সাজাপ্রাপ্তরা না পারবে ইলেকশন করতে, না পারবে ক্ষমতায় আসতে
আজকের পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে দল বেশি লাফায় সে দলের দুই নেতাই হচ্ছে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা না পারবে ইলেকশন করতে, না পারবে ক্ষমতায় আসতে।
তিনি বলেন, বিএনপি নিজের গঠনতন্ত্র নিজেরা ভঙ্গ করছে। কারণ, তাদের গঠনতন্ত্রে আছে সাজাপ্রাপ্ত আসামি দলের নেতা হতে পারে না। এখন সেই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকেই দলের নেতা বানিয়ে রেখে দিয়েছে। এখন এই দলের কাছে কী আশা করবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনেও জনগণ যেন স্বাধীনভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে সেই প্রস্তুতি আছে। দলীয় সরকারের অধীনেও যে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোই এর প্রমাণ।
সদ্য সমাপ্ত কাতার সফরের সারসংক্ষেপ নিয়ে সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নতুন রাষ্ট্রপতি (মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন) প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, রাষ্ট্রপতি একজন পোড় খাওয়া মানুষ এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। পঁচাত্তর পরবর্তী জিয়াউর রহমান তাকে গ্রেফতার করে ডান্ডাবেড়ি দিয়ে রেখেছিলেন। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী। তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিসেও চাকরি করেছেন। বিএনপির আমলে বাধ্য হয়ে চাকরি ছাড়তেও হয়েছে। কাজেই আমি মনে করি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার মাঝে ওই দায়িত্ববোধ, রাজনৈতিক সচেতনতা, দেশপ্রেম ও ব্যক্তিত্ব আছে। তারও সবসময় এই প্রচেষ্টাই থাকবে নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব সরকারের একার নয়, সবার। সবাইকে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদেরও দায়িত্ব আছে। সত্যের জয় হয়। এটা কেউ ঢাকতে পারে না। এটা আমি বিশ্বাস করি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ এর নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ৩০০ সিটের মধ্যে পেলো ৩০টি সিট। আর ২৭০টি পেলাম আমরা মহাজোট। ২০০৮ এর নির্বাচন যেটাকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু বলা হয় সেই নির্বাচনেই যখন তাদের এই দুরবস্থা, এখন তো আমরা অন্তত কাজ করে মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আমি বগুড়ায় খবর নিলাম, সেখানকার মানুষেরও আমাদের সরকারের প্রতি একটা আস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমার দল করে না, অন্য দল করে, তাদের মুখ থেকেই কিন্তু আমি আজ এ তথ্যটা নিয়েছি। সাধারণ মানুষের গ্রামের মানুষের একটাই কথা, এই সরকারেরই থাকা উচিত। এটা সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা। এরপর কী হবে দেখা যাক। ইলেকশন এটা জনগণের ইচ্ছা। জনগণ ভোট দিলে আছি না দিলে নাই। এ নিয়ে আফসোস নেই।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দশ ট্রাক অস্ত্র নিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লো, এটা আবার রাজনৈতিক হয় কী করে। এই দশ ট্রাক অস্ত্র মামলাতেই কিন্তু তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত। এবং খালেদা জিয়ার মন্ত্রীরাও। তারপরও তারা যদি এটাকে রাজনৈতিক বলে তাহলে আমার মনে হয় জনগণই বিচার করবে। এটা জনগণের সঙ্গে মুনাফেকি ছাড়া আর কিছু না। অস্ত্র চোরাকারি ব্যবসাটাই হচ্ছে তাদের ব্যবসা। আর সেটাকে তারা রাজনীতি হিসেবে দেখাতে চায়।
‘আসলে ওদের (বিএনপির) জন্মই হয়েছে অস্ত্র হাতে নিয়ে, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী একজন সেনা...। সেই সেনা সে হলো সেনাবাহিনীর প্রধান, আবার সেই অবস্থায় থেকে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়েছে, অস্ত্র হাতে নিয়ে। নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় বসেছে। আর সেই ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে তৈরি করা দল হলো বিএনপি। কাজেই এদের কাছ থেকে জনগণ আর বেশি কী আশা করবে’- যোগ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তার ছেলেদের লুটপাট-দুর্নীতির কথা আমাদের না, এটা আমেরিকা-সিঙ্গাপুরে ধরা পড়েছে। এমনকি তাদের পাচার করা ৪০ কোটি টাকা কিন্তু বাংলাদেশ উদ্ধার করে ফেরত এনেছে। এ কথাটা বোধহয় সবার মনে রাখা উচিত। সেটাকেও তারা রাজনৈতিক বলবে?
