• বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৩ ১৪৩০

  • || ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগের বিকল্প নাই: প্রধানমন্ত্রী মহানবীর (সা.) আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই সফলতা-শান্তি নিহিত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন কাল পর্যটন শিল্পের প্রসারে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের জনসভায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী ক্রীড়ার ভেতর দিয়েই শিশুর সামাজিকীকরণ ঘটে: প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে প্রথম বাংলায় ভাষণের ৪৯তম বার্ষিকী আজ তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগে জনগণকে সম্পৃক্ত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক শক্তি বাংলাদেশ চুরি করা অর্থ দিয়ে আন্দোলন করছে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী বিএনপি কি আসলেই নির্বাচন চায়, তাদের নেতা কে: প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী আগামী প্রজন্মের জন্য সমুদ্রগুলো যেন সমৃদ্ধির উৎস হয়ে থাকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে বাংলাদেশ পুতুলের রাজনীতিতে আসার বিষয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে: শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণই তাদের ‘স্যাংশন’ দিয়ে দেবে: প্রধানমন্ত্রী

বরিশালের লাল শাপলা বিলে ঘুরে আসুন

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

বরিশালের লাল শাপলার বিল পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে। শাপলার সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন কয়েক হাজার দর্শনার্থী ভিড় করছেন। বরিশাল নগরী থেকে প্রায় ষাট কিলোমিটার দূরে উজিরপুর ও অগৈলঝারা উপজেলা নিয়ে এই লাল শাপলা বিল গড়ে উঠেছে। উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের সাতলা গ্রাম, হারতা ইউনিয়নের কালবিলা ও আগৈলঝারা উপজেলা বাগধা ইউনিয়নের বাগধা গ্রামসহ প্রায় হাজার একর এলাকা জুড়ে এই লাল শাপলার বিল বিস্তৃত।

বিলের যত ভেতরে যাবেন, ততই চোখে পরবে শাপলা ফুলের গালিচা। এ যেন এক শাপলার রাজ্য। এই বিল স্থানীয়দের কাছে শাপলার বিল নামে পরিচিত। এখানে কবে থেকে শাপলা ফোটা শুরু হয়েছে তা কারো জানা নেই। কিন্তু গ্রামের বৃদ্ধদের কাছ থেকে জানা যায় জন্মের পর থেকেই তারা এই বিলে শাপলা ফুটতে দেখেন।

স্থানীয়দের প্রায় ৮০% শাপলার চাষ করে থাকে। তিন ধরনের শাপলার দেখা মিলবে এই বিলে লাল, সাদা এবং বেগুনি। তবে লাল শাপলাই বেশি দেখা যায়। সাতলার প্রায় ১০ হাজার একর জলাভূমিতে শাপলার চাষ করা হয়। শাপলা গ্রাম থেকেই সারাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে শাপলা ফুল সরবরাহ করা হয়।

কখন যাবেন শাপলা গ্রাম

সারাবছরই কম বেশি শাপলা ফুল ফুটে থাকে এই বিলে। মার্চ থেকে শুরু করে অক্টোবর পর্যন্ত শাপলার সমারোহ থাকে। আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যেই বেশি শাপলা ফুটে থাকে। তাই এই তিন মাসের মধ্যে গেলে শাপলার অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। আর হ্যাঁ, শাপলা দেখতে চাইলে অবশ্যই খুব ভোরে যাবেন। বেলা পরে গেলে শাপলা ফুলগুলো শুকিয়ে যায় কিংবা ব্যবসায়ীরা বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যায়। তাই সবচেয়ে ভালো হয় এক রাত গ্রামে থেকে সকালে শাপলাবিল দেখতে গেলে। ছবি তোলার জন্য ফটোগ্রাফারদের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা এই শাপলা গ্রাম।

খাবারের ব্যবস্থা

শাপলা গ্রামে তেমন খাবারের ব্যবস্থা নেই। কিন্তু এখানকার স্থানীয়রা অতিথি আপ্যায়ন করতে খুব পছন্দ করেন। এছাড়াও গ্রামে লোকাল কিছু খাবারের হোটেল রয়েছে আপনি চাইলে সেখানেও খেতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় বরিশাল শহরে গিয়েই একেবারে খেতে পারলে। শহরে বেশকিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে।

থাকার ব্যবস্থা

এই গ্রামে থাকারও কোনো ব্যবস্থা নেই। রাতে থাকতে চাইলে স্থানীয়দের কারো বাড়িতে কিংবা স্কুলঘরে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয়দের সাথে আগে থেকেই কথা বলে নিতে হবে। তাছাড়া আপনি চাইলে বরিশাল ফিরে যেতে পারেন। বরিশালে থাকার জন্য কিছু ভালো মানের আবাসিক হোটেল আছে।

কীভাবে যাবেন শাপলা গ্রাম

সাতলার শাপলা গ্রামে যেতে চাইলে প্রথমেই দেশের সব প্রান্ত থেকেই বরিশাল যেতে হবে। ঢাকা থেকে বরিশালে সড়কপথে কিংবা নৌপথে যেতে হবে।

সড়ক পথে ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা লেগে যেতে পারে। ঢাকার গুলিস্তান ও গাবতলী থেকে ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নিয়মিত বরিশাল যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। হানিফ পরিবহণ, ঈগল পরিবহণ, শাকুরা পরিবহণ বরিশাল যাওয়ার জন্য অন্যতম। এক্ষেত্রে এসি বাসগুলোতে ১২০০-১৫০০ এবং নন-এসি বাসগুলোতে ৭০০ টাকা করে ভাড়া লাগবে। তাছাড়াও এই রোডে বেশ কিছু লোকাল বাস চলাচল করে। এসব বাসে বরিশাল যেতে ৫০০ টাকা ভাড়া লাগে। এসব বাস এড়িয়ে চলাই ভালো। এসব বাসে সময় অনেক বেশি লেগে যায়।

ঢাকা থেকে নৌপথে বরিশাল যেতে চাইলে প্রথমেই ঢাকার সদরঘাট যেতে হবে। ঢাকার সদরঘাট রাত ৮-৯ টার মধ্যে অনেকগুলো লঞ্চ বরিশালের জন্য ছেড়ে যায়। সুরভী ৮, পারাবত ১১, সুন্দরবন ৭/৮, কীর্তনখোলা ১/২ লঞ্চগুলো বরিশালের দিকে ছেড়ে যায়। রাতের লঞ্চগুলো ভোর ৫টায় বরিশাল পৌঁছায়। আপনি চাইলে সকালেও যেতে পারেন। বরিশালের উদ্দেশ্যে সকালে গ্রিনলাইন লঞ্চ ছেড়ে যায়। এক্ষেত্রে ডেকের ভাড়া হবে ১৫০ টাকা, ডাবল কেবিনের ভাড়া ১৬০০ টাকা এবং ভিআইপি কেবিন ভাড়া ৪৫০০ টাকা।

লঞ্চ কিংবা বাস থেকে নামার পর বরিশাল থেকে আবার বাসে করে শিকারপুর আসতে হবে। শিকারপুর থেকে অটো ভাড়া করে উত্তর সাতলা যেতে হবে। বরিশালের নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে সাতলা ও বাগধা গ্রামে যাওয়ার সরাসরি বাস দিয়ে পৌঁছে যেতে পারবেন আপনার গন্তব্যে। এক্ষেত্রে সময় লাগবে ২ ঘণ্টা। তাছাড়া বরিশাল থেকে মহেন্দ্র গাড়িতে করে ঘুরে আসতে পারবেন শাপলা গ্রাম।