• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

পর্যটক টানতে কলাপাড়ায় হচ্ছে বিমানবন্দর

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৩  

দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার বিস্তৃত এই সৈকত। সমুদ্র্রের গর্জন, উথালপাথাল ঢেউ, সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত ও দীর্ঘতম সৈকতে আকৃষ্ট দেশি-বিদেশি ভ্রমণপিপাসুরা। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী সুখ্যাতিও অর্জন করেছে সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটা। কিন্তু এখানে আন্তর্জাতিক মানের কোনো বিমানবন্দর না থাকায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পর্যটকরা। এমন পরিস্থিতিতে বন্দরনগরী পায়রা ও কুয়াকাটায় যাতায়াত সুবিধা উন্নত করতে এর আশপাশে বিমানবন্দর নির্মাণে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।

এরই অংশ হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পায়রাবন্দর নগরী ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ পর্যটনভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প এলাকায় বিমানবন্দরের স্থান চিহ্নিতকরণে গত ২৩ মার্চ বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পরিচালককে (প্রশাসন) আহ্বায়ক করে ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

বেবিচক সূত্র জানায়, প্রকল্পের রিজিওনাল প্ল্যান ও ডাটাবেজ পর্যালোচনাসহ স্থান চিহ্নিতকরণ শেষে প্রতিবেদন দাখিল করবে এই কমিটি। এর আগে প্রকল্পের আওতায় গত ২৩ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আহমেদ জামিলের এক চিঠিতে বলা হয়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের একটি স্থান বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য নির্ধারণ করা আছে। তবে ওই ভূমি বিমানবন্দর নির্মাণের উপযোগী কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমতাবস্থায় ভূমিটির উপযোগিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয়ের সাথে বেবিচকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/বিভাগসমূহের প্রতিনিধিদের যোগাযোগ এবং প্রয়োজনে সরেজমিন যাচাইয়ের উদ্যোগ নিতে চিঠিতে বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পায়রাবন্দরে মানুষের যাতায়াত অনেক বেড়েছে। দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে কুয়াকাটা অন্যতম। এখানে সড়কপথের যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হলেও আকাশপথের কোনো ব্যবস্থা নেই। বিমানবন্দর হলে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে।

জানা গেছে, কুয়াকাটাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ বহু আগে শুরু হলেও মূলত ১৯৯৮ সাল থেকে এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের জন্য বিখ্যাত কুয়াকাটা সৈকত ধীরে ধীরে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। পর্যটকদের কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে অনেক আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট। এ কারণে বেড়েছে প্রশাসনিক নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ অন্য সুযোগ-সুবিধা। সৈকতের কোলঘেঁষে রয়েছে বিশাল বনাঞ্চল।

সুন্দরবনের পূর্বাংশ ফাতরার বন, লেম্বুর বন, নারকেল বাগান, ঝাউ বাগান, গঙ্গামতী ও কাউয়ার চরের সংরক্ষিত বনাঞ্চল অন্যতম। পর্যটকরা কুয়াকাটায় এলে আশপাশের পর্যটন স্পটগুলোও ঘুরে দেখেন। কিন্তু আকাশপথের সুযোগ না থাকায় পর্যটকরা আসছেন না। ফলে বিশ্বব্যাপী কুয়াকাটা ও পায়রাবন্দরকে পরিচিত করার জন্য বিমানবন্দরের বিকল্প নেই। বিমানবন্দর হলে খুব সহজেই পর্যটকরা এখানে আসতে পারবে। সময় বাঁচাতে কিংবা প্রথম বিমান ভ্রমণের স্বাদ পেতে আসা পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়বে। ফলে কক্সবাজারের মতো এই অঞ্চলেরও অর্থনৈতিক সমৃৃদ্ধি হবে। এসব বিবেচনায় পায়রা-কুয়াকাটা এলাকায় বিমানবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান , এই অঞ্চলে বিমানবন্দরের জন্য জায়গা খুঁজতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাওয়া গেছে। এজন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ করবেন। কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।