যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বিবৃতি দিলেন অলি, সমালোচনা-নিন্দার ঝড়

এবার যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন এলডিপি প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। আর তার এ বিবৃতি রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি গ্রেফতার জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবি করেছেন ২০ দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট এবং জাতীয় মুক্তিমঞ্চের আহ্বায়ক ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। 

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অলি বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সরকার অন্যায়ভাবে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ অন্যান্য প্রবীণ নেতাদের গ্রেফতার করেছে, যা আইনবহির্ভূত কাজ।

তবে অলির এ বিবৃতির মধ্য দিয়ে তার মুক্তিযোদ্ধা নামধারী প্রতারক চরিত্র বেরিয়ে এসেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।  তারা বলেন, অলি আহমদ যদি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হতেন, তাহলে কখনোই বাংলাদেশ-বিরোধী জামায়াতে ইসলামী নেতাদের মুক্তি প্রত্যাশা করতেন না। তিনি এ বিবৃতির মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে তার এবং এলডিপির সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্যই এমন বিবৃতি দিয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জঙ্গি ভাবধারায় পুষ্ট একটি রাজনৈতিক দল। বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পরিধি বহুগুণ বেড়ে যায়। লন্ডনে পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ইন্ধনে জামায়াতে ইসলামের জ্বালায়-পোড়াওয়ের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে।

তারা আরো বলেন, জামায়াতের বিরুদ্ধে দেশে বিরোধী ষড়যন্ত্র ও  ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের ভুরি ভুরি প্রমাণ রয়েছে। এসব ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড থেকে জামায়াতে ইসলামী এখনো বের হতে পারেনি। তাই তাদের নেতাদের মামলা-জেলভোগ করতেই হবে।