রপ্তানি না নেওয়ায় বেনাপোল দিয়ে আমদানি বন্ধ ঘোষণা
আজকের পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২০
দীর্ঘ ১০০ দিন পার হয়ে গেলেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ রপ্তানি পণ্য না নেওয়ায় আজ বুধবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে রপ্তানিকারকরা এক হয়ে বন্ধ করে দিয়েছে আমদানি বাণিজ্য কার্যক্রম। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ থেকে কোন পণ্য চালান ভারতে রপ্তানি হয়নি। অথচ ৭৭ দিনের মাথায় ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে আসা শুরু হয়।
করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় গত ২২ মার্চ থেকে এই দুই বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়ভাবে দু’দেশের বন্দর, কাস্টমস, বন্দর ব্যবহারকারীরা দফায় দফায় বৈঠকের পর গত ৭ জুন থেকে সীমান্ত বাণিজ্য সচল হয়। এরপর থেকে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে আসছে। কিন্ত বাংলাদেশি কোন পণ্য চালান ভারতে রপ্তানি হয়নি।
বেনাপোলের বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের শঙ্কায় ‘নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে কোন রপ্তানি পণ্য গ্রহণ করছে না। ফলে আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও ব্যাহত হচ্ছে রপ্তানি। বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রপ্তানিকারকরা। বৈদেশিক আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ।
দেশে স্থলপথে যে রপ্তানি হয় তার ৭০ শতাংশ হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতি বছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার টন বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়। ফলে এ বন্দর দিয়ে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার কোটি টাকা।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, করোনার মধ্যে আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর গত ৭ জুন থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি বাণিজ্য কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে রপ্তানি বাণিজ্য। এতে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় বেনাপোল বন্দরে প্রায় দুই শতাধিক ট্রাক রপ্তানি পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রোদ, বৃষ্টিতে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হচ্ছে, তেমনি ব্যবসায়ীদের লোকসানের পাল্লাও ভারী হচ্ছে।
এ অবস্থায় বাংলাদেশ অংশের ব্যবসায়ীরা স্থলপথে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সাথে রপ্তানি বাণিজ্য সচলের জন্য বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। করোনা সংক্রমণের অজুহাত দেখিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ রপ্তানি পণ্য নিতে চাইছে না। আমদানিতে ‘হ্যাঁ’ বললেও, রপ্তানিতে ভারতের ‘না’ বলেই চলেছে। গত ৭ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ভারত থেকে ৪ হাজার ২শ ট্রাক পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলেও একটিও রপ্তানি ট্রাক গ্রহণ করেনি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোলসহ আশেপাশের রপ্তানিকারকরা বলছেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ পৌরসভার মেয়রের খামখেয়ালিপনা, আমদানি-রপ্তানিতে নাক গলানো, পৌরসভার কালিতলা পার্কিং সৃষ্টি করে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা ট্রাকগুলো জোর পূর্বক পেট্রাপোল বন্দরের সেন্ট্রাল ওয়্যার হাউজ কর্পোরেশনের টার্মিনালে না পাঠিয়ে চাঁদার দাবিতে কালিতলা পার্কিংএ রেখে দেওয়ার কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হওয়ার পথে।
দীর্ঘদিন পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখার ফলে অনেক আমদানিকারক এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে এদেশের রপ্তানিকারকদের। তারা ঠিকই তাদের পণ্য রপ্তানি করছে কিন্তু বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পণ্য রপ্তানির অনুমতি দিচ্ছে না।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আমদানি-রপ্তানির অনুমতি দিলেও রাজ্য সরকারের একক সিদ্ধান্তের কারণে রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হচ্ছে না। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে ভারতের রাজ্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি না করলে এর সুরাহা হবে না। তিন মাসেরও বেশি দিন ধরে রপ্তানি বন্ধ। পণ্যের রপ্তানি অর্ডার আসছে। কিন্তু পাঠানো যাচ্ছে না। রপ্তানির জন্য তৈরি করা কোটি কোটি টাকা মূল্যের পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আমাদের রপ্তানি পণ্য প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের একাধিকবার বলেছি, রপ্তানি স্বাভাবিক রাখতে। কিন্তু লকডাউনের কারণে তারা খুলে দিচ্ছে না। রফতানির অনুমতিও দিচ্ছে না। করোনার কারণে সেখানে লকডাউনের সময় বাড়িয়ে ৩১ জুলাই করেছে।’
তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসায়ীরা পণ্য উৎপাদন করছেন। এখন সময়মতো পণ্য পাঠাতে না পারায় বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বিষয়গুলো বিবেচনা করে আমরা তাদের বলেছি যে, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য। সরকারি পর্যায়ে আলোচনা চলছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টা সুরাহা হবে। কারণ আমরা আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখেছি।’
ইন্দো-বাংলা চেম্বার অফ কমার্স সাব কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, ‘বিষয়টি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইকে অবহিত করেছি। তারা বলেছেন, স্থলবন্দরগুলোতে রপ্তানিতে জটিলতা দেখা দিয়েছে। গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট আলোচনা চলছে। গভর্নমেন্ট লেভেলে বিষয়টি দেখভাল হচ্ছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। দুই দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ে সমস্যা সমাধানে আলোচনা চলছে। আশা করছি শিগগিরই সুরাহা হবে বলে।’
বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এণ্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ‘করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় ২২ মার্চ থেকে আমদানি রপ্তানি বন্ধ ছিল। গত ৭ জুন থেকে পুনরায় আমদানি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি বন্ধ থাকায় ২৪ জুন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নবান্নের মুখ্য সচিব আলাপন ভট্রাচার্যের কাছে আমরা চালুর ব্যাপারে আবেদন করেছি। এই বন্দর দিয়ে রপ্তানি চালু না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই দ্রুত রপ্তানি চালু করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এই পত্র দিয়েছি।’
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবির) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রায় ১০ শতাংশ এককভাবে ভারতের সঙ্গে হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুই দেশের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ৮৯০ কোটি ডলার। যার সিংহভাগ পণ্য ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয় মাত্র ১২৫ কোটি ডলারের পণ্য। অর্থাৎ দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৭৬৫ কোটি ডলার। চলমান সংকটে ভারতে রপ্তানি বন্ধ থাকায় বাণিজ্য ঘাটতি ব্যাপকহারে বেড়ে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে সাধারণত ওভেন গার্মেন্টস, নিটেড গার্মেন্টস, নিটেড ফেব্রিকস, চিংড়ি মাছ, বিভিন্ন ধরনের সাদা মাছ, কাঁচা পাট, পাটজাত দ্রব্য (পাটের ব্যাগ, পাটের সূতা, চট), টিস্যু, সুপারি, ধানের কুড়া, কর্টন র্যাগস (ঝুট), ফ্লোট গাস, ব্যাটারি, জিংক পেট, সিরামিক টাইলস, সাবান, হাড়ের গুড়া, কাঁচা চামড়া, প্রক্রিয়াজাত চামড়া, ওষুধ, সবজি, ফল, চা, পেট্রোলিয়াম বাই প্রোডাক্ট, হস্তশিল্পজাত দ্রব্য ও সিমেন্ট রপ্তানি হয়।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের
- গলাচিপায় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ
- বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৪টি মামলা, অর্থদণ্ড আদায়
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- পটুয়াখালীতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোর চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার
- ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন কি না বুঝে নিন লক্ষণে
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- পটুয়াখালীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস
- বদহজম-পেটে যন্ত্রণা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- হুপিং কাশিতে আক্রান্ত কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- নিষেধাজ্ঞায় অভয়াশ্রমে মাছ শিকার ১৪ জেলের কারাদন্ড
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে