• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পায়রা বন্দরে নির্মাণ হচ্ছে টার্মিনাল ॥

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৮  

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ 
দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রায় চার হাজার কোটি টাকা নির্মিত হচ্ছে টার্মিনাল। র্নিমান করা হচ্ছে ট্রান্সশিপমেন্ট কন্টেইনার টার্মিনাল, ডিপ ওয়াটার কন্টেইনার টার্মিনাল, মাল্টিপারপাস টার্মিনাল, ড্রাই বাল্ক বা কয়লা টার্মিনাল। পায়রা বন্দর থেকে মালামাল দেশের অন্যত্র পরিবহণের জন্য রামনাবাদ চ্যানেলে ৬৫০ মিটার দৈর্ঘের একটি জেটিসহ টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে। এজন্য ব্যয় হবে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। এ বিষয়ে একটি ডিটেইলড প্রজেক্ট প্রফর্মা (ডিপিপি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পায়রা বন্দরকে দ্রুত কার্যকর করতে ২০২০ সালের মধ্যে এসব টার্মিনাল নির্মাণ করতে চায় সরকার।


পায়রা বন্দর সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে পায়রা বন্দরের অভ্যান্তরীণ নৌ-রুটের ড্রেজিং কাজ। ড্রেজিংকৃত এসব বালু পায়রা বন্দরের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমি ভরাট ও অন্যান্য সরকারী স্থাপনার কাজে ব্যবহার হয়েছে। বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করা হবে খুব দ্রুততম সময়ে। ক্রয় হচ্ছে পাইলট বোট, হেভি ডিউটি স্পিড বোট, টাগ বোট, বয়া লেয়িং ভেসেল, জরিপ বোট। পায়রা-রজপাড়া সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে পায়রা বন্দরের মাধ্যমে জাতীয অর্থনীতিতে দ্রুত হবে গতিশীলতা। পায়রা বন্দরের আর্থিক উন্নয়নে এসব গুরুত্ব ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিস্টরা। 


বন্দর সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের মধ্যে পায়রা বন্দরে একটি কয়লা বা বাল্ক টার্মিনাল ও একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল চালু হবে। বন্দরের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়াতে ১৯টি কম্পোনেন্টের সবগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রম জরুরী ভিত্তিতে সম্পন্নকরা হচ্ছে। ড্রেজিং কার্যক্রম সম্পন্ন হলে পায়রা বন্দর সংশিষ্ট সকল প্রকল্পের উন্নয়ন কার্যক্রম বেগবান হবে। আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা তৈরি করতে এ ড্রেজিং সম্পন্ন করা হবে এককভাবে সুয়েজ খাল খননের অভিজ্ঞতা থাকা আর্ন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুলের মাধ্যমে। ৩৬ দশমিক ৫ নটিকেল মাইল চ্যানেলের প্রথম পর্যায়ে টার্নিং বেসিনে ৯ মিটার ও টার্মিনাল এলাকায় ১১ মিটার গভীরতায় ড্রেজিংয়ের প্রাক্কলিত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। 
এনিয়ে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর জাহাঙ্গীর আলম ও জান ডি নুলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জান পিটার ডি নুল। ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজধানীর এক হোটেলে এ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরিত হয়। পায়রা বন্দরের মূল চ্যানেলে ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের কাজ বাস্তবায়নে যৌথ কোম্পানি গঠনেরও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বন্দর বাস্তবায়নে সব কাজের তত্ত্বাবধানও করবে এই যৌথ কোম্পানি।
২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর কলাপাড়ার টিয়াখালীতে দেশের তৃতীয় পায়রা বন্দরের প্রকল্প কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে অবহেলিত অজ পাড়াগাঁয়ের অর্থনৈতিক দিন বদলের গোড়াপত্তন করেছিলে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। দেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে এ বন্দরের কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। যার সফলতা শুরু হয় ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট। বন্দরটি অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয় ওই দিন নৌপথে পণ্য খালাশের কার্যক্রমের মাধ্যমে।