• বুধবার   ২২ মার্চ ২০২৩ ||

  • চৈত্র ৭ ১৪২৯

  • || ২৮ শা'বান ১৪৪৪

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
আমরা যুদ্ধ ও আগ্রাসন সমর্থন করি না: শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটির যাত্রা শুরু নতুন বাজার খুঁজে বের করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি ‘সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম করে গড়ে তোলা হচ্ছে’ ভারতকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না: প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় জনগণের সুস্বাস্থ্য অপরিহার্য পূর্বশর্ত বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ধরতে সক্ষম হয়েছে র‌্যাব: প্রধানমন্ত্রী মৈত্রী পাইপলাইন জ্বালানি নিরাপত্তায় সহযোগিতা বাড়াবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ক্রস পার্টি সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ দেশীয় সংস্কৃতির উপাদান দেশবিদেশে ছড়িয়ে দিতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান শিশুদের মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠতে হবে: প্রধানমন্ত্রী জন্মদিনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা রমজানে নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টি গর্হিত কাজ: প্রধানমন্ত্রী বিচারের ভার আল্লাহ মানুষকে দেননি: প্রধানমন্ত্রী ইসলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা: প্রধানমন্ত্রী রোজায় কালোবাজারিদের বিষয়ে সতর্ক হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী বিনামূল্যে ইনসুলিন দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

সাজাপ্রাপ্তরা না পারবে ইলেকশন করতে, না পারবে ক্ষমতায় আসতে

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৩  

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে দল বেশি লাফায় সে দলের দুই নেতাই হচ্ছে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা না পারবে ইলেকশন করতে, না পারবে ক্ষমতায় আসতে।

তিনি বলেন, বিএনপি নিজের গঠনতন্ত্র নিজেরা ভঙ্গ করছে। কারণ, তাদের গঠনতন্ত্রে আছে সাজাপ্রাপ্ত আসামি দলের নেতা হতে পারে না। এখন সেই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকেই দলের নেতা বানিয়ে রেখে দিয়েছে। এখন এই দলের কাছে কী আশা করবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনেও জনগণ যেন স্বাধীনভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে সেই প্রস্তুতি আছে। দলীয় সরকারের অধীনেও যে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোই এর প্রমাণ।

সদ্য সমাপ্ত কাতার সফরের সারসংক্ষেপ নিয়ে সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

নতুন রাষ্ট্রপতি (মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন) প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, রাষ্ট্রপতি একজন পোড় খাওয়া মানুষ এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। পঁচাত্তর পরবর্তী জিয়াউর রহমান তাকে গ্রেফতার করে ডান্ডাবেড়ি দিয়ে রেখেছিলেন। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী। তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিসেও চাকরি করেছেন। বিএনপির আমলে বাধ্য হয়ে চাকরি ছাড়তেও হয়েছে। কাজেই আমি মনে করি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার মাঝে ওই দায়িত্ববোধ, রাজনৈতিক সচেতনতা, দেশপ্রেম ও ব্যক্তিত্ব আছে। তারও সবসময় এই প্রচেষ্টাই থাকবে নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়।

তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব সরকারের একার নয়, সবার। সবাইকে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদেরও দায়িত্ব আছে। সত্যের জয় হয়। এটা কেউ ঢাকতে পারে না। এটা আমি বিশ্বাস করি।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ এর নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ৩০০ সিটের মধ্যে পেলো ৩০টি সিট। আর ২৭০টি পেলাম আমরা মহাজোট। ২০০৮ এর নির্বাচন যেটাকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু বলা হয় সেই নির্বাচনেই যখন তাদের এই দুরবস্থা, এখন তো আমরা অন্তত কাজ করে মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, আমি বগুড়ায় খবর নিলাম, সেখানকার মানুষেরও আমাদের সরকারের প্রতি একটা আস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমার দল করে না, অন্য দল করে, তাদের মুখ থেকেই কিন্তু আমি আজ এ তথ্যটা নিয়েছি। সাধারণ মানুষের গ্রামের মানুষের একটাই কথা, এই সরকারেরই থাকা উচিত। এটা সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা। এরপর কী হবে দেখা যাক। ইলেকশন এটা জনগণের ইচ্ছা। জনগণ ভোট দিলে আছি না দিলে নাই। এ নিয়ে আফসোস নেই।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দশ ট্রাক অস্ত্র নিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লো, এটা আবার রাজনৈতিক হয় কী করে। এই দশ ট্রাক অস্ত্র মামলাতেই কিন্তু তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত। এবং খালেদা জিয়ার মন্ত্রীরাও। তারপরও তারা যদি এটাকে রাজনৈতিক বলে তাহলে আমার মনে হয় জনগণই বিচার করবে। এটা জনগণের সঙ্গে মুনাফেকি ছাড়া আর কিছু না। অস্ত্র চোরাকারি ব্যবসাটাই হচ্ছে তাদের ব্যবসা। আর সেটাকে তারা রাজনীতি হিসেবে দেখাতে চায়।

‘আসলে ওদের (বিএনপির) জন্মই হয়েছে অস্ত্র হাতে নিয়ে, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী একজন সেনা...। সেই সেনা সে হলো সেনাবাহিনীর প্রধান, আবার সেই অবস্থায় থেকে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়েছে, অস্ত্র হাতে নিয়ে। নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় বসেছে। আর সেই ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে তৈরি করা দল হলো বিএনপি। কাজেই এদের কাছ থেকে জনগণ আর বেশি কী আশা করবে’- যোগ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তার ছেলেদের লুটপাট-দুর্নীতির কথা আমাদের না, এটা আমেরিকা-সিঙ্গাপুরে ধরা পড়েছে। এমনকি তাদের পাচার করা ৪০ কোটি টাকা কিন্তু বাংলাদেশ উদ্ধার করে ফেরত এনেছে। এ কথাটা বোধহয় সবার মনে রাখা উচিত। সেটাকেও তারা রাজনৈতিক বলবে?

তিনি বলেন, সরাসরি অস্ত্র চোরাকারবারি ও গ্রেনেড হামলা ওটাও তো রাজনৈতিক। রাজনৈতিকভাবে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল, এই তো। ভালো, সবই রাজনৈতিক বলে ধামাচাপা দেওয়া। এরা রাজনীতির কী জানে, রাজনীতির মাধ্যমে জন্ম না তো। জন্ম তো অস্ত্র হাতে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে। সেটা মনে রাখতে হবে সবাইকে। ওদের কাছে জনগণ কিছু আশা করতে পারে না।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করার কোনো প্রস্তুতি আছে কি না, এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, সংলাপ কার সঙ্গে করবো। ২০১৮ এর নির্বাচনে আমি সংলাপ করেছি, তার রেজাল্টটা কী। নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ছাড়া আর কিছুই করেন। ৩০০ সিটে ৭০০ নমিনেশন দিয়ে টাকা খেয়ে নিজেরাই নিজেদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে তারপর নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

তিনি বলেন, এদের (বিএনপির) সঙ্গে কীসের কথা বলবো, কীসের বৈঠক করবো। তারপরও অসুস্থ ও বয়োবৃদ্ধ হওয়ায় পরিবারের আকুতিতে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার এবং চিকিৎসার সুযোগটা করে দিয়েছি। এটুকু যে করেছি সেটাই যথেষ্ট। এটুকু সহানুভূতি যে পাচ্ছে সেটা আমার কারণে। ওদের সঙ্গে আবার কীসের বৈঠক আর কীসের কী।

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আন্তর্জাতিক কোনো চাপ আছে কি না- এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, এমন কোনো চাপ নেই যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে। এটা মাথায় রাখতে হবে। আমার শক্তি একমাত্র আমার জনগণ। আর উপরে আল্লাহ আছে এবং আমার বাবার আশির্বাদের হাত আমার মাথায় আছে। কাজেই কে কী চাপ দিলো না দিলো এতে আমাদের কিছু আসে যায় না। জনগণের স্বার্থে যেটা করার আমরা সেটাই করবো। জনগণের কল্যাণে যে কাজ করার সেটাই করবো। অতীতেও এরকম বহু চাপ ছিল, তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না।