৬৯ বছর আগে আজকের এই দিনে
আজকের পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২০
‘অপারেশন বারবারোসা’ পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ। অর্থাৎ ২য় বিশ্বযুদ্ধের একটি অন্যতম ঘটনা। বিশ্বযুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে হিটলার এবং স্ট্যালিনের মধ্যে ১৯৩৯ সালে একটি সমঝোতা বা অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে পারস্পরিক সন্দেহ ও অবিশ্বাসের কারণে চুক্তি ভেস্তে যায়। জার্মান হাইকমাণ্ড ১৯৪০ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাশিয়া আক্রমণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় এবং হিটলার সোভিয়েত রাশিয়া আক্রমণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। যা ‘অপারেশন বারবারোসা’ নামে পরিচিত।
১৯৪১ সালের আজকের এইদিনে অর্থাৎ ২২ জুন হিটলার অপারেশন বারবারোসা (German: Fall Barbarossa, literally "Case Barbarossa") নামে পরিচিত সোভিয়েত রাশিয়া অভিযান শুরু করেছিলেন। এই অভিযানে উনিশটি প্যানজার ডিভিশন (ট্যাংকের সমন্বয়ে বিশেষ বাহিনী), ৩ হাজার ট্যাংক, ২ হাজার ৫০০ বিমান এবং ৭ হাজার কামান অংশ গ্রহণ করে। সর্বমোট ৩৭ লাখ সৈনিকের সাথে ৬ লাখ মোটরযান এবং ৬-৭ লাখ ঘোড়া ব্যবহার হয়েছিল এই অভিযানে। এর মাধ্যমে পৃথিবীর ইতিহাসে বড় এক ফ্রন্টের সৃষ্টি হয়েছিল।
১৯৪১ সালের ২২ জুন ভোর ৪টায় প্রথম জার্মান ট্যাংক সোভিয়েত সীমান্তে প্রবেশ করে। দ্রুত ও ক্ষীপ্রতার সাথে আক্রমণ সেই সাথে শত্রুকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়ার মাধ্যমে সেই অভিযানের শুরুতে জার্মানরা বিপুল সাফল্য অর্জন করে। ফিল্ড মার্শাল ওয়ালদার ভন ব্রসচিতস, ফিল্ড মার্শাল ফন বুক, জেনারেল গুডারিয়েন অপারেশন বারবারোসার নেতৃত্ব দেন। অভিজ্ঞ জার্মান জেনারেলদের দৃঢ়তা ও প্যানজার ডিভিশনের ট্যাংকের সামনে সোভিয়েত ট্যাংক ও অন্যান্য প্রতিরক্ষা মুখ থুবড়ে পড়ে।
পরবর্তীতে বিপুল আত্মত্যাগ আর প্রাথমিক ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সোভিয়েত বাহিনী ঘুরে দাঁড়ায়। জার্মান আক্রমণ ঠেকাতে শিক্ষানবিশ ক্যাডেটদেরকেও সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গোয়েন্দাদের উপর্যুপরি সতর্কবার্তা ও সামরিক বিশ্লেষকদের হুশিয়ারি সত্ত্বেও স্ট্যালিনের বিশ্বাস ছিল যে, জার্মানরা এতো দ্রুত আক্রমণ করবে না। যে কারণে রাশিয়াকে চড়া মূল্য দিতে হয়েছিল।
এদিকে, প্রাথমিকভাবে ব্যাপক সফলতার পর জার্মান জেনারেলরা সরাসরি মস্কোতে সর্বাত্মক আক্রমণের পরিকল্পনা করলেও হিটলার তাতে দ্বিমত করেন। ফলে স্ট্যালিনগ্রাদসহ অন্যান্য যুদ্ধে জার্মানদের সময় ও শক্তিক্ষয় হয় এবং সোভিয়েত বাহিনী মস্কোর প্রতিরক্ষা মজবুত করতে আরো সময় পেয়ে যান।
পরবর্তীতে প্রচণ্ড শীত ও সোভিয়েত বাহিনীর পাল্টা আক্রমণে মস্কো অভিযান ব্যর্থ হয়। জার্মান বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের পরাজয়ে এটি বিশাল ভূমিকা রেখেছিল। সবার আগে বার্লিনে সোভিয়েত বাহিনীই প্রবেশ করেছিল।
অপারেশন বারবারোসা শুরুর ঠিক ১২৯ বছর ১ দিন আগে নেপোলিয়ন বোনাপার্টও রাশিয়া আক্রমণ করেছিলেন। সে সময় জার্মান ও ফ্রান্স একযোগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। তিনিও যেমন সেই অভিযানে সফল হতে পারেন নি, একইভাবে হিটলারের রাশিয়া অভিযানও ব্যর্থতার মধ্য দিয়েই শেষ হয়েছিলো।
অপারেশন বারবারোসার দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষে জার্মান বাহিনীর ১০ লক্ষাধিক সদস্য প্রাণ হারান। অন্যদিকে সোভিয়েত বাহিনীর প্রায় ৫০ লক্ষ সদস্যকে জীবন দিতে হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রায় আড়াই কোটি বেসামরিক মানুষ। সেইসাথে পূর্ব ইউরোপের প্রায় সকল দেশের অবিকাঠামো বলতে গেলে ধ্বংস হয়ে যায়। উভয় দেশেই ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে আসে। দেখা দেয় মানবিক বিপর্জয়। পরবর্তীতে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বেশ ক’জন জার্মান জেনারেলের নুরেমবার্গ আদালতে বিচার হয়েছিল।
