• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জমে উঠেছে দখিনের জনপ্রিয় গোলের গুড়ের বাজার

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯  

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ 
জমে উঠেছে পটুয়াখালীর সাগরপাড়ের জনপ্রিয় গোলের গুড়ের বাজার। হাটের দিনসহ প্রতিদিন স্থানীয়সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ক্রেতাদের পদচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীসহ গুড় তৈরির কারিগররা।

   
গোল চাষীরা জানান, তাদের জীবিকার একটি অংশ গোল গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা। প্রতি বছর ভাদ্র-আশ্বিন মাসে গোল গাছে একটি বা দুটি লম্বা ছড়ায় ফল ধরে। খেজুর গাছের মত কাধিতে জন্মানো এ ফলকে গাবনা বলে। রস সংগ্রহকারী শিয়ালীরা ভাল মানের রস আহরনের জন্য কার্তিক মাসের শুরুতেই হৃষ্টপুষ্ট ছড়াটি রেখে ফলসহ বাকী অংশটা কেটে ফেলে। ছড়াটি বিশেষ পদ্বতিতে রস সংগ্রহের উপযোগী করে তোলা হয়। বছরের অগ্রহায়ন থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত দিনে দু’বার মাটির হাড়ি পেতে রস সংগ্রহ করা হয়। সংগ্রীহিত রস বাড়ির আঙ্গিনায় অধিক তাপে উনুনে ফুটিয়ে গুড় তৈরি করা হয়। মাটির হাড়িতেই এসব সংরক্ষন করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। 

অতি মিষ্টি এ গুড়ের পরিচিতি এক সময় এলাকার থাকলেও বর্তমানে এটি বেশ বান্যিজিক প্রসারতা লাভ করেছে। চাহিদার তুলনায় এ কম হলেও বিভিন্ন হাটে-বাজারে এ গুড় পাওয়া যাচ্ছে। আখের রসে ১৫-২০ ভাগ শর্করা থাকে। কিন্তু গোল গাছের গুড়ে ১৩-১৮ ভাগ শর্করা থাকে। 
জেলার কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের সত্তুরোর্ধ্ব শিখা রানী হাওলাদার আক্ষেপ করে বলেন, বিয়ে পর থেকেই বছরের এ সময়ে রস ফুটিয়ে গুড় তৈরি করে আসছেন। আগে অনেক বেশি গুড় হত। এখন কমে গেছে।

গোল চাষী সজল জানান, এখন বাজারে গিয়ে গুড় বিক্রি করতে হয় না। একশ্রেনীর খুরচা বিক্রেতারা বাড়ী এসেই গুড় নিয়ে যায়। প্রতি কেজি গুড় ৮০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গুড় ক্রেতা আনসার উদ্দিন জানান, অন্যান্য গুড়ের চেয়ে আলাদা স্বাদযুক্ত, সাশ্রয়ী হওয়ায় এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষিত থাকে বলে গোলের গুড়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ক্রেতা হাচিনা বেগম জানান, গোলের কাঁচা রস খেতে খুব সুস্বাদু, বৈচিত্রধর্মী এবং ভিন্ন আবেদনের সামান্য লবনাক্ত স্বাদের । এ রসের পিঠা বা পায়েস অতি মুখরোচোক হয়। 
গোলগাছ চাষী নিঠুর হাওলাদার ও অমল ঘরামি জানান, উপকূলীয় এলাকার সকল গোল গাছের বাগান প্রকৃতিকভাবে জন্মানো। এর চাষাবাদ অত্যন্ত লাভজনক, সহজ এবং ব্যয়সাধ্য। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগসহ খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয়না। গোলগাছের বীজ (গাবনা) সংরক্ষন করে তা নিচু জমিতে পুতে রাখলেই চারা গজায়। এক একটি ছড়ায় এক’শ থেকে দেড়’শটি বীজ থাকে। এতে ব্যয়ের চেয়ে আয় অনেক গুন বেশী। তবে বনবিভাগের এক শ্রেনীর অসাধু কর্মীর সহযোগিতায় বনদস্যুরা অবাধে গাছের পাতা কেটে নিয়ে যাওয়ায় বাগান গুলো ধ্বংস হতে বসেছে। 
বনবিভাগের মহিপুর ভারপ্রাপ্ত রেঞ্চ কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কয়েকটি স্থানে গোলগাছের বিচি রোপন করা হয়েছে। এতে ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। এ গাছ গুলো উপকূলীয় এলাকার প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।