• বুধবার   ২২ মার্চ ২০২৩ ||

  • চৈত্র ৭ ১৪২৯

  • || ২৮ শা'বান ১৪৪৪

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
আমরা যুদ্ধ ও আগ্রাসন সমর্থন করি না: শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটির যাত্রা শুরু নতুন বাজার খুঁজে বের করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি ‘সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম করে গড়ে তোলা হচ্ছে’ ভারতকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না: প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় জনগণের সুস্বাস্থ্য অপরিহার্য পূর্বশর্ত বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ধরতে সক্ষম হয়েছে র‌্যাব: প্রধানমন্ত্রী মৈত্রী পাইপলাইন জ্বালানি নিরাপত্তায় সহযোগিতা বাড়াবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ক্রস পার্টি সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ দেশীয় সংস্কৃতির উপাদান দেশবিদেশে ছড়িয়ে দিতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান শিশুদের মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠতে হবে: প্রধানমন্ত্রী জন্মদিনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা রমজানে নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টি গর্হিত কাজ: প্রধানমন্ত্রী বিচারের ভার আল্লাহ মানুষকে দেননি: প্রধানমন্ত্রী ইসলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা: প্রধানমন্ত্রী রোজায় কালোবাজারিদের বিষয়ে সতর্ক হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী বিনামূল্যে ইনসুলিন দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

শিশুদের মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রতিটি শিশুকে খেলাধুলা, শরীরচর্চা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, শিক্ষকদের কথা মান্য করা, অভিভাবকদের কথা মান্য করে চলতে হবে। সবাইকেই উন্নত মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন হতে হবে। যারা শারীরিক প্রতিবন্ধী বা অক্ষম, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে।’

শুক্রবার (১৭ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাগাড়ায় জাতির পিতার সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’ প্রতিপাদ্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এ অনুষ্ঠান হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশে কোনও শিশুই শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না। কোনও মানুষই ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত হবে না। প্রত্যেক মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করে বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলবো।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার আদর্শ আছে। সেই আদর্শ নিয়েই বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো। আগামীর বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নত সম্দ্ধৃ বাংলাদেশ।’

সরকার শিশুদের সুরক্ষার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ আমরা গড়তে চাই এবং আজকের শিশুরাই হবে সেই স্মার্ট জনগোষ্ঠী। যারা এই বাংলাদেশকে গড়ে তুলবে।’

শিশুদের মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা যেমন ফুটবল খেলতেন, তার দাদাও খেলতেন আর আমার ভাইয়েরা তো খেলতেনই। এমনকি ছেলে-মেয়ে ও নাতি-পুতিরাও খেলাধুলা করে। এ জন্য সরকার আন্তঃস্কুল, আন্তঃকলেজ ও আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতার নানা রকম ব্যবস্থা করে দিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা খেরাধুলায় অংশগ্রহণ করলে শরীর ভালো থাকবে, মনমানসিকতা ভালো থাকবে এবং সবাই একটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে গড়ে উঠবে। সেটাই আমি চাই।’

‘অন্ধকে অন্ধ বলিও না, আর পঙ্গুকে পঙ্গু বলিও না’ পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা ছোটবেলার শিক্ষা। তাদের প্রতি সহানু ভূতিশীল হতে হবে। আমরা তাদের ভাতা দিই এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বৃত্তিও দিয়ে থাকি। কাজেই সকলেই একই সমাজের, সকলেই একই সংসারের।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা শিশুদের ভালবাসতেন এবং শিশুদের জন্য তার অত্যন্ত দরদ ছিল এবং শিশুদের সঙ্গে খেলা করতেও তিনি ভালোবাসতেন। এ জন্য তার জন্মদিনকে আমরা ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছি কারণ, শিশুরা আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ এবং তারা যেন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল। শিশুদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ছোট্ট স্বপ্নিল বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতারা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শিশু প্রতিনিধি স্নেহা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করে দুই শিশু রুবাবা তোহা জামান ও এ এল শরফুদ্দিন।

এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা পুরস্কার এবং ১০০ অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে আর্থিক অনুদান হিসেবে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে  দেওয়া হয়।

সূত্র: বাসস