• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

১৮শ ফুট উঁচুতে বিদ্যুৎ,উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে পুরো সাজেক

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৯  

গাড়ি ছুটছে দু’পাশের সবুজ আর উঁচু পাহাড় মাড়িয়ে। এভাবেই চললো ৪৯ কিলোমিটার। ১৮শ ফুট উঁচুতে ওঠার পর স্বপ্নের মতো জায়গা। মেঘের ভেলার ফাঁকে সূর্যের উঁকিঝুঁকি, হিমশীতল হাওয়া- সব মিলিয়ে সেখানে পাহাড়ের রং যেন আকাশের মতোই।

বলছিলাম রাঙামাটির সাজেক ভ্যালির কথা। এই দুর্গম জনপদটি এখন আর আগের মতো নেই। উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে পুরো সাজেক ভ্যালি। সেখানকার মানুষের বিদ্যুৎ ও পানির সমস্যাও মিটিয়ে দিচ্ছে সরকার। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে ৪৯ কিলোমিটার দূরে ও ১৮শ ফুট উঁচুতে সাজেকে বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে খুঁটিতে তার টাঙানোর কাজ।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সাজেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সাজেক ইউনিয়নের আয়তন ১ হাজার ৭৭১ বর্গকিলোমিটার। সেখানে ৩০ হাজার লোক স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। এছাড়া প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার পর্যটক ভ্রমণ করছেন সাজেক। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য সমাদৃত সাজেক ভ্যালিতে অর্ধশতাধিক রিসোর্ট ও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠেছে। এ অঞ্চলে শিল্প কারখানাও গড়ে ওঠার সুযোগ রয়েছে। এজন্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়ন অপরিহার্য।

সাজেক ভ্যালি।বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে উন্নয়নের জন্য প্রায় ৫৬৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় ২০১৭ সালে। প্রকল্পের আওতায় এ তিন জেলায় ১২টি নতুন ৩৩/১১ কেভি সাব-স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া বিদ্যমান সাব-স্টেশনগুলোর সংস্কার ও লোড ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। পুরাতন লাইন সংস্কারের পাশাপাশি নতুন করে স্থাপন করা হয়েছে ১ হাজার ৩১০ কিলোমিটার বিতরণ লাইন। এরমধ্যে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে সাজেক পর্যন্ত ৪৯ কিলোমিটার বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে সাজেকসহ তিন জেলার ৫৬ হাজার নতুন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক (ডিসি) একেএম মামুনুর রশীদ  বলেন, সরকারের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে তিন পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রকল্পও একটি। সাজেক ভ্যালিতে পর্যটনের ক্ষেত্রে বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সেখানে বিদ্যুতের সুবিধা দেওয়ার লক্ষে ইতোমধ্যে সঞ্চালন লাইন বসানোর কাজ চলছে।

সাজেক ভ্যালি।বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন জানান, প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল (জিওবি) থেকে ব্যয় হবে ৫৩৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা ও অবশিষ্ট ২৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা খরচ হবে পিডিবির নিজস্ব তহবিল থেকে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সাজেকের মানুষ বিদ্যুত সংযোগ পাবেন। সেখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া যাবে।

তিনি জানান, তিন পার্বত্য অঞ্চলে ৮৬ হাজার ৫৬৪ গ্রাহকের জন্য লোড চাহিদা রয়েছে ৫৪ দশমিক ৫০ মেগাওয়াট। সরবরাহ লাইনের ধারণক্ষমতা রয়েছে ৯৯ মেগাওয়াট। বার্ষিক লোড চাহিদা বৃদ্ধির হার ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ হিসাবে ২০৩০ সালের মধ্যে এ তিন জেলার লোড চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ২৭৯ মেগাওয়াট। একইসঙ্গে গ্রাহক চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে ১ লাখ ৭৩ হাজার ১২৮ জনে। এসব বিবেচনায় নিয়ে পার্বত্যাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হচ্ছে।