• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা

আখেরাতের জীবন চিরস্থায়ী

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

 

দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী। দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবন একই সঙ্গে মানুষের পরীক্ষার কালও। এ জীবনে যারা আল্লাহ ও রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশিত পথে চলবে তাদের আখেরাতের অফুরন্ত জীবনে জান্নাতদ্বারা পুরস্কৃত করা হবে। পক্ষান্তরে যারা ব্যর্থ হবে তাদের পেতে হবে জাহান্নামের শাস্তি। ইসলামী শরিয়তের পরিভাষা- মানুষের মৃত্যুর পরমুহূর্ত যে অনন্ত জীবনের শুরু, যার কোনো শেষ নেই তাকেই আখেরাত বলে। আখেরাতের দুটি পর্যায়। ‘আলমে বরজখ’ অর্থাৎ মানুষের মৃত্যুর পর থেকে কেয়ামত পর্যন্ত লোকচক্ষুর অন্তরালে যে মধ্যবর্তী সময় রয়েছে তাকে ‘আলমে বরজখ’ বলা হয়।

আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে ‘কেয়ামত’ বা পুনরুত্থান বা বিচার দিবস। কেয়ামতের আরও একটি স্তর হচ্ছে বিচারের পর শেষ আবাসস্থল। পৃথিবী লয়ের মাধ্যমে আল্লাহ ছাড়া আর সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে। অতঃপর আল্লাহরই নির্দেশে এক নতুন জগৎ তৈরি হবে। প্রতিটি মানুষ পুনর্জীবন লাভ করে আল্লাহর দরবারে হাজির হবে। দুনিয়ার জীবনে সে ভালো-মন্দ যা কিছুই করেছে, তার হিসাব-নিকাশ সেদিন তাকে দিতে হবে আল্লাহর দরবারে। একে বলা হয়েছে বিচার দিবস। এ দিবসের একচ্ছত্র মালিক ও বিচারক স্বয়ং আল্লাহ। তাঁর সঙ্গে কেউ কথা বলার সাহস করবে না। তিনি যাকে অনুমতি দেবেন কেবল তিনিই সেদিন কঠিন মুহূর্তে সুপারিশ করতে পারবেন। আলমে বরজখ, কবর, হাশর, বিচারব্যবস্থা, পুলসিরাত পর্যায়ক্রমে শেষ হওয়ার পর সর্বশেষ পরিণতি জান্নাত বা জাহান্নাম। আর এটাই শেষ ঠিকানা। আখেরাতের জীবন সম্পর্কে আল কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘আর তোমরা সেদিনের ভয় কর যেদিন কেউ কারও সামান্য উপকারে আসবে না এবং তার পক্ষে কোনো সুপারিশও কবুল হবে না, কারও কাছ থেকে ক্ষতিপূরণও নেওয়া হবে না আর তারা কোনোরকম সাহায্যও পাবে না।’ সূরা বাকারা, আয়াত ৪৮।

আখেরাতের জীবনে প্রতিটি বান্দাকে তার স্রষ্টা আল্লাহর কাছে দুনিয়ার জীবনের জন্য জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে। এ জবাবদিহিতে তারাই উতরে যাবে যারা দুনিয়ার জীবনে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রদর্শন করেছে। যারা রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশিত পথে চলে আখেরাতের জীবনের মূলধন সঞ্চয় করেছে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে আখেরাতের জীবনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার তৌফিক দান করুন।