• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙ্গাবালী

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

 

দৃষ্টিনন্দন সমুদ্রসৈকত। বালুচরে লাল কাঁকড়ার দলবেঁধে ছোটাছুটি। পাখির কলকাকলি। ঢেউয়ের গর্জন। বাতাসের তালে ঘন ম্যানগ্রোভ বনের ঝাউপাতার শোঁ শোঁ শব্দ। সমুদ্রতটে চিকচিকে বালুতে পা ফেলানো আর হঠাৎ সমুদ্রের জলরাশি ঢেউ এসে ছুঁয়ে যাওয়া। সাজবেলায় পূর্বাকাশে সমুদ্রের বুক চিরে জেগে ওঠা লাল সূর্যটা।
বেলা শেষে পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার মতো দৃশ্য যে কোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে অবলোকন করার মতো অতুলনীয় স্পটের নাম সোনারচর, জাহাজমারা ও চরতুফানিয়া দ্বীপ। পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময়ী এ তিন আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় অবস্থিত। এ স্পটগুলো নিয়ে যেমন সম্ভাবনা রয়েছে, তেমন সমস্যাও রয়েছে। সেখানকার পর্যটনে সবচেয়ে বড় বাঁধা যোগাযোগ ব্যবস্থা।
সোনারচর : সোনারচরে সোনা নেই ঠিকই, কিন্তু আছে সোনার রঙের বালি। সূর্যের রশ্মি যখন বালির ওপর পড়ে তখন দূর থেকে মনে হয়, সত্যি সত্যিই সোনার আবির্ভাব হয়েছে এখানে। সোনারচরে রয়েছে বিশাল বনভূমি।
বন বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, সুন্দরবনের পরই আয়তনের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বনাঞ্চল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সুবিশাল সমুদ্রসৈকত। এটি রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের আওতাধীন। জানা গেছে, সম্প্রতি সোনারচরের ২০ হাজার ২৪ হেক্টর বিস্তৃত বনভূমিসহ ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকতজুড়ে এক্সক্লুসিভ পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার।

এসব এলাকাজুড়ে বাস্তবায়ন হবে মহাপরিকল্পনা। আধুনিক অবকাঠামো তৈরি হবে। এর আগে সমীক্ষা করা হবে সংশ্লিষ্ট এলাকা। এ কাজে ৬৩ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় করবে সরকার। সোনারচরকে এক্সক্লুসিভ পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তর করতে সমীক্ষা কাজ পরিচালনায় দুই কোটি টাকা মূল্যের কয়েকটি ড্রোন ব্যবহার করা হবে। চলতি সময় থেকে ২০২১ সালের জুন মাসে সার্ভের কাজ শেষ হবে।

জাহাজমারা থেকে চরতুফানিয়া : নয়নাভিরাম সৌন্দর্যঘেরা সমুদ্রসৈকত ‘জাহাজমারা’। রাঙ্গাবালী উপজেলার প্রস্তাবিত মৌডুবি ইউনিয়নে এটির অবস্থান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আকর্ষণে নানা প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে পর্যটকরা এসব স্থানে আসেন কিছুটা প্রশান্তির খোঁজে।

অথচ সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এসব স্থানে পর্যটন অবকাঠামো গড়ে উঠলে পর্যটকদের যাতায়াত সহজ হতে পারে, আর সরকারও আয় করতে পারে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। সরকার এটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা না করলেও পর্যটকরা একটু স্বস্তির খোঁজে এখানে ছুটে আসছেন।

জাহাজমারার কাছেই আরেকটি সৌন্দর্য ঘেরা দ্বীপ চরতুফানিয়া। জাহাজমারা স্লুইসগেট কিংবা জাহাজমারা সৈকত থেকে ট্রলারযোগে তুফানিয়ার যেতে হয়। এটি পিকনিক স্পট হিসেবে বেশ পরিচিত।

যোগাযোগ সমস্যা ও সমাধান : পর্যটনের সম্ভাবনাময়ী এলাকা রাঙ্গাবালী। এর চার পাশ নদী ও সাগর দ্বারা বেষ্টিত। সারা দেশের সঙ্গে এখানকার যোগাযোগ মাধ্যম একমাত্র নৌপথ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোড়ালিয়া থেকে পানপট্টি ফেরি সেবা চালু করলে সারা দেশের সঙ্গে রাঙ্গাবালীর সড়ক যোগাযোগ চালু হবে।

এছাড়াও কুয়াকাটা থেকে সোনারচর হয়ে জাহাজমারা থেকে চরতুফানিয়া পর্যন্ত সি-ট্রাক কিংবা লঞ্চ সেবা চালু, সোনারচর-জাহাজমারা ও চরতুফানিয়ায় পন্টুন স্থাপনের দাবি উঠেছে। একই সঙ্গে হোটেল-মোটেল ও রেস্ট হাউসসহ আধুনিক অবকাঠামো তৈরি করলে পর্যটকদের এসব দ্বীপে আসার আগ্রহ আরো বেড়ে যাবে।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, শুধু যোগাযোগ সমস্যা এখানে পর্যটন শিল্পের বিকাশে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যোগযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে আমরা ইতোমধ্যে কোড়ালিয়া-পানপট্টি নৌরুটে ফেরি সেবা চালুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছি। ফেরি চালু হলে সারা দেশের সঙ্গে রাঙ্গাবালীর সড়ক যোগাযোগ হবে। আর পর্যটন স্পটগুলোয় সরাসরি নৌযানে যাতায়াতের সুযোগ করা হলে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে।