• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

শুভ জন্মদিন গানের পাখি ফেরদৌসী রহমান

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২০  

দেশীয় সংগীতের পথিকৃৎ ফেরদৌসী রহমান। প্রথিতযশা এই শিল্পীর কণ্ঠে অসংখ্য কালজয়ী গান পেয়েছেন উপমহাদেশের সংগীতপ্রেমিরা। সুদীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে পল্লীগীতি, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, ইসলামিক গান-গজল, আধুনিক ও চলচ্চিত্রসহ সব ঘরানার গানই প্রস্ফুটিত হয়েছে গুণী এই শিল্পীর কণ্ঠ।

রোববার (২৮ জুন) গানের পাখি ফেরদৌসী রহমানের ৭৯তম জন্মদিন। বাংলা সংগীতাঙ্গনের সবার প্রিয় এই মানুষটি দীর্ঘ দিন ধরেই মিডিয়ার বাইরে। শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যার কারণে নিয়মিত ডাক্তার দেখাচ্ছেন। তাই বাসাতেই এখন সময় কাটে তার। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের দাওয়াত এলেও যেতে পারেন না। তবে জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুলে যান না স্বজন ও সংগীতের মানুষেরা।

রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেরদৌসী রহমানকে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেছে দেশের বেশ কজন গুণী ও শ্রোতাপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীদের। আর জন্মদিন এলেই মিডিয়ার মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগটা হয় প্রথিতযশা এই শিল্পীর।

যে জন প্রেমের ভাব জানে না, যার ছায়া পড়েছে মনের আয়নাতে, প্রাণ সখিরে, ঐ শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে, পদ্মার ঢেউরে,  ও কি গাড়িয়াল ভাই’সহ অনেক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি।

১৯৪১ সালে ২৮ জুন কুচবিহারে জন্মগ্রহণ করেন ফেরদৌসী রহমান। তার পিতা পল্লীগীতি সম্রাট আব্বাস উদ্দিন। বাবাই তার প্রথম সংগীতগুরু। পরবর্তীতে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, ইউসুফ খান কোরেইশী, কাদের জামেরী, গুল মোহাম্মদ খান, নাজাকাত আলী খান ও সলামাত আলী খান প্রমুখ নামজাদা ওস্তাদদের কাছ থেকে গানের তালিম নেন তিনি।

১৯৫৭-৭০ সাল পর্যন্ত নিয়মিত সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ফেরদৌসী রহমান। ২৫০- এর অধিক সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। প্র্রকাশ করেছেন ২০টি মতো অ্যালবাম। তার রেকর্ডকৃত গানের সংখ্যা পাঁচ হাজারেরও অধিক। বাংলা ছাড়াও গেয়েছেন উর্দু, ফারসি, আরবি, চীনা, রুশ, জার্মান’সহ আরও কিছু ভাষার গান।

বিভিন্ন ঘরানার গানে তার রয়েছে সমান দক্ষতা। একইসঙ্গে গেয়েছেন উচ্চাঙ্গসঙ্গীত, পল্লীগীতি, রবীন্দ্রসঙ্গীত, ইসলামিক গান-গজল ও আধুনিক গান।

ফেরদৌসী রহমান নজরুল ইন্সটিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য একুশে পদক’সহ দেশ-বিদেশের আরও অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ‘লাহোর চলচ্চিত্র সাংবাদিক পুরস্কার (১৯৬৩ সাল)’,  ‘প্রেসিডেন্ট প্রাইড অব পারফরম্যান্স পুরস্কার (১৯৬৫ সাল)’, ‘নাসিরউদ্দিন গোল্ড মেডেল পুরস্কার’।