• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বিএনপির অদক্ষতায় ৯১’র ঘূর্ণিঝড়ে ঝরেছিল লক্ষাধিক প্রাণ

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২০  

২৯ এপ্রিল, ১৯৯১। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলবাসীর জন্য ছিল এক ভয়াবহ রাত। সেদিন ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার গতিবেগে বাতাস আর প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস নিয়ে রাত প্রায় ১২টা নাগাদ উপকূলে আছড়ে পড়ে হারিকেনের শক্তিসম্পন্ন প্রবল এক ঘূর্ণিঝড়। সে ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ মারা যায়। মূলত এই প্রাণহানির জন্য দায়ী করা হয় তৎকালীন সরকারের অব্যবস্থাপনা ও আবহাওয়া দপ্তরের হেঁয়ালিকে।

কারণ, তারা ওইদিন বিকেল থেকে বইতে থাকা দমকা হাওয়ার তথ্য মানুষকে সময়মতো জানায়নি। এ কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে না গিয়ে বাড়িতেই অবস্থান করে। যার ফলশ্রুতিতে ওই ভয়াল রাতে ঝরে লক্ষাধিক তাজা প্রাণ। সেদিনের মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়ার সেই দুঃসহ স্মৃতি আজও মানুষকে তাড়া করে বেড়ায়।

বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত ও সংবাদপত্রের খবর বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম এক কলঙ্কজনক দিন ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এদিনে বিএনপি সরকারের চরম গাফিলতি ও অব্যবস্থাপনায় এক ঘূর্ণিঝড়ে লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে প্রায় এক কোটি মানুষ। ওইদিনের ওই প্রলয়ংকারী ঝড়ে উপকূল জুড়ে বিভিন্ন স্থানে পড়ে ছিল অসংখ্য মৃতদেহ। চারদিক থেকে ভেসে আসছিলো কান্নার আওয়াজ। সে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য!

সেদিনের ঘূর্ণিঝড়ে শুধু যে মানুষের প্রাণহানি ও বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছিল তা কিন্তু নয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বিভিন্ন অবকাঠামো এবং যন্ত্রপাতির। যার মধ্যে ছিল চট্টগ্রাম বন্দর, বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান এবং নৌবাহিনীর জাহাজ। এমন এক ঘূর্ণিঝড় ও অসংখ্য মানুষের মৃত্যু যখন বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছিল, তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সংসদে ঠোঁট উল্টে বলেছিলেন, ঘূর্ণিঝড়ে যত মরার কথা, তত মানুষ মরে নাই।

তার এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অমানবিক মন্তব্য শুনে বিরোধী দলে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভাঙা রাস্তা পেরিয়ে সমস্ত দ্বীপাঞ্চল ঘুরে ঘুরে ত্রাণ তৎপরতা চালায়। কিন্তু এগিয়ে আসেনি তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকারের কেউই। বরং সেই বীভৎস-বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা গা এলিয়ে দিয়ে বিশ্রাম করেছেন। চুমুক দিয়েছেন চায়ের কাপে, মেতেছেন খোশগল্পে।

এ ঘটনায় বিএনপি সরকার ও নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে দেশের রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা বলছেন, তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকারের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটে। দলটির অজ্ঞতা ও অদক্ষতার কারণে ঝরেছে লক্ষ প্রাণ। পাশাপাশি আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। কারণ তারা তৎপর ছিলো না বলেই শক্তিশালী সে ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় এক লাখ চল্লিশ হাজার মানুষ মারা যায়। ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন রেখে যায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ উপকূল জুড়ে। যে কথা ভেবে প্রত্যক্ষদর্শী মানুষ ও দেশবাসী এতো বছর পরে এসেও শিউরে ওঠে, ঘৃণায় থুথু নিক্ষেপ করে বিএনপির প্রতি।