• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী

সমুদ্রের গর্জন ও পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর কুয়াকাটা

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০১৯  


ঈদের ছুটিতে কর্মব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি দূর করতে কুয়াকাটায় এখন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। বৈরি আবহাওয়ায় ঈদের প্রথম দিনে পর্যটকদের তেমন ভিড় দেখা না গেলেও ঈদের তৃতীয় দিন থেকে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় বাড়তে শুরু করেছে পর্যটকদের আনাগোনা। পুরো সৈকতজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
কুয়াকাটার ঐতিহ্যবাহী কুয়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, আড়াই শতবর্ষী নৌকা, ইলিশ পার্ক, কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান, ঝাউ বন, লেম্বুর চর, চর গঙ্গামতি, লাল কাঁকড়ার দ্বীপ, ফাতরার বন, এশিয়ার সর্ববৃহৎ সীমা বৌদ্ধ বিহার ও রাখাইন পল্লীসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানেও বাড়ছে পর্যটকদের আনাগোনা। সৈকতে প্রিয়জনদের সঙ্গে পর্যটকের অবিরাম ছুটোছুটি, বালিয়াড়িতে পাতা বেঞ্চে বসে ঢেউয়ের গর্জন শোনা ও গা ভাসিয়ে সমুদ্রে গোসল দেখলে মনে হয় এ যেন সমুদ্রের সঙ্গে পর্যটকদের গভীর এক মিতালী।
কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি। এরই মাঝে সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত দেখা, লাল কাকড়ার অবিরাম ছুটোছুটি, বালুকা বেলায় প্রিয়জনের সঙ্গে হাঁটাহাঁটি, আর সমুদ্রের মোহনীয় গর্জন শুনতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে কুয়াকাটায় ছুটে এসেছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নানা বয়সের হাজারো মানুষ।
এদিকে বর্ষা মৌসুমে পর্যটকদের ভিড়ে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন ফিরে পেয়েছে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্যতা। আর পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা পুলিশ, সাদা পোশাকের পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
নরসিংদী থেকে ঘুরতে আসা সেলিম-রেহানা দম্পতি জানান, কুয়াকাটা আসলে দেখার মতো স্থান। তবে তুলনামূলক হোটেল ভাড়া একটু বেশি। নারায়ণগঞ্জ থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা রবিউল ইসলাম জানান, বৈরি আবহওয়া উপেক্ষা করে আমরা কুয়াকাটায় এসেছি। কুয়াকাটার পরিবেশটা খুবই ভালো। তবে খাবারের মান একটু খারাপ, দামেও একটু বেশি।
কুয়াকাটা হোটলে-মোটেল মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মিলন ভূঁইয়া জানান, বৃষ্টির কারণে ঈদের প্রথম দিকে পর্যটকদের সংখ্যা একটু কম ছিল। তবে এখন হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে পর্যাপ্ত বুকিং রয়েছে। এছাড়া ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য সব আয়োজনে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক খলিলুর রহমান জানান, সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।