• শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৯ রমজান ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করলো কে? প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গভবনে স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনায় ভুটানের রাজার যোগদান বাংলাদেশ-ভুটান তিন সমঝোতা স্মারক সই ইফতার পার্টি না করে নিম্ন আয়ের মানুষকে সহযোগিতা করুন সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে বাংলাদেশ মিশনগুলোর ভূমিকা রাখার আহ্বান সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস উপজেলা নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর জনগণের সঠিক প্রতিনিধিত্ব ছাড়া উন্নয়ন হয় না প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আধুনিক কারিগরি ও প্রযুক্তি সন্নিবেশ করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী প্রযুক্তি ব্যবহারে জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব স্বাস্থ্যখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে চায় ডব্লিউএইচও পুতিনকে অভিনন্দন জানালেন শেখ হাসিনা এ বছর ফিতরার হার নির্ধারণ ২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পাশে আছি: প্রধানমন্ত্রী জনসমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব

২০২২ সালে চালু হবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল যোগাযোগ

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ চালু হবে ২০২২ সালের মধ্যে। এই লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে মিয়ানমার সীমান্ত ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ রেললাইন প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি চলছে কক্সবাজারে আইকনিক স্টেশনসহ ৯টি স্টেশনের নির্মাণ কাজ। ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডোরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন ও পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনার লক্ষ্য বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার এ উদ্যোগ গ্রহণ করে।

পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন, সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারসহ কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষি পণ্য পরিবহনের পাশাপাশি কক্সবাজাররে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত সূচিত হবে এমন আশাবাদ কক্সবাজারবাসীর। জানা গেছে, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু ১০১ কিলোমিটার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয় ২০১০ সালে। এর প্রায় আট বছর পর ২০১৮ সালে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ১ হাজার ৩৯১ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের অধীনে কক্সবাজারে আইকনিক স্টেশনসহ ৯টি স্টেশনের অবকাঠামো নির্মাণসহ ৩৯টি ব্রিজ, ১৪৫টি কালভার্ট, বিভিন্ন শ্রেণীর ৯৬টি লেভেল ক্রসিং নির্মাণও কাজ ইতোমধ্যে অনেকদূর এগিয়ে গেছে।

কক্সবাজার-৩ (রামু-কক্সবাজার) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, রেললাইন প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আশা করছি, ২০২২ সালের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ করা যাবে। এরই মধ্য দিয়ে দেশের অন্যতম পর্যটন শহর কক্সবাজারের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এমপি কমল আরও বলেন, কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়ক আমাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, এখানকার সড়কগুলোকে চার লেনে উন্নীতকরণ, এবং কর্ণফুলী টানেলের কাজ শেষ হলে সবকিছু মিলে কক্সবাজার হবে আন্তর্জাতিকমানের একটি শহর। এই আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। শুধু দেশের নয়, বিদেশি পর্যটকেরা ভ্রমণের জন্য কক্সবাজার ছুটে আসবেন। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেক দূর এগিয়ে যাবে।