• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা

খালেদার মুক্তিতে তারেকের অনীহা, হতভম্ব বিএনপি নেতৃবৃন্দ!

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

এবার বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে নতুন রাজনীতি শুরু করেছেন দলটির লন্ডন পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। খালেদার মুক্তির জন্য আইনি লড়াই বা মাঠের আন্দোলন ধীর গতিতে চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

তারেক মনে করছেন, খালেদা জিয়া যদি জেলখানায় মারা যান, তবে তাতে বিএনপির আন্দোলনের জন্য শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম তৈরি হবে। এদিকে তার এমন তত্ত্বে বিএনপিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। নতুন বার্তায় তারেক বলেন, ‘মুক্ত খালেদার চেয়ে মৃত খালেদা অনেক মূল্যবান।’ তারেকের তত্ত্ব নিয়ে বিএনপির মধ্যে নানারকম প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বেগম খালেদা জিয়া যদি সত্যি অসুস্থ থাকেন এবং এই অসুস্থতার কারণে যদি তিনি মারা যান, তাহলে বিএনপির বিপুল লাভ হবে। এর ফলে সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনও শুরু করবে দলটি। এ কারণেই তারেক মায়ের মুক্তি নিয়ে বিএনপিকে শুধু রাজনীতি করারই নির্দেশ দিয়েছেন।

এর মধ্যে গত শনিবার বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করেছিলেন। এই পরামর্শের ভিত্তিতে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, রোববার বেগম জিয়ার জামিনের জন্য আবার তারা হাইকোর্টে আবেদন করবেন। কিন্তু তারেকের নির্দেশ সেই আবেদনও করা হয়নি।

বিএনপির আইনজীবীরা এখন বলছেন যে, তারা বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন। অন্যদিকে বেগম জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে প্যারোল আবেদনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেই উদ্যোগও থমকে গেছে তারেকের হস্তক্ষেপের কারণে।

বিএনপির অনেক নেতা মনে করছেন যে, বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার নোংরা খেলায় মেতেছেন তারেক রহমান। এজন্যই বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়টি রাজনৈতিক বাহাসে পরিণত হয়েছে। বাস্তবে বেগম জিয়ার মুক্তি তারেক রহমান চাইছেন না।

এর আগে তারেক বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে স্কাইপিতে যুক্ত হন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, তারেক রহমান ক্ষমতার জন্য নির্মম এবং নিজের মায়ের প্রতি তার যে ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ, ভালোবাসা এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নেই তা তিনি প্রমাণ করেছেন। তারেক একাধিক কারণে চাইছেন যে, খালেদা জিয়া জেলে থাকুন।

এর প্রথম কারণ হলো যে, খালেদা জিয়া যদি জেলে থেকে যদি ক্রমাগত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যান তাহলে বিএনপিতে তার আসন পাকাপোক্ত হবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থেকে তিনি দলের পূর্ণাঙ্গ চেয়ারম্যান হতে পারবেন। তখন দলের মধ্যে যারা খালেদাপন্থি আছেন, তাদের উপর তিনি প্রশ্নাতীত নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করতে পারবেন।

দ্বিতীয়ত, বিএনপি সাংগঠনিকভাবে যেহেতু দুর্বল। বেগম খালেদা জিয়ার যদি জেলে থেকে কিছু হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে বিএনপি নতুন করে আন্দোলন করার চেষ্টা করবে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা আবেগ তৈরি হবে এবং সেই আবেগকে কাজে লাগিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে পারবে বিএনপি।

তৃতীয়ত, তারেক মনে করছে যে খালেদা জিয়া যেকোনো প্রক্রিয়াতেই যদি মুক্ত হয় তাহলে বিএনপির বিশেষ করে খালেদা জিয়ার আপোসকামীতা সবার সামনে স্পষ্ট হয়ে যাবে। এর ফলে বিএনপির যে রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব তা আরেকবার প্রকাশ পাবে। এর ফলে সাধারণ মানুষ বিএনপি থেকে আরও মুখ ঘুরিয়ে নেবে।