• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের পটুয়াখালী
ব্রেকিং:
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে

না ফেরার দেশে কণ্ঠশিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী

আজকের পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২১  

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

গত বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বুকে ব্যথা অনুভব করলে মহাখালী মেট্রোপলিটন হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করান স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক ইন্দ্রমোহন রাজবংশী। পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ আসে। সেই সঙ্গে ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ে। পরে গত ৩ এপ্রিল তাকে রাজধানীর মালিবাগের প্রশান্তি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তী সময়ে ৪ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই আজ মারা যান তিনি।

শিল্পীর ভাই অনঙ্গম রাজবংশী ও শ্যালিকা শিপ্রা ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী দীপ্তি রাজবংশী, পুত্র রবীন রাজবংশী ও মেয়ে প্রবাসীকে। তারা নিজেরাও লোকগানের সঙ্গে জড়িত।

ইন্দ্রমোহন রাজবংশী মূলত লোকগানের শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা। তিনি শুরুর জীবনে ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালী, জারি, সারি, মুর্শিদি ইত্যাদি গান গেয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন গ্রাম-বাংলায়। পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান গেয়ে নিজেকে রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ২০১৮ সালে সংগীত বিভাগে একুশে পদক লাভ করেন ইন্দ্রমোহন।

শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর পরিবার পাঁচ পুরুষ ধরে গান লেখার সঙ্গে যুক্ত। তিনি নিজে মূলত লোকগানের শিল্পী। সংগীত কলেজে লোকসংগীত বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন।

১৯৫৭ সালে ছোটদের আসরে গান করতে শুরু করেন তিনি। ১৯৭১ সালে সরাসরি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়ে ভিন্ন নামে দোভাষীর কাজ করতে হয় কিছুদিন। পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দিতে তিনি যুক্ত হন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে।

গান লেখা, সুর করা ও গাওয়া ছাড়াও লোকগান সংগ্রহ করতেন তিনি। গত ৫০ বছরে এক হাজার কবির লেখা কয়েক লাখ গান সংগ্রহ করেছেন গানের রাজবংশী।