• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী

সমুদ্রের তেল-গ্যাসে বদলে যেতে পারে চিত্র

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২৪  

অবশেষে দীর্ঘ আট বছর পর সমুদ্রবক্ষের গ্যাস উত্তোলনে নড়েচড়ে বসলো বাংলাদেশ। হালনাগাদ করা নতুন উৎপাদন-অংশীদারি চুক্তি বা পিএসসি অনুসারে গভীর এবং অগভীর সমুদ্রের ২৪টি ব্লকে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা। যদিও এরই মধ্যে মার্কিন দুটি বড় কোম্পানিসহ বিশ্বের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলো আগ্রহ দেখিয়েছে বঙ্গোপসাগরের খনিজ সম্পদ উত্তোলনে। জ্বালানি বিশ্লেষকদের দাবি, দেরিতে হলেও সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমূল বদলে যেতে পারে পুরো খাতের চিত্র।

আন্তর্জাতিক আদালতে দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ভারত-মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিজয়ের পর যুগ পেরিয়েছে বাংলাদেশ। তবে বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতির পথে এগোতে পারেনি পেট্রোবাংলা তথা জ্বালানি বিভাগ।

সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে সবশেষ দরপত্র ডাকা হয়েছিল ২০১৬ সালে। কাজও শুরু করেছিল বিদেশি চারটি কোম্পানি। তবে কখনো গ্যাসের মূল্য আবার কখনও প্রাপ্যতার ইস্যু ধরে মাঝপথেই বঙ্গোপসাগর ছেড়ে যায় তিনটি প্রতিষ্ঠান।

অবশেষে অচলায়তন ভেঙে এবার মাঠে নেমেছে পেট্রোবাংলা। গেল বছরে চূড়ান্ত করা উৎপাদন-অংশীদারি চুক্তি বা নতুন পিএসসির আলোকে ১০ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি। আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সময় দেয়া হয়েছে ৬ মাস।

মূলত বঙ্গোপসাগরে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুতকে মোট ২৬টি ব্লকে ভাগ করা আছে। এর মধ্যে ১৫টি ব্লক গভীর সমুদ্রে আর ১১টি ব্লককে ধরা হয় অগভীর হিসেবে। এরমধ্যে দুইটি অগভীর ব্লকে জরিপ চালাচ্ছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ওএনজিসি।

দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস উত্তোলন এবং অনুসন্ধান নিয়ে গবেষণা করা জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরুল ইমামের মতে, সমুদ্রবক্ষের গ্যাসে পুরো পরিস্থিতি বদলে দেয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনাবিষ্কৃত জায়গায় এমনও হতে পারে যে সেখানে বিশাল সম্পদ লুকিয়ে আছে। কিন্তু সেখানে কাজ না করলে তো বুঝার উপায় নেই। তাই খনন করতে হবে। আর খনন করে বিশাল সম্পদ আবিষ্কার করা গেলে তো চিত্র পাল্টে যাবে। বিশাল, মাঝারি বা ছোট আকারে হলেও সম্পদের দেখা মিলবেই!

তবে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর অতি আগ্রহের মধ্যেও তাদের কারিগরি ও প্রকৌশলগত সব দিক যাচাই-বাছাই করেই কাজ দেয়ার আহ্বান তার।

অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম বলেন, শেভরন ও অ্যাকশন মোবিলের মতো কোম্পানি বাংলাদেশে থাকাটা ইতিবাচক দিক। তবে অনেক ছোটখাট কোম্পানি আছে, যারা হয়ত একটা ব্লক নেবে, কিন্তু এক থেকে দুই বছর পর তারা অন্য কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দিয়ে চলে যাবে। কিন্ত আমরা সেটা চাই না।   

এদিকে গভীর বঙ্গোপসাগরে নিজ সীমানায় অনুসন্ধান চালিয়ে এরই মধ্যে বড় সাফল্য পেয়েছে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার। অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের বড় মজুত পেয়েছে ওএনজিসি। আর বাংলাদেশের সীমানার নিকটবর্তী এলাকার মিয়া ও শোয়ে নামে দুটি গ্যাসকূপ থেকে এরই মধ্যে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে মিয়ানমার।