ছুটি শেষে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী চলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
আজকের পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২০
করোনাভাইরাসে কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ছুটির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আবার চালু হলে আগের মতো পরিচালিত হবে না। এক্ষেত্রে শিক্ষার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য সচেতনতা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম চললেও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম গুরুত্ব পাবে বেশি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ক্লাসে আগে যেমন একসঙ্গে পাশাপাশি অনেক শিক্ষার্থীর বসার ব্যবস্থা ছিল, তা থাকবে না। টিফিনে দল বেঁধে আড্ডা দেওয়ার পরিবেশও বদলে যাবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হবে। এসব বিষয় চিন্তা করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালাতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হোক বা না হোক বিকল্পভাবে পাঠদান চলবে সারাবছরই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘করোনা বিস্তার কমে গেলে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলবে। আগের মতো করে স্বাভাবিক নিয়মে ক্লাসসহ শিক্ষা কার্যক্রম চলবে না। কারণ করোনাভাইরাসের এই সমস্যা রাতারাতি নির্মূল হচ্ছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আগেই সব প্রস্তুতি নিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে যে জটলা সৃষ্টি হবে তা কীভাবে সমন্বয় করা হবে তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সুস্থ আছেন কিনা তা যাচাই করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কারোনা রোগ নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে বিকল্প হিসেবে।’
করোনার বিস্তার রোধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় গত ১৭ মার্চ থেকে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি চলছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ছুটির সময় ঘরে বসেই শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পাঠদানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে এই ছুটি বাড়তে পারে এমন সম্ভাবনায় সব শিক্ষার্থীকে পাঠদানের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে জানিয়েছিলেন পরিস্থিতি খারাপ হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেওয়া হবে। বর্তমানে ৩০ মে পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
তবে করোনা পরিস্থিতি ভালোর দিকে গড়ায় তাহলে দীর্ঘদিন বন্ধ না রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হতে পারে। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার।
বন্ধ থাকা কালে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ শিরোনামে সংসদ টেলিভিশনে ক্লাস চলছে এবং ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও ক্লাস আপলোড করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জন্য। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ঘরে বসে শিখি’ শিরোনামে সংসদ টেলিভিশনে ভিডিও ক্লাস চলছে। এছাড়া ‘ঘরে বসে শিখি’ শিরোনামে একটি ওয়েব পোর্টাল ডেভেলপ করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর কীভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলবে তার একটি গাইড লাইন দেয় শিক্ষা অধিদফতর। গত ২ মে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও পেশার জন্য কারিগরি নির্দেশনা’ শীর্ষক পুস্তিকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য একটি গাইডলাইন দেওয়া হয়। এই গাইডলাইন ধরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার নির্দেশনা দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই গাইডলাইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর।
করোনা পুরো নির্মূল না হলে বা পরিস্থিতি খুবই অনুকূলে না গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন হবে বলে মনে করেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। কারণ, রাজধানীর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানসহ দেশের বেসরকারি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাদাগাদি করে ক্লাস নেওয়া হয়।বেসরকারি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেঞ্চগুলো চার বা সাড়ে চার ফিট। এসব বেঞ্চে বসানো হয় তিন থেকে চারজন শিক্ষার্থী। এ কারণে সব শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত করে শারীরিক দূরত্ব মেনে ক্লাস করানো সম্ভব হবে না।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফওজিয়া রেজওয়ান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ে একসঙ্গে ঢোকার সময় এবং ক্লাস নেওয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সবচেয়ে কঠিন কাজ। তাছাড়া শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাস চালাবে এমন অবকাঠামো বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই। তাই করোনা সংকট না কাটলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ঝুঁকির বিষয়। তাছাড়া অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। প্রয়োজেন শিক্ষাবর্ষ বাড়িয়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যেতে পারে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘পরিস্থিতি খারাপ হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া অনিরাপদ হবে। তবে পরিস্থিতি ভালোর দিকে গড়ালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়টি ভাবতে হবে। সে ক্ষেত্রে শিফটিং ও রেশনিং করে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিষ্ঠান খুলে দিলে অনলাইনে ক্লাস চলবে, ভার্চ্যুয়াল ক্লাসও চলবে। কিছু প্রতিষ্ঠান হয়তো অনলাইনে ভালো করেছে, কিন্তু আমাদের টার্গেট দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সব শিক্ষার্থী। