• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

এক মাসে বেড়েছে ৮৫ শতাংশ রফতানি

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২০  

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও দেশে এক মাসে রফতানি বেড়েছে ৮৫ শতাংশ। সদ্য সমাপ্ত জুন মাসে পণ্য রফতানি থেকে ২৭১ কোটি ৪৯ লাখ ডলার আয় হয়। এ হিসাবে মে মাসের চেয়ে ৮৫ শতাংশ বেশি। রোববার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।

এতে জানা গেছে, বাংলাদেশে গত মার্চ মাস থেকে করোনার ধাক্কা লাগতে শুরু করে। এতে এপ্রিলে রফতানি কমে মাত্র ৫২ কোটি ডলারে নেমে এসেছিল, যা ছিল রেমিটেন্সের চেয়েও কম।

এ পরিস্থিতিতে নিয়ম-নীতি শিথিল করে কলকারখানা চালুর পর মে মাসে রফতানি বেড়ে ১৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলারে দাঁড়ায়। অর্থবছরের শেষ মাস জুনে তা আরো বাড়ল।

বাংলাদেশ সব মিলিয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ৪০ লাখ (৩৩.৬৭ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে। এই অঙ্ক আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। আর লক্ষ্যের চেয়ে ২৬ শতাংশ শতাংশ।

গত অর্থবছরে রফতানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক রফতানি থেকে আয় হয়েছে ২৭ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। লক্ষ্য ছিল ৩৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে তৈরি পোশাক থেকে আয় হয়েছিল ৩৪ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক রফতানি কমেছে ১৮ দশমিক ১২ শতাংশ।  এ খাতে লক্ষ্যের চেয়ে আয় কমেছে ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

এদিকে নিট পোশাক রফতানিতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে  থেকে আয় হয়েছে ১৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। এতে আগের বছরের চেয়ে আয় কমেছে ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আর ওভেন পোশাক থেকে ১৪ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

জুন মাসে রফতানি হয়েছে ২৭১ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের পণ্য। লক্ষ্য ছিল ৩৯৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ২৭৮ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।

অন্যদিকে রফতানিকারকরা বলছেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এপ্রিল মাসের পুরোটা সময় পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ ছিল। বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতিও ছিল খুব খারাপ। সে কারণে এপ্রিলে রফতানি তলানিতে নেমে এসেছিল।

তৈরি পোশাক শিল্পই বাংলাদেশের রফতানি আয়ে মূল ভূমিকা রাখে। মে মাসে পোশাক কারখানাগুলোতে উৎপাদন হয়েছে। আগের অর্ডারও ছিল। ইউরোপের দেশগুলোর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় রফতানি কিছুটা বেড়েছে। তবে নতুন অর্ডার না আসার পাশাপাশি অনেক ক্রেতা অর্ডার বাতিল করেছে বলে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা জানিয়েছেন। 

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক জানান, নতুন করে এখন কোনো অর্ডার আসছে না। আগের অনেকে অর্ডারও বাতিল হয়েছে। আমরা খুবই কঠিন সময় পার করছি। খুব সহসা এই সংকট কাটবে বলেও মনে হয় না।