এদিকে, অপারেশন বারবারোসা নিয়ে বহু মুভি ও ডকুমেন্টারি তৈরী হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- The north star, The battle of russia, Fortress of war, Enemy at the gates, Greatest Tank battles-সহ আরো অসংখ্য মুভি। সিনেমার রুপালি পর্দায় দেখা যুদ্ধ বাস্তবের ভয়াবহতা সম্পর্কে কমই ধারণা দিতে পারে। পৃথিবীর বুকে এমন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ যাতে আর না ঘটে সেটাই প্রত্যাশা।
- প্রস্রাবের যে সমস্যা মূত্রথলির রোগের লক্ষণ
- জেনে নিন খাবার স্যালাইনের সঠিক ব্যবহার
- প্রাণ জুড়াতে কাঁচা আমের আইসক্রিম
- ফোনের বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন বন্ধ করবেন যেভাবে
- সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি: অভিযুক্তের আত্মহত্যা
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে
- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে
- অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ
- বাংলাদেশের রেল উন্নয়নে সহযোগিতায় আগ্রহী রাশিয়া
- এআই প্রযুক্তিতে চলবে সরকারি অফিস
- সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশকে ১২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি
- চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার সুপারিশ
- সংশোধন করা হচ্ছে শ্রম আইন
- রেডিয়েশন প্রয়োগে ঘরেই সংরক্ষণ করা যাবে পেঁয়াজ
- চিকিৎসকরা অফিস টাইমে হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা
- প্রবৃদ্ধির দৌড়ে চীন মালয়েশিয়ার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
- গণতন্ত্র দখলকারীদের থেকে এখন গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়
- দেশের গণমাধ্যমে ৩ গুণ বেড়েছে ভুয়া খবর
- আমাদের ইভিএম এর ত্রুটি কেউ প্রমান করতে পারেনি-ইসি মো. আলমগীর
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেই
- গৌরনদীতে ৪ কেজি গাঁজা ও ১০৩ পিচ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- ভোলায় কোস্ট গার্ডের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ
- ইলিশ শিকারে নেমেছে জেলেরা, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার আশা
- র্যাবের অভিযানে শেবাচিম থেকে দালাল চক্রের ২৫ সদস্য আটক
- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, যুবক গ্রেপ্তার
- ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার, পরীক্ষার্থী প্রায় ৯৫ হাজার
- অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
- আন্তর্জাতিক কার্বন ক্রেডিটিংয়ের মাধ্যমে আয় সম্ভব : পরিবেশমন্ত্রী
- শেষ হলো ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা
- দেশের বিভিন্ন স্থানে মহান মে দিবস পালিত
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- গলাচিপায় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- পটুয়াখালীতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোর চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- বদহজম-পেটে যন্ত্রণা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অবহেলা করলে হতে পারে যে গুরুতর রোগ
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- পদ্মা সেতুতে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি টোল আদায়
- ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- হুপিং কাশিতে আক্রান্ত কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
- নিষেধাজ্ঞায় অভয়াশ্রমে মাছ শিকার ১৪ জেলের কারাদন্ড
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- শুধু হিট স্ট্রোক নয়, তাপপ্রবাহে কঠিন যে রোগের ঝুঁকি বাড়ে
- ছুটিতে সরকারি হাসপাতালের সেবায় সন্তুষ্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী