির পানি পান করুন।

বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করবেন যেভাবে

বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করার জন্য বড় আকারের পাত্র বা ড্রাম নিন। সেক্ষেত্রে ভালো মানের প্লাস্টিকের বিভিন্ন আকারের ড্রাম কাজে লাগানো যেতে পারে। ড্রামের মুখ নেট ও ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন, যাতে মশা, কীটপতঙ্গ বা পোষা প্রাণী দ্বারা পানি নষ্ট না হয়।

বাড়ির ছাদ যদি হয় টিনের, তাহলে তা বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করার জন্য আদর্শ। একটু খাটুনি করে টিনের চালের সঙ্গে ইউ শেপ করে টিন কেটে বসিয়ে দিন। বৃষ্টির সময় ড্রামটি ওই আদল বরাবর বসিয়ে দিন। এতে সহজে পানি ভরে নেয়া যাবে।

সংরক্ষণ ও শোধন

বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রক্রিয়া (রেইন ওয়াটার কালেকশন সিস্টেম) স্থাপন করে প্রাকৃতিক এ পানি মজুদ করতে পারেন। এ প্রক্রিয়ায় মাটির নিচে একটি বড় ট্যাংক স্থাপন করা হয়। বৃষ্টি হলে পানি সরাসরি ট্যাংকে জমা হবে। এর সঙ্গে একটি ফিল্টার ও পাম্প থাকবে, যাতে আপনার চাহিদা অনুযায়ী তা বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারে। এ ধরনের সংরক্ষণ প্রক্রিয়া অবশ্য বেশ ব্যয়বহুল। অভিজ্ঞ লোক ডেকে এটি স্থাপন করতে হবে।

স্বল্প পানি সংরক্ষণের জন্য বালতি, বড় আকারের জার, বোতল ইত্যাদি ব্যবহার করুন। খুব কম সময়ের মধ্যে এ পানি ব্যবহার করে ফেলতে হবে। বেশি সময় এ পানি রাখা যাবে না। এতে মশা বংশবৃদ্ধি করবে। সবচেয়ে ভালো হয় দুই দিনের মধ্যে পানি ব্যবহার করে ফেললে।

সূত্র: বোল্ডস্কাই