• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা

মনের চোখ দিয়েই অন্ধ পর্যটকের ১৩০ দেশ ভ্রমণ!

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

মানুষের ইচ্ছা শক্তিই তাকে আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলে। আর তার বাস্তব উদাহরণ ব্রিটিশ নাগরিক টনি জাইলস। অন্ধ হওয়ার পরেও নিজের ইচ্ছে শক্তি কারণে ভ্রমণ করেছেন ১৩০ টি দেশ। শুধু এখানেই শেষ নয়, বিশ্বের সবগুলো দেশ ঘুরে দেখার স্বপ্ন পোষণ করেন অন্ধ এই পর্যটক। নিজের এই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাকে যেন ভ্রমণের নেশা থেকে একটুও দূরে সরাতে পারে নি। 

তবে যে ব্যক্তি চোখে দেখেন না আবার কানেও শোনে না সে কিভাবে এতগুলো দেশ ভ্রমণ করেন? এমন প্রশ্ন স্বভাবতই সবার মনে উঁকি দেয়। আর এই প্রশ্নের জবাব দিলেন স্বয়ং টনি জাইলস। 

তিনি বলেন, আমি মানুষের কথা শুনি, পাহাড়ে উঠি, সবকিছু আমি আমার স্পর্শ এবং পায়ের মাধ্যমে অনুভব করি। ওভাবেই আমি এক একটি দেশ দেখি।

গত ২০ বছরে বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন জাইলস। আর এসময় তার এক গ্রিক তরুণীর সঙ্গে দেখা হয়। যিনি নিজেও অন্ধ এবং জাইলসের এখন ভাল বান্ধবী। গত বছর বান্ধবীর সঙ্গে রাশিয়া ঘুরে বেড়িয়েছিলেন তিনি। বিশ্বের বৃহত্তম এই দেশটির এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ট্রেন দিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন তারা। 

জাইলসের ভ্রমণের এই টাকা আসে তার বাবার পেনশনের টাকা থেকেই। যার কারণে আগে থেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে হয় তার। তার প্লেনের টিকেট কাটার জন্য তার মা তাকে সাহায্য করেন বলে বিবিসে জানান বিশেষভাবে সক্ষম এই মানুষটি। কেননা অধিকাংশ এয়ারলাইন্স কোম্পানিতেই অন্ধদের জন্য যথেষ্ট সুবিধা নেই।

এছাড়া বিভন্ন দেশে তাকে থাকার জন্য যারা সাহায্য করেন তাদের সঙ্গে আগেই কথা বলে নেন জাইলস। এ বিষয়ে তিনি জানান, আমি কোনো বই বা ট্র্যাভেল গাইড দেখে ঠিক করতে পারি না যে একটি দেশের কোথায় কোথায় আমি যাবো। ঐ তথ্যগুলো ভ্রমণের আগেই জানতে হয় আমার। তাই আমি আগে থেকেই আমার ভ্রমণের পরিকল্পনা করে ফেলি। 

এছাড়া সব অঞ্চলের স্থানীয় খাবার খাওয়াও তার ভ্রমণের অন্যতম লক্ষ্য থাকে। জাইলস অনেক দর্শনীয় জায়গায় গিয়েছেন এবং অনেক জায়গার ছবিও তুলেছেন। সেসব ছবি জাইলস নিজে হয়তো উপভোগ করতে পারেন না, তবে তার ওয়েবসাইটগুলোতে দর্শকরা সেসব ছবি দেখে বিশ্বের নানা জায়গা সম্পর্কে জানতে পারেন।

অনেকসময় মানুষ তার ভ্রমণের নেশা দেখে অবাক হয়ে যায়। কিন্তু তারা তো জানে না, একজন অন্ধ ব্যক্তিও পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ উপভোগ করতে পারে, যদি তার একটা মনের চোখ তৈরি হয়। আর জাইলসের সেই মনের চোখটা আছে, যা দিয়ে তিনি গোটা দুনিয়া ঘুরে দেখতে চান।