তিনি বলেন, সরাসরি অস্ত্র চোরাকারবারি ও গ্রেনেড হামলা ওটাও তো রাজনৈতিক। রাজনৈতিকভাবে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল, এই তো। ভালো, সবই রাজনৈতিক বলে ধামাচাপা দেওয়া। এরা রাজনীতির কী জানে, রাজনীতির মাধ্যমে জন্ম না তো। জন্ম তো অস্ত্র হাতে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে। সেটা মনে রাখতে হবে সবাইকে। ওদের কাছে জনগণ কিছু আশা করতে পারে না।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করার কোনো প্রস্তুতি আছে কি না, এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, সংলাপ কার সঙ্গে করবো। ২০১৮ এর নির্বাচনে আমি সংলাপ করেছি, তার রেজাল্টটা কী। নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ছাড়া আর কিছুই করেন। ৩০০ সিটে ৭০০ নমিনেশন দিয়ে টাকা খেয়ে নিজেরাই নিজেদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে তারপর নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
তিনি বলেন, এদের (বিএনপির) সঙ্গে কীসের কথা বলবো, কীসের বৈঠক করবো। তারপরও অসুস্থ ও বয়োবৃদ্ধ হওয়ায় পরিবারের আকুতিতে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার এবং চিকিৎসার সুযোগটা করে দিয়েছি। এটুকু যে করেছি সেটাই যথেষ্ট। এটুকু সহানুভূতি যে পাচ্ছে সেটা আমার কারণে। ওদের সঙ্গে আবার কীসের বৈঠক আর কীসের কী।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আন্তর্জাতিক কোনো চাপ আছে কি না- এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, এমন কোনো চাপ নেই যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে। এটা মাথায় রাখতে হবে। আমার শক্তি একমাত্র আমার জনগণ। আর উপরে আল্লাহ আছে এবং আমার বাবার আশির্বাদের হাত আমার মাথায় আছে। কাজেই কে কী চাপ দিলো না দিলো এতে আমাদের কিছু আসে যায় না। জনগণের স্বার্থে যেটা করার আমরা সেটাই করবো। জনগণের কল্যাণে যে কাজ করার সেটাই করবো। অতীতেও এরকম বহু চাপ ছিল, তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না।
- রমজানে ছুটি স্কুল-কলেজ, প্রাথমিকে ক্লাস ১৫ দিন
- রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের বিশেষ দূতকে জোরালো ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান
- দল থেকে আফিফ-শরিফুলকে ‘ছুটি’, রনিকে নিয়ে প্রশ্ন
- সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসছে ৬ এপ্রিল
- সব নদীবন্দরে সতর্কতা সংকেত
- মানুষের প্রতি কোরআনের ৫ অধিকার
- শিশুর রোগ ডাউন সিনড্রম, কাদের ঝুঁকি বেশি?
- ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে আনতে কঠোর হচ্ছে বিএসইসি
- বাজার সামলাতে সাত সুপারিশ
- নিরাপত্তাকর্মী ও গৃহকর্মী নিতে চায় মালয়েশিয়া
- ঠোঁটে লিপস্টিক দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী রাখবেন যেভাবে
- আরাভের অজানা গল্পে যেন সবই অপরাধ
- চিত্রকর্ম সহজবোধ্য করাই শিল্পীর সার্থকতা: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
- দুমকিতে ডাকাতিকালে আটক ১, আহত ৪
- আমরা যুদ্ধ ও আগ্রাসন সমর্থন করি না: শেখ হাসিনা
- বিএনপি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়: নানক
- বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনাল আজ
- ‘চোখ নাই, থাকলে পাকা ঘরটা কেমন সুন্দর দেখতাম’
- ইফতারের জন্য চিড়ার চপ
- ব্রাউজার স্লো? গতি বাড়াবেন যেভাবে
- অভিনয় ছেড়ে দেবেন অস্কারজয়ী ‘নাটু নাটু’ গানের অভিনেতা!
- আপন জুয়েলার্সের মালিক পরিচয়ে প্রথম বিয়ে
- ‘একান্ত সময়’ কাটাতে আবাসিক হোটেলে গিয়ে ধরা ১০ প্রেমিক-প্রেমিকা
- বিশ্বে বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম উন্নয়ন ও প্রগতির পথ নির্দেশক
- চিকিৎসকদের পদোন্নতির প্রতিবন্ধকতা দূর হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- অস্ত্র মামলায় বিএনপি নেতার ১০ বছর কারাদণ্ড
- ইমান আলীর ইচ্ছাপূরণ করছেন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ
- ‘ধর্মকে ইস্যু করে একটি পক্ষ ফায়দা হাসিল করতে চায়’
- বিদেশি ঋণ পরিশোধে ১০ বছর সময় চায় শ্রীলঙ্কা
- জন্মদিনের কথা বলে বনানীতে বিএনপি নেতাদের ‘গোপন মিটিং’!
- প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি ও ব্যয় বৃদ্ধি মানেই কী দুর্নীতি??
- পটুয়াখালীতে ৫ম জাতীয় ভোটার দিবস পালিত
- দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে সৌদি আরব
- বিচারক-মন্ত্রী-সচিবকে ঘুষ দিতে দালাল চক্রের সঙ্গে ড. ইউনূসের ঘৃণ্যতম চুক্তি
- চিকেন কাবাব
- কনের ওজন মেপে বিয়েতে সেই পরিমাণ স্বর্ণ উপহার দেয়া হলো (ভিডিও)
- অতিরিক্ত ঘাম কঠিন রোগের লক্ষণ নয় তো?
- উইকেট হাতে রেখেও শেষ ৫ ওভারে হতাশার ব্যাটিং বাংলাদেশের
- শান্তিচুক্তির অমিমাংসিত বিষয় খুব দ্রুত বাস্তায়িত হবে- সন্তু লারমা
- ওষুধ-সিরাপেও কমছে না কাশি, অ্যাডিনোভাইরাসের লক্ষণ নয় তো?
- আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত: প্রধানমন্ত্রী
- চোখে স্ট্রোক হতে পারে, চলে যেতে পারে দৃষ্টিশক্তি
- যে কারণে ইসলামি বক্তার জিহ্বা কেটে দিয়েছিল তারা
- পটুয়াখালীতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর
- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে এডিবি ভূমিকা পালন করবে: অর্থমন্ত্রী
- নিউ জেএমবির আমির তুরস্কে গ্রেপ্তার
- আপাতত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালুর চিন্তা নেই
- মার্চে উৎপাদনে যাচ্ছে সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎকেন্দ্র
- এসকে সিনহা ও ভাইয়ের যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক হিসাব-বাড়ি জব্দের আদেশ
- মৌলিক অধিকার রক্ষায় সুপ্রিম কোর্ট সদা সচেষ্ট : বিচারপতি