• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

যে কারণে গর্ভস্থ শিশুর শরীরেও মিলেছে মাইক্রোপ্লাস্টিক

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০  

চলতি বছরে চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেল মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ। এ নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এক মারাত্মক তথ্য। গর্ভস্থ শিশুর প্ল্যাসেনটাতেও পাওয়া গিয়েছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। চারজন স্বাস্থ্যবতী মহিলা যারা স্বাভাবিকভাবে গর্ভবতী হয়েছেন এবং স্বাভাবিকভাবেই শিশুর জন্ম দিয়েছেন, তাদের গর্ভস্থ শিশুর প্ল্যাসেন্টাতেই মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে।

তা ছাড়াও মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে যে মেমব্রেনে ফিটাস বা ভ্রূণ জন্ম নেয়, সেখানেও। খবর মোতাবেকে প্ল্যাসেন্টার মাত্র ৪% বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যদি পুরোটা দেখা হত তা হলে স্বভাবতই এই ক্ষুদ্র প্লাস্টিকের পরিমাণ অনেক বেশি হত। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই ক্ষতিকর মাইক্রোপ্লাস্টিক কীভাবে পৌঁছে গেল শিশুর প্ল্যাসেন্টা পর্যন্ত?

জানাগেছে, এই কণাগুলো বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে এগুলো প্লাস্টিক। এর মধ্যে পাওয়া গিয়েছে নানা রকমের রঙের কণা। ডাই করা নীল রঙ, লাল, কমলা বা গোলাপি- এই সমস্ত রঙের উৎস হলো প্যাকেজিং, পেইন্ট, প্রসাধনী ও ব্যক্তিগত সুরক্ষার নানা বস্তু।

এনভায়রনমেন্টাল ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি পত্রিকায় প্লাস্টিসেন্টা নামে এই গবেষণা প্রকাশ পায়। যেখানে স্পষ্টভাবে মানব শরীরের প্ল্যাসেন্টায় প্রথমবার মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়ার কথা উল্লেখ আছে।

গবেষকরা বলেছেন যে একটি ভ্রূণের বিকাশ ও বাহ্যিক পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্ল্যাসেন্টার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। সেখানে প্ল্যাসেন্টার মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকাটা একটা নিঃসন্দেহে চিন্তার বিষয়।

গবেষকরা দাবি করেছেন যে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা করা প্রয়োজন। যাতে এটা বোঝা যায় যে এই মাইক্রোপ্লাস্টিক কোনোভাবে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে কি না।

পাশাপাশি, এর থেকে নিঃসৃত বিষাক্ত পদার্থ সামগ্রিকভাবে শিশুর পক্ষে কতটা ক্ষতিকর, সেটাও বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।

তবে এখনই যে ফলাফল উঠে এসেছে তাতে যে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি কিছুটা হলেও রহিত হবে এবং স্বাভাবিকভাবে শিশুর জন্মের ক্ষেত্রেও অনেক সমস্যার সৃষ্টি হবে সেই বিষয়ে গবেষকরা নিশ্চিত।

রোমের হাসপাতালের নারীরোগবিশেষজ্ঞ বলেছেন, এ যেন অনেকটা মিশ্র প্রজাতির সন্তানের জন্ম দেয়া। যার অর্ধেক জৈবিক এবং বাকিটা অজৈব পদার্থ দিয়ে গঠিত।

প্লাস্টিক পচনশীল নয়, এটা শুধু ছোট ছোট টুকরোয় ভেঙে যায়। তাই সামুদ্রিক প্রাণীদের মৃত্যু ঘটানো থেকে শুরু করে আমাদের স্বাভাবিক খাদ্য শৃঙ্খলকেও বিনষ্ট করে দেয় এই প্লাস্টিক। সেটা যদি এবার গর্ভস্থ শিশুর কাছেও পৌঁছে যায়, চিন্তার কারণ রয়েছে।