• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

কেরালার সরকারি ওয়েবসাইটে গো-মাংসের ছবি-রেসিপি, বিতর্কের ঝড়

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২০  

ভারতের কেরালার পর্যটন বিভাগের ওয়েবসাইটে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য বাদ দিয়ে ফলাও করা হয়েছে খাবারের ছবি। সেটাও আবার লোভনীয় গো-মাংসের ছবি। আর সেই খাবার নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতে কম জল গড়ায়নি। এখন কেরালার পর্যটন বিভাগের বিজ্ঞাপনে গরুর মাংসের পদ দেওয়া ছবি নিয়ে যথারীতি বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে।

নিজেদের ওয়েবসাইটে কেরালা পর্যটন দপ্তর স্থানীয় ‘বিফ উলারথিয়াতু’ অর্থাৎ সহজ ভাষায় গরুর মাংসের ছবি দিয়ে তার রেসিপিও লিখেছে। আর এতেই বিতর্কের আগুনে কার্যত ঘি পড়েছে। 

স্থানীয়দেরই একাংশ এর বিরোধিতা করে লিখেছে, এই ছবি তাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছে। কেউ কেউ পাল্টা টুইট করে লিখছেন, মকর সংক্রান্তিতে পোঙ্গল উৎসবের মওশুমে পর্যটক টানতে দপ্তরের এই ছবি। 

তবে অন্যদের যুক্তি, যেখানে গরু এবং অন্যান্য গবাদি পশুকে দেবতা মেনে পূজা করা হয়, সেখানে গরুর মাংসের মতো খাবারের ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন করা দ্বিচারিতার পরিচয় দিচ্ছে। এই সময়ের বিফ ডিশ খুব একটা সুস্বাদু হবে না। এ নিয়ে টুইটারে বিরোধিতার বন্যা বইছে।

এত সমালোচনার মুখে নিজেদের পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন কেরালার পর্যটন মন্ত্রী কারাকামপল্লি সুরেন্দ্রন। তার যুক্তি, কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায়কে ভাবাবেগে আঘাত করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। আর আমার বিশ্বাস, কেরালায় কেউ ধর্মের সঙ্গে খাদ্যকে সম্পর্কিত করে না। একে ধর্মের রং দেওয়ার যে চেষ্টা চলছে, তা নিন্দনীয়।

তিনি আরো বলেন, যারা এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছেন, তারা খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন যে, ওয়েবসাইটে প্রচুর পর্কের ছবি রয়েছে। বিফকে শুধুই গরুর মাংস বলে প্রচার করা হচ্ছে, কিন্তু বিফ মহিষের মাংসও। পর্ক, বিফ, মাছ এসবই কেরালা আগত পর্যটকদের খুব পছন্দের। এসব জনপ্রিয় পদের মতো আমরা কেরালার অন্যান্য আকর্ষণীয় বিষয়কেও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে তুলে ধরেছি। তাহলে শুধু এটি নিয়েই কেন বিতর্ক?

মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও একে ‘অর্থহীন বিতর্ক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তার পরেও পর্যটন বিভাগের ওয়েবসাইট এবং টুইটারে গরুর মাংসের ছবি নিয়ে তর্কবিতর্ক এরই মধ্যে বেশ উত্তাপ ছড়িয়েছে।