• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী

সবাই যেন ন্যায়বিচার ও আইনের আশ্রয় পায়: প্রধানমন্ত্রী

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০১৯  

সবারই ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিচারকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমি চাই না,আমাদের মতো স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে বছরের পর বছর কেউ অপেক্ষা করুক। সবাই যেন ন্যায়বিচার পায়, আইনের আশ্রয় পায়।’

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০১৯’ র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকুক। বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানাই, অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা দখলকে উচ্চ আদালত অবৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এ সাহসী ভূমিকার জন্য উচ্চ আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’ 

বিচার বিভাগের উন্নয়নে তার সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার বিভাগের উন্নয়নে আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে। সারাদেশে জেলা ও  দায়রা জজ আদালতের উন্নয়নে কাজ করছি। ন্যায়বিচার যেন হয় তার জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করছি।’

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে নারী বিচারক নিয়োগের বিষয়টি ছিল না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরাই নারী বিচারক নিয়োগের ব্যবস্থা করেছি। একটা দেশ চলতে হলে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা জেলায় চিফ জুডিশিয়াল আদালত ভবন নির্মাণ করেছি। প্রতিটি জেলায়ই যেন বিচার কাজ সুষ্ঠুভাবে চলে তার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। বিচারকদের আবাসন সংকট ছিল। দুইজন বিচারক সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন। আমরা বিচারকদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি।’

বিচারকদের বেতনের বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিয়েছি। বেতন কাঠামোও আলাদা করে দিয়েছি। অনেকগুলো ভাতা দিয়েছি। পৃথিবীর কোন দেশ এক সঙ্গে এত বেতন বাড়ায়নি। আমরা মোট ৩৩৪ ভাগ বেতন বৃদ্ধি করেছি। এর জন্য আমাদের কাছে কেউ দাবি করেনি। আমরা দেখে শুনেই এ বেতন বাড়িয়েছি। বিচারকদের জন্য কী কী প্রয়োজন এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই তাদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এর আগে কেউ বিচারকদের নিরাপত্তার বিষয়টি খেয়াল করেনি। বিচারকদের নানাভাবে হয়রানি করা হতো। বিচার বিভাগে ই-জুডিশিয়াল সার্ভিস চালু করার বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টসহ ১৩টি জেলায় ডিজিটাল বোর্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা আধুনিকায়নের জন্য কাজ করছি। আদালতে আসামি নেওয়ার পথে যেন ছিনতাই না হয় এর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করার চিন্তা করছি। আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে। দেশকে জাতির জনকের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা করতে চাই। আমরা প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানকে উন্নত করতে চাই। আমরাই প্রথম জুডিশিয়াল ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করেছি। বিচার বিভাগের জন্য আমাদের কর্তব্য আমরা করে যাব। আপনারা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন।’ 

পরে বিচারকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি আশা করি, দেশ ও জনগণ এবং সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে আপনারা আপনাদের মেধা, মনন ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করবেন। সবাই যেন ন্যায়বিচার পায়, আইনের আশ্রয় পায়, যেটা আমাদের পবিত্র সংবিধানে আছে।’

‘আমরা চাই, জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলতে। আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি, আন্তরিকতার সাথে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে। ইনশাল্লাহ, এই বাংলাদেশ একদিন জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।

মুজিব বর্ষে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মুজিব বর্ষ ঘোষণা দিয়েছি। তিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তার জীবনের সব কিছু ত্যাগ করেছেন এবং তিনি তো বলেই গেছেন, বাংলাদেশের মানুষকেই বেশি ভালবাসেন। আর সেই পিতার ভালবাসার মানুষগুলির জীবনটা উন্নত হোক, সমৃদ্ধশালী হোক, মানসম্মত হোক, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের জনগণ মাথা উঁচু করে মর্যাদার সাথে চলবে। সেইভাবেই দেশটাকে আমরা গড়ে তুলতে চাই।

এলক্ষ্যে সবার সহযোগিতা কামনা করে জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বাগত বক্তব্য দেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারওয়ার এবং মুন্সিগঞ্জ জেলা সিনিয়র দায়রা জজ।