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি খুলে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য যা করা দরকার তা আমাদের করতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাইডলাইনে বলা হয়েছে: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে মহামারি প্রতিরোধক মাস্ক, জীবাণুনাশক এবং নন-কন্ট্যাক্ট থার্মোমিটার সংগ্রহ করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশপথে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বহিরাগত শিক্ষাদানকর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা নিতে হবে। যাদের শরীরের তাপমাত্রা বেশি পাওয়া যাবে তাদের প্রবেশ নিষেধ করতে হবে। শ্রেণিকক্ষসহ মেঝে ও ঘরের দরজার হাতল, সিঁড়ির হাতলসহ বিভিন্ন বস্তুর তলপৃষ্ঠ ঘন ঘন পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। শিক্ষাদান কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। হাত ধোয়াসহ অন্যসব স্বাস্থ্যবিধি শক্তিশালী করতে হবে। দ্রুত হাত শুকানো জীবাণুনাশক বা জীবাণুনাশক টিস্যু ব্যবহার করুন। হাঁচি দেওয়ার সময় মুখ ও নাক ঢাকতে টিস্যু বা কনুই ব্যবহার করতে হবে।
- গরমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়লে দ্রুত যা করবেন
- বরফ পানি দিয়ে গোসল কি শরীরের জন্য ভালো?
- তরমুজের ললি আইসক্রিম বানাবেন যেভাবে
- ধূসর ছবির ঝকঝকে প্রিন্ট!
- ভেদরগঞ্জে জেলেদের মাঝে জাল ও ছাগল বিতরণ
- দেশের উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সফল নেত্রী
- উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর
- ফিলিস্তিনে গণহত্যা প্রতিবাদে ভোলায় ছাত্রলীগের কর্মসূচি
- বরিশালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য সর্বজনীন পেনশন মেলা
- বন্ধুত্বপূর্ণ সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে তুর্কি জাহাজ
- মিল্টনের আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের দায়িত্বে শামসুল হক ফাউন্ডেশন
- আন্তর্জাতিক চাহিদার প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়নের আহ্বান
- অবশেষে ‘অবৈতনিক’ হচ্ছে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর
- হাওরে ধান কাটা হলো সারা, কৃষক পরিবারে স্বস্তির হাসি
- সংকটেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ রোল মডেল
- সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হবে গভর্নর
- সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে
- প্রবাস আয় বাড়ানোর জন্য রেমিট্যান্স কার্ড প্রবর্তনের সুপারিশ
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেবে সরকার
- মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়নে বসবে প্রশাসক
- রোহিঙ্গা মামলা চালাতে আর্থিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- প্রত্নসম্পদ বেহাত হওয়া ঠেকাতে নতুন আইন
- ইপিজেড পাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চল, আসবে দেড়শ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ!
- নির্বাচনে সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না: বরিশালের এসপি
- চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাইটার জেটি, বাড়ছে সক্ষমতা
- ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই খুন
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
- হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সেনা নিহত
- হাওড়-দক্ষিণাঞ্চলের কৃষক ৭০ শতাংশ ভর্তুকি, অন্যরা ৫০
- গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৭৬.২৫ পেয়ে প্রথম লামিয়া
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- গলাচিপায় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- প্রস্রাবের যে সমস্যা মূত্রথলির রোগের লক্ষণ
- আল্লাহর অসীম ক্ষমতার নিদর্শন
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অবহেলা করলে হতে পারে যে গুরুতর রোগ
- পদ্মা সেতুতে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি টোল আদায়
- ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- হুপিং কাশিতে আক্রান্ত কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- নিষেধাজ্ঞায় অভয়াশ্রমে মাছ শিকার ১৪ জেলের কারাদন্ড
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- শুধু হিট স্ট্রোক নয়, তাপপ্রবাহে কঠিন যে রোগের ঝুঁকি বাড়ে
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- ছুটিতে সরকারি হাসপাতালের সেবায় সন্তুষ্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- খুলে দেওয়া হলো ৮ ওভারপাস দুই সেতু
- ঝালকাঠিতে নার্সদের ব্যাজ ও শিরাবরণ অনুষ্ঠিত
- এসির বাতাসে বাড়ছে ঠাণ্ডা-কাশি, ঘরোয়া উপায়ে সমাধান