পটুয়াখালীতে কঠোর নিরাপত্তায় উদযাপন হবে দূর্গাপুজা

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষে পটুয়াখালী জেলা পুলিশের সাথে জেলা পুজা উদ্যাপন পরিষদ কমিটির সাথে মতবিনিময়  ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় জন নিরাপত্তার স্বার্থ বিবেচনা করে পটুয়াখালী পুলিশের পক্ষ থেকে নানা শর্ত বেধে দেয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া সকল শর্ত যথাযথ, শীথিল এবং সমাজ উপযোগী হওয়ায় তা উপস্থিত সংঘ্যাঘরিষ্টরা মেনে দেয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার কনফারেন্স রুমে এ মতবিনিময় এবং আলোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মইনুল হাসানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাড. কমল দত্ত, সাংবাদিক এ্যাড. কাজল বরন দাস, এ্যাড কালাচান সাহা সাংবাদিক বিলাস দাস, চিনময় কর্মকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত এএসপি  জসিম উদ্দিন, গলাচিপা সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মোঃ হাফিজুর রহমান। এসময় জেলা উপজেলা থানার অফিসার ইনচার্জ ও অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপস্থিত পরিষদের সদস্যরা বলেন, ধর্মীয় সংস্কৃতির নামে একটি মহল অপ্রচার অপসংস্কৃতি চালিয়ে আসছে। এর মধ্য রয়েছে ব্যান্ড সঙ্গীত ও ডিজে গান পরিবেশন, অশ্লীল ভঙ্গীর নৃত্য পরিবেশন, যাত্রাপালা, জুয়া, শব্দ ধুষণ, মাদক দ্রব্যের আসর এ গুলো সকল ধর্মে নিষিদ্ধ। এক শ্রেণীর মহল ধর্মের দোহায় দিয়ে এই অপসংস্কৃতি চালিয়ে আসছে। যা সামাজিক, মানষিক এবং মনোস্তাতিকভাবে কারো কাম্য নয়। সঙ্গত কারনে এর প্রতিবাদ হয়না। এছাড়াও পুজা উদ্যাপন উপলক্ষে মটরসাইকেল মহড়া দিয়ে পাড়ায় মহল্লায় ভীতি সৃষ্টি করা যাবেনা। হাফপ্যান্ট পরে সড়ক প্রদর্শন করে নারীদের উত্যক্ত করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবেনা।
এসময় উপস্থিত অনেকেই বলেন, বিগত দিন গুলোতে পুজা উদ্যাপন উপলক্ষে জেলা প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাত্রাপালা পরিবেশন, অশ্লীল নৃত্য চালায়। যা কোন ধর্মে নাই। বিশেষ করে চরাঞ্চলে এক শ্রেণীর মানুষ পুজা উপলক্ষে ব্যবসা শুরু করেন।
এবছর জেলায় ১৮৫ টি মন্ডবে পুজা উদ্যাপন হবে। পুজা উপলক্ষে জেলায় ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল রাখা, পুলিশি নজরদারী বাড়ানোসহ নানা পদক্ষেপ নিতে সকল থানার ওসিকে নির্দেশ  দিয়েছেন এসপি।