• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে: রেজাউল করিম

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২০  

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, রাষ্ট্র ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর রমনায় মৎস্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন: আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য বারবার ষড়যন্ত্র করা হয়। ১৯৬৯ সালের ২০ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু জানতে পারেন যে তাকে হত্যার জন্য পাকিস্তান থেকে আততায়ী পাঠানো হয়েছে। ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাকে হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিল। ১৯৭০ সালের নির্বাচনি ক্যাম্পে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। ১৯৭২ সালের ১৩ জুলাই মেজর ফারুক ও ১৯৭৩ সালের ১১ জুলাই কর্নেল রশিদ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্দেশ্যে মার্কিন দূতাবাসের মাধ্যমে অস্ত্র কিনতে চেয়েছিল। ১৯৭৪ সালের ১৩ মে উচ্চ পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তাদের নির্দেশে শেখ মুজিব সরকারকে উৎখাতের জন্য কর্নেল ফারুক আমেরিকার সাহায্য চেয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ২০ মার্চ আর্মড রেজিমেন্টের সেকেন্ড ইন কমান্ড ফারুক রহমান অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিতে জিয়াউর রহমানকে বলেছিল। জিয়াউর রহমান তাতে রাজি না হলেও ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেননি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভয়াবহ অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকে বৈধতা দিতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পার্লামেন্টে আইন পাস করেছিলেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের খালেদা জিয়ার সরকার ১২টি রাষ্ট্রের হাইকমিশনে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দফতরের উপ-পরিচালক শেফাউল করিম, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি, চট্টগ্রাম-এর অধ্যক্ষ মাসুক হাসান আহমেদ, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার ডা. মো. ইমরান হোসেন খান বক্তব্য রাখেন।

আলোচনা সভার আগে মৎস্য অধিদফতরে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব প্রমুখ। আলোচনা সভার শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং সভা